পূর্ব মেদিনীপুর, পটাশপুর: বসন্তে বিরাজ করছে বৃষ্টি! উত্তর থেকে দক্ষিণ বঙ্গ সর্বত্রই ঝড়-বৃষ্টি চলছে। আর এই অসময়ে অতিবৃষ্টি চাষবাসের ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। অসময়ে অতিবৃষ্টি এক দিকে যেমন আলু চাষের ক্ষতি করছে সেই সঙ্গে বাদাম চাষের শুরুতেই এই বৃষ্টি ব্যাপক ক্ষতির মুখের ফেলে দিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রধান অর্থকারী ফসল পান ও ধান হলেও। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভৌগোলিক বৈচিত্রের কারণে বিভিন্ন ব্লকে বিভিন্ন ধরনের চাষবাস হয়। যেমন শাকসবজি ও ফুল চাষের জন্য কোলাঘাট পাঁশকুড়া বিখ্যাত। তেমনইএগরা পটাশপুর ভগবানপুর তৈলবীজ চাষের জন্য উপযোগী।
এগরা পটাশপুর ভগবানপুর সহ বিভিন্ন ব্লকে হেক্টরের পর হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ হয়। কিন্তু অসময়ের অতি বৃষ্টি বাদাম চাষকে নষ্ট করেছে।অতি বর্ষণের ফলে চাষের শুরুতেই ক্ষতিগ্রস্ত হল বাদাম । একটানা এই বৃষ্টিতে বাদাম বীজ লাগানো জমিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে জল। আর সদ্য গজিয়ে ওঠা বাদামচারাগুলিতে জল জমেছে। এগরা, পটাশপুর ও ভগবানপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় বাদামচাষ শুরু হওয়ার মুখেই ক্ষতির আশঙ্কায় ভুগছেন চাষিরা। এমনকী মাঠের বাদাম লাগানো জমিগুলিতে জমা জল সরাতে দেখা গিয়েছে চাষিদের।
আরও পড়ুন :এবার পানপাতা রাখা যাবে ৩ মাস, পান প্রক্রিয়াকরণের পদ্ধতিতে বিশাল লাভ, জানুন কীভাবে
গত বছর বাদাম চাষের শেষে এই বৃষ্টির কারণে চাষিরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন। আবার এ বছর চাষের শুরুতেই অকাল বর্ষণে বাদাম বীজ নষ্ট হতে বসেছে। হাতে আর নতুন করে বাদাম লাগানোর সময়ও নেই।বাদাম চাষিদের অভিযোগ দিনের পর দিন অবৈধভাবে ভরাট হচ্ছে জলাশয়। ফলে অল্প বৃষ্টিতে জল জমা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সারাদিন একটানা বৃষ্টি হওয়ায় বাদাম চাষের জমিতে জল দাঁড়িয়ে যায়।
হাওয়া অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী শনিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলা সহ অন্যান্য জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অসময়ে অতিবৃষ্টি প্রভাব ফেলেছে চাষবাসে। বাদাম চাষের জমিতে ইতিমধ্যেই জমেছে জল।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
পচতে শুরু করেছে বাদাম গাছ। এরপর যদি আরও বৃষ্টি হয় এবার বাদাম চাষ পুরোপুরি নষ্ট হবে বলে জানাচ্ছেন বাদাম চাষিরা।
সৈকত শী