প্রতীকী ছবি৷

US: মুখে পরপর সাতটি গুলি, ভারতীয় বন্দুকবাজের হাতে নৃশংস ভাবে খুন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা; জখম ১

ওয়াশিংটন, আমেরিকা: ভারতীয় বংশোদ্ভূত বছর উনত্রিশের এক যুবতীকে খুনের অভিযোগ উঠল ১৯ বছর বয়সী এক ভারতীয় তরুণের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আহত হয়েছেন ২০ বছরের এক তরুণীও। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁর চিকিৎসা চলছে । গত বুধবার নিউ জার্সির কার্টিরেটের এক রেসিডেন্সিয়াল বিল্ডিংয়ের বাইরে এই ঘটনাটি ঘটে। হামলার কয়েক ঘণ্টা পর হামলাকারী তরুণকে পাকড়াও করেছে পুলিশ, সিবিএস নিউজের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে।

সূত্রের খবর, অভিযুক্তের নাম গৌরব গিল। সম্প্রতি সে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিয়েছিল। ওয়াশিংটন স্টেটের কেন্ট শহরে থাকতে শুরু করেছিল। ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, গৌরব এবং হামলায় জখম গগনদীপ কৌর পূর্ব পরিচিত ছিলেন। দু’জনে একসঙ্গে পঞ্জাবের নকোদারে আইইএলটিএস কোচিংয়ে পড়াশোনা করতেন।

এদিকে গৌরবের গুলিতে যে মহিলা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁর নাম জসভির কওর। সম্পর্কে তিনি গগনদীপের তুতো দিদি। যে সময় ঘটনাটি ঘটে, সেই সময় গগনদীপ জসভিরের বাড়িতেই ছিলেন। আদতে পঞ্জাবের নূরমহলের নিকটবর্তী গোরসিয়ানের বাসিন্দা জসভির। তিনি নিউ জার্সির কার্টিরেটে অ্যামাজন ফেসিলিটিতে কর্মরত। তাঁর স্বামী পেশায় গাড়িচালক। ঘটনার সময় তিনি শহরে ছিলেন না, এমনটাই জানানো হয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ১২ নিউ জার্সির তরফে।

প্রায় বছর পাঁচেক আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিয়েছিলেন জসভির। তবে গগনদীপ সম্প্রতি স্টাডি ভিসা নিয়ে সেখানে পৌঁছেছিলেন। জসভিরের বাবা কেওয়াল সিং ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’-র কাছে জানিয়েছেন, “আমার মেয়েই ওকে রেখেছিল। প্রতিটা পদে ওকে সাহায্য করছিল। যখন ঘটনাটি ঘটে, তখন জসভির ঘুমোচ্ছিল। বাড়ির বাইরে গগনদীপের সঙ্গে গৌরবের ঝামেলা হয়। গগনদীপ সাহায্যের জন্য জসভিরকে ডাকে। আর জসভির বিষয়টায় হস্তক্ষেপ করতেই অভিযুক্ত সটান তাঁর মুখে পরপর সাতটি গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই মারা যায় জসভির।” কেওয়াল সিং আরও জানান, গগনদীপকে তাঁর কন্যা এবং জামাতা দু’জনেই নানা ভাবে সাহায্য করতেন।

সম্প্রতি প্রায় একই সময়ে আমেরিকা পৌঁছেছিলেন গগনদীপ এবং গৌরব। জসভিরের মায়ের দাবি, গৌরবকে জসভির চিনতেন না। এমনকী গৌরব এবং গগনদীপের মধ্যে ঝামেলার বিষয়েও কিছু জানতেন না।
একাধিক চার্জ আনা হয়েছে অভিযুক্ত গৌরবের বিরুদ্ধে। কিন্তু কী কারণে এই হত্যা, সেটা এখনও প্রকাশ্যে আনেনি প্রশাসন। এমনকী অভিযুক্ত এবং গগনদীপ ও জসভিরের মধ্যে কোনও শত্রুতা আছে কি না, সেটাও জানা যায়নি। মঙ্গলবার অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করা হবে। তাঁকে আটক করার প্রসঙ্গে শুনানি হবে। ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’-র খবর, গৌরবের বাবা চরণ মাস্কটে থাকেন। ঘটনার কথা জানার পরেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি তার মা।