বৃষ্টির পর ভয়ঙ্কর রোগের থাবা! এক মাসে একশোরও বেশি মানুষ শিকার এই রাজ্যে

Uttar Pradesh News: বৃষ্টির পর ভয়ঙ্কর রোগের থাবা! এক মাসে একশোরও বেশি মানুষ শিকার এই রাজ্যে

মির্জাপুর: উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। গত এক মাসে একশোরও বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বৃষ্টির পর গ্রামাঞ্চলে দ্রুত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এছাড়া ওপিডিতে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ পরিস্থিতি সামাল দিতে আলাদা করে বিশেষ ওয়ার্ড এবং অতিরিক্ত স্বাস্থ্যকর্মী মোতায়েন-সহ বেশ কিছু ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে।

আরও পড়ুন: কুঁড়ে ঘরে ওত পেতে বসেছিল ভয়ঙ্কর প্রাণী! আর একটু হলেই ঘটে যেত পারত বিশাল অঘটন

মির্জাপুর জেলায় প্রতিদিন প্রায় ১৮০০ জন ব্যক্তি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ওপিডিতে ভিড় করছেন৷ এদের মধ্যে বেশিরভাগ রোগীই জ্বর ও শরীরের ব্যথায় ভুগছেন। এখনও পর্যন্ত জেলায় শতাধিক ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য প্রায় ২৪টি শয্যার পৃথক ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হয়েছে৷ বর্তমানে সেখানে নয়জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। হাসপাতালে আপাতত বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন : পেশায় তিনি পুলিশ, কাজের ফাঁকে বানরদের সঙ্গেই সময় কাটাতে পছন্দ করেন এই অফিসার!

হঠাৎ ডেঙ্গুর প্রভাবে এমন বেড়ে গেল কী করে? হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ সুনীল সিং লোকাল-18 কে বলেন, ডেঙ্গুর আক্রমণ থেকে বাঁচতে হলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। বৃষ্টির পর খেয়াল রাখতে হবে যাতে ছাদে জল না জমে, কারণ ডেঙ্গুর মশা পরিষ্কার জলেই বংশবিস্তার করে। মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি প্রত্যেককে অযথা আতঙ্কিত হতেও না করেছেন তিনি৷ জ্বর হলে কী করবেন সেটাও জানিয়েছেন সুনীল সিং৷ তাঁর মতে, জ্বরের প্রাথমিক উপসর্গ ধরা পড়লে প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে৷ তবে পরিস্থিতি খারাপ হলে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া ভালো। ডেঙ্গু মশা দিনের বেলায় কামড়ায়।

ডাঃ সুনীল সিং আরও জানিয়েছেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া উচিত। নারকেলের জল, জুস এবং ওআরএসের মতো জিনিস শরীরে জলের অভাব পূরণে সাহায্য করবে। প্লেটলেট যখন কম থাকে, রোগীদের তখন হাসপাতালে ভর্তি করে ড্রিপ দেওয়া হয়। ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই, এর লক্ষণ এক সপ্তাহ ধরে থাকে।

জ্বর আসা মানেই যে ডেঙ্গু তা নয়৷ এর উপসর্গগুলি কী কী? প্রচণ্ড জ্বর, মাথাব্যথা, পেট ফাঁপা, বমি, দুর্বলতা এবং মাথা ঘোরার মতো ব্যাপারগুলি হলে দেরি না করাই ভালো। দুদিন পুরো ব্যাপারটা খেয়াল করুন৷ পরিস্থিতি ঠিক না হলে, নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে রক্ত পরীক্ষা করান৷ ডেঙ্গুকে অবহেলা করলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে৷ স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এই ব্যাপারটা নিয়েও সতর্ক করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে৷