মিড ডে মিলের লাইনে বসে মহাকুমা শাসক

Hooghly News: বয়সের আগেই বিয়ে হয়ে যাচ্ছে পড়ুয়াদের, এবার বিরাট পদক্ষেপ মহকুমা শাসকের

হুগলি: স্কুলছুট ছাত্রীদের সংখ্যা কমাতে ও স্কুলের ছাত্রীদের বাল্যবিবাহ রুখতে এবার অভিনব পদক্ষেপ মহকুমা শাসকের। চুঁচুড়ার মহকুমা শাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লাচুঁচুড়া কাপাসডাঙা সতীন সেন স্কুলে সচেতনতা বার্তা দিতে গিয়ে হয়ে গেলেন ছাত্রীদেরই একজন। পড়ুয়াদের সঙ্গে মিশে গিয়ে মাটিতে বসে মিড-ডে মিলও খেলেন।

স্কুলছুটের সংখ্যা কমাতে এবং স্কুলে পড়াকালীন যাতে কোনও ছাত্রীর বিবাহ না হয়, সেই বিষয়ে সচেতন করতে স্কুলের মধ্যে আয়োজন করা হয়েছিল এক সচেতনতা শিবিরের। বয়ঃসন্ধি কালে ছাত্রীদের বিকাশ, নতুন অভিজ্ঞতা, সহায়তা এবং বাল্য বিবাহ রোধে স্কুল ও সমাজের কীভূমিকা তা নিয়ে আলোচনা করেন চুঁচুড়া সদর মহকুমা শাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লা। উপস্থিত ছিলেন বাঁশবেড়িয়া পুরসভার উপ পুরপ্রধান শিল্পী চট্টোপাধ্যায়, ইমামবাড়া হাসপাতালের চিকিৎসক এলিনা কাশ্যপ ও অমৃতেন্দু সাহা। স্কুলের ছাত্রীদের সঙ্গে প্রায় দু ঘণ্টা বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন মহকুমা শাসক। সমস্যার কথা জানতে চান। বাল্যবিবাহ কেন ঠিক নয়, কী কী সমস্যা হয় তা ছাত্রীদের বোঝান চিকিৎসকরা।

ছাত্রীদের সঙ্গে কথপোকথনের পর মহকুমা শাসক স্কুলের মিড-ডে মিলের রান্নাঘর ঘুরে দেখেন। মাটিতে বসে ভাত, ডাল, চিলি সয়াবিন খান ছাত্রীদের সঙ্গে। প্রধান শিক্ষক জানান, কোনও ছাত্রীর সমস্যা হলে সরাসরি ফোন করে জানাতে হবে মহকুমা শাসককে। এই স্কুলে প্রতিবছর ১৫-২০ শতাংশ ছাত্রীরই স্কুলে পড়তে পড়তেই বিয়ে হয়ে যায়। ফলে তারা কন্যাশ্রী থেকে বঞ্চিত হয়। সদর মহকুমা শাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লা জানান, মেয়েদের শারীরিক সমস্যা, বাল্যবিবাহ রোধ-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা চক্র হয়। মেয়েদের সঙ্গে সেখানেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করা হয়। এই উদ্যোগে খুশি পড়ুয়াদেরও একাংশ।