গুহার ভিতর আস্ত গ্রাম! ছোটদের স্কুল, খেলার মাঠ কী নেই! দৃশ্য দেখলে চোখের পলক পড়বে না

গুহার ভিতর আস্ত গ্রাম! ছোটদের স্কুল, খেলার মাঠ কী নেই! দৃশ্য দেখলে চোখের পলক পড়বে না

বেজিং: এ যেন পাতাললোক। গুহার ভিতর ঢুকলেই ‘আন্ডারওয়ার্ল্ড’। মাটির নীচে আস্ত গ্রাম। সার দিয়ে বাড়ি, ছোটদের স্কুল থেকে শুরু করে খেলার মাঠ। কী নেই! শতাধিক মানুষ বাস করেন। তবে হ্যাঁ, গ্রামবাসীদের মৌলিক সুযোগ সুবিধার অভাব রয়েছে।

সম্প্রতি এই গ্রামের কিছু ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা দেখে বিস্ময়ে পলক পড়ছে না নেটিজেনদের। গুহার ভিতর আশ্চর্য গ্রাম দেখতে দূরদূরান্ত থেকে এখানে ভিড় জমান পর্যটকরা। বর্তমানে এটা ট্যুরিস্ট স্পটে পরিণত হয়েছে।

আরও পড়ুন– ‘অনুমতি’ দিক বা না-দিক, টর্নেডোয় দুর্গতরা ১.২০ লক্ষ টাকা করে পাবেন: অভিষেক

এই গ্রাম থেকে সবচেয়ে কাছের বাজারটাও ১৫ কিমি দূরে। পুরোটাই হাঁটাপথ। গাড়িঘোড়ার কোনও ব্যবস্থা নেই। তবে ছোটদের স্কুল রয়েছে। গুহার ছাদের নীচে টেবিল চেয়ার পেতে বসে বাচ্চারা। বাঁশ পুঁতে টাঙানো হয়েছে ব্ল্যাকবোর্ড। বাস্কেটবল কোর্টও রয়েছে।

Photo: Social Media
Photo: Social Media

কোথায় গেলে দেখা যাবে এই গ্রাম? এখানে দেওয়া হল তারই হদিশ। গ্রামের নাম ঝংডং। চিনের গুইঝো প্রদেশে অবস্থিত। বহু শতাব্দী ধরে এই গুহায় বাস করে আসছেন কয়েকশো মানুষ। গুহাটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত।

আরও পড়ুন– JEE-তে প্রথম হন, IIT বম্বে-তে ২ বছর পড়াশোনা করে চলে যান MIT-তে, এখন কী করছেন সত্বত জগওয়ানি?

গুহায় বাস করা চিনা সভ্যতার অংশ নয়, এই বলে ২০০৮ সালে এখানকার স্কুল বন্ধ করে দেয় চিনা সরকার। গুহার শিশুদের তাই বাধ্য হয়ে দূরের একটি গ্রামের স্কুলে পড়াশোনা করতে যায়। সকালে গিয়ে সন্ধ্যায় ফেরে।

প্রথমদিকে এই গ্রামে কোনও রাস্তা ছিল না। ছিল না বিনোদনের কোনও উপকরণ। আস্ত একটা গ্রাম যেন প্রাচীন যুগে পড়ে রয়েছে। সভ্যতার আলো এসে পৌঁছয়নি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এই নিয়ে লেখালিখি শুরু হতে টনক নড়ে চিনা সরকারের। গ্রামের উন্নয়নে একাধিক পদক্ষেপ নেয় তারা।

সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হতেই পর্যটকরা ভিড় জমাতে শুরু করেন গ্রামে। বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একটা রাস্তাও তৈরি করে দেয় চিনা সরকার। বহু মানুষ এই গ্রাম ছেড়ে চলে গেলেও এখনও এখানে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা কম নয়। উচ্চশিক্ষার জন্য অনেকেই গ্রাম ছেড়ে শহরে বসবাস করেন। তাঁরাও বছরে একবার আসেন। ঘুরে দেখেন জন্মস্থান।