ননদ-বৌদির খাবারের দোকান। প্রতীকী ছবি।

Viral: দাদা-বৌদি ভুলে যান, জেলা কাঁপাচ্ছে এখন ননদ-বৌদির হোটেল! চমক শুনলে মাথা ঘুরে যাবে

কোচবিহার: বেশ কিছুটা সময় কোচবিহারে একের পর এক খাবারের দোকান শুরু হচ্ছে। এক একটি দোকানের বিশেষত্ব একেক রকমের। তবে বর্তমান সময়ে কোচবিহারে এক নতুন খাবারের দোকান বেশ অনেকটাই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কলকাতার জনপ্রিয় দাদা-বৌদির দোকানের নাম তো অনেকেই শুনেছেন। এ বার কোচবিহারে অনেকটা সেই রকমের দোকান শুরু হয়েছে। তবে এই দোকানে নাম দাদা-বৌদি নয়, এটা ননদ-বৌদির খাবারের দোকান।

এই দোকানে বিরিয়ানি মেলে না। পাওয়া যায় ফাস্টফুড আইটেম থেকে শুরু করে আরও অনেক কিছু। কোচবিহারে ‘ননদ-বৌদির’ এই দোকান এখন লোক মুখে প্রচলিত। খুব কম খরচেই বেশ ভাল মানের খাবার দিচ্ছে এই দোকান। দোকানের কর্নধার সম্পর্কে ননদ পম্পা অধিকারী জানান, “আগে অন্য জায়গায় দোকান ছিল। তবে সেটি ভাড়া করা জায়গায় থাকায় সমস্যা হচ্ছিল। এ বারে নিজেদের জায়গায় এই খাবারের দোকান শুরু হচ্ছে। বৌদির সঙ্গে মিলে এই দোকান শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ তুলসি গাছের আশপাশে ‘এই’ ৬ জিনিস কোনওদিন ভুলেও রাখবেন না, তছনছ হবে সংসার, পথের ভিখারি হবেন কিছুদিনেই

বর্তমানে বহু মানুষ রয়েছেন, কিন্তু তাঁদের দোকান নামের জন্যই আকর্ষণীয় হয়েছে। দোকানে এসে খাবার খেয়েও মুগ্ধ হচ্ছেন সকলে। বহু গ্রাহক প্রতিদিন আসছেন এই খাবারের স্বাদ নিতে। ইতিমধ্যেই তাঁরা কোচবিহারে স্বল্প সময়ের মধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

দোকানের আর এক কর্নধার এবং বৌদি জবা অধিকারী বলেন, “বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যায় দোকানে। চা, কফি, রুটি সবজি, পরোটা সবজি, ঘুগনি, পকোড়া, আলুর চপ, ডিম অমলেট ও এগ রোল এবং ডিমের করি পাওয়া যায়। সন্ধের সময় তাঁদের দোকানের এগরোল খেতে বেশি আসেন মানুষ।” ক্রেতা বিধুভূষণ রায় জানান, “দোকানের খুবই সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায়। একদম বাড়ির খাবার মতো স্বাদ এই দোকানের খাবারে। তবে একটা কথা বলতেই হয় খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই দোকানের নাম সকলের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।” তবে কোচবিহারের ভোজন রসিকদের ইতিমধ্যেই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে নতুন শুরু হওয়া এই ননদ-বৌদির খাবারের দোকান।

Sarthak Pandit