Tag Archives: Russia Ukraine Crisis

Indian Dies Fighting For Russian Army: নিহত রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধরত ১ ভারতীয়, মৃতদেহকে দেশে ফেরানোর আর্জি মৃতের পরিবারের

মস্কো: কয়েকদিন আগেই রাশিয়ায় নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে পুতিনের বৈঠক হয়েছে৷ সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ান সেনাবাহিনীতে কর্মরত ভারতীয় নাগরিকদের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন৷ তাঁদের দ্রুত মুক্তির ব্যপারেও তিনি পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন৷

এরই মধ্যে ইউক্রেনের মাটিতে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে একজন ২২ বছরের তরুণের মৃত্যুর খবর এল৷ মৃত ব্যক্তিটি হরিয়ানার কাইথাল জেলার মাতুল গ্রামের বাসিন্দা৷ ব্যক্তির নাম রবি মউন৷

আরও পড়ুন: ছোটবেলা থেকেই চোখে ছিল ইউপিএসসির স্বপ্ন, দিল্লির রাজেন্দ্রনগরের ঘটনায় সলিল সমাধি স্বপ্নের, হাহাকার তানিয়ার পিতার

তাঁর দাদা অজয় মউন জানান, ‘‘রবি জানুয়ারি মাসে রাশিয়াতে গিয়েছিল৷ একজন এজেন্ট তাঁকে পরিবহন দফতরের চাকরির প্রতিশ্রুতি দেন৷ কিন্তু ওখানে যাওয়ার পর তাঁকে সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য এক প্রকার বাধ্য করা হয়৷’’

আরও পড়ুন:অনুপ্রবেশকারী ও সেনাবাহিনীর মধ্যে গুলির লড়াইয়ে নিহত ১ সেনা, আহত মেজর পদমর্যাদা সহ ৪ জন

অজয়ের দাবি, রবি মউনকে কারাবাসের হুমকি দিয়ে এক প্রকার সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছিল৷ পরিবারের সূত্র থেকে আরও জানা যায়, মৃত সেনাকে পরিখা খননের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়৷ ৬ মার্চ থেকেই তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে ছিলেন৷ ১২ মার্চের পর থেকে পরিবারের সঙ্গে তাঁর সমস্ত যোগাযোগই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়৷

২১ জুলাই, ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে রবি মউনের ভাইয়ের কাছে একটা ইমেল আসে৷ তারপরই রবির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে৷ ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে, রবির পরিবারকে দেশের কোনও একটা হাসপাতাল থেকে করা ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট পাঠাতে অনুরোধ করা হয়েছে৷

রবি মউনের পরিবার তাঁর মৃতদেহকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আবেদন জানিয়েছেন৷

এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরেজওয়ালা পরিস্থিতিকে ‘হৃদয়বিদারক’ বলে বর্ণনা করেছেন৷ সংকট মোকাবেলার জন্য সরকারকে জরুরি পদক্ষেপ নিতে আবেদন জানিয়েছেন৷

ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে জুলাই মাসেই আরও দুজনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল৷ তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন সুরাট, আর এক জন হায়দরাবাদের ব্যক্তি৷ এবার আরও এক ভারতীয়ের মৃত্যুতে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধরত ভারতীয়দের দুরবস্থার চিত্রটি স্পষ্ট করল৷

Viral Pic of Dog in Ukraine: জাগবে না আর, তবু ইউক্রেনে যুদ্ধে মৃত মালিকের দেহের পাশে অপেক্ষায় পোষ্য সারমেয়!

Viral Pic of Dog in Ukraine: রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর কেটে গিয়েছে প্রায় দেড় মাস। রাস্তায় মৃতদেহ আর গুঁড়িয়ে যাওয়া বাড়ির দৃশ্য দেখতে দেখতে বিশ্বের চোখ সয়ে গেছে। মানুষের মৃত্যু সহজ, কিন্তু মৃত্যুকে মেনে নেওয়া ততটাই কঠিন। যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশে এক সারমেয়র অপেক্ষা এই কথাই আবার প্রমাণ করছে। মালিক মরে পড়ে রইলেও মৃতের পাশে বসে ফের জ্যান্ত হয়ে ওঠার অপেক্ষাতে বসে রয়েছে এই পোষ্য। ইউরোপের এক সংবাদ মাধ্যম নেক্সটা টিভি জানিয়েছে, কিয়েভে রাশিয়ার আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন ওই পোষ্যের মালিক। কিন্তু তাঁর পোষ্য তাঁকে ছেড়ে নড়ছে না।

আরও পড়ুন- যুদ্ধের মাঝেই রাশিয়ায় কনডোমের বিক্রি বাড়ল ১৭০%! কেন এত চাহিদা জানালেন বিজ্ঞানীরা

ছবিতে দেখা গিয়েছে রাস্তার ধারে মরে পড়ে থাকা দেহের পাশেই বসে রয়েছে কুকুরটি। মৃতদেহের পাশেই পড়ে রয়েছে একটি নীল রঙের বাইসাইকেল। স্বাভাবিকভাবেই, যুদ্ধের এই অস্থির সময়ে এমন ছবি ফের প্রশ্ন তুলছে, যুদ্ধে আসলে কাদের লাভ, যুদ্ধে আসলে কাদেরই বা ক্ষতি? ছবির নীচে এক নেটিজেন মন্তব্য করেছেন, “কুকুরটা তো পরিস্থিতি বুঝছে না। ও মালিকের জেগে ওঠার অপেক্ষা করছে। কী মর্মান্তিক! ভালোবাসা আর বিশ্বাসের সংজ্ঞা কী, তা ওকে দেখে বোঝা যাচ্ছে।”

অন্য এক নেটিজেন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে কুকুরদের অবস্থার দিকটিও তুলে ধরেছেন। একটি ট্যুইটে তিনি জানিয়েছেন, কিয়েভের পশুকেন্দ্রগুলিতে জল আর খাবার না পেয়ে ৩৫৫ টি কুকুরের মৃত্যু ঘটেছে। রাশিয়ার এক নাগাড়ে আক্রমণের কারণে কুকুরদের জন্য খাবার মজুত করতেও পারেননি কেউ। এখন বেঁচে রয়েছে মাত্র ১৫০ টি সারমেয়।”

আরও পড়ুন- Viral Optical Illusion: বলুন তো, ছবির মানুষটি আপনার দিকে দৌড়ে আসছে নাকি আপনার থেকে দৌড়ে পালাচ্ছে?

ছবিটি দেখে অনেকেরই মনে পড়ে গিয়েছে হলিউডের সেই বিখ্যাত সিনেমা ‘হাচিকো’র কথা। সেখানেও মৃত মালিকের জন্য এভাবেই অপেক্ষা করেছিল পোষ্যটি। ১৯৩০ সালের একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হয়েছিল সেই সিনেমাটি। মালিকের মৃত্যুর পরেও ৯ বছর অপেক্ষা করেছিল হাচিকো নামের জাপানি কুকুরটি।

টাইমস অব ইজরায়েলের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউক্রেনের মারিওপোলের মেয়র ভাদিম বৈচেঙ্কো সম্প্রতি জানিয়েছেন রাশিয়ার বোমা বর্ষণে শহরের ৮০% ভবনই গুঁড়িয়ে গিয়েছে। যার মধ্যে ৪০% আর কোনওভাবেই সারানোও যাবে না। এখনও শহরে আটকে রয়েছেন ১ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষ।

War in Ukraine: Volodymyr Zelensky : অভিনেতা থেকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট, ছোটদের প্রিয় প্যাডিংটন ভালুকের কণ্ঠস্বর জেলেনস্কি-ই

নয়াদিল্লি : সামরিক সাজে রণাঙ্গনে তাঁর ছবি এখন ভাইরাল সামাজিক মাধ্যমে (War in Ukraine)৷ রাষ্ট্রনায়ক পরিচয়ের আড়ালে চাপা পড়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদোমির আলেকজান্দ্রোভিচ জেলেনস্কির (Volodymyr Zelensky) অভিনেতা সত্তা৷ কাকতালীয় হলেও সত্যি, অতীতে জেলেনস্কি এমন এক টেলিভিশন সিরিজে অভিনয় করেছিলেন যেখানে তাঁকে দেখা গিয়েছিল দেশের প্রেসিডেন্টের ভূমিকায়৷

২০১৫ সালে ইউক্রেন টেলিভিশনে সম্প্রচার শুরু হওয়া সেই মেগা সিরিজের নাম ‘সার্ভেন্ট অব দ্য পিপল’ (Servant of the people)৷ পর্দায় প্রেসিডেন্টের ভূমিকায় অভিনয় করার বছর চারেকের মধ্যে ২০১৯ সালে জেলেনস্কিকে দেখা গেল বাস্তবেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পদে৷ রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে জেলেনস্কির অভিনয় ও গানের ক্লিপিংস৷

এই প্রসঙ্গে ব্রিটিশ অভিনেতা হিউ বোনভিল ট্যুইট করে জানিয়েছেন জেলেনস্কিই ছিলেন ‘প্যাডিংটন বেয়ার’ ইউক্রেনীয় সংস্করণের কণ্ঠস্বর৷ জনপ্রিয় চরিত্র প্যাডিংটনের ব্রিটিশ প্রোডাকশনের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন বোনভিল নিজে৷

আরও পড়ুন : মেয়ের স্কার্ফ টুপি জুতো মায়ের হাতে, রক্তাক্ত বাবা ধরে আছেন এক হাত, ইউনিকর্ন পায়জামা পরে ঘুমের দেশে ইউক্রেনীয় বালিকা

এই তথ্যে চমকে গিয়েছেন নেটিজেনরা৷ তাঁরা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন নেটবার্তায়৷ জেলেনস্কির অবিশ্বাস্য প্রতিভায় তাঁরা মুগ্ধ৷ অনেকেই তুলে ধরেছেন তাঁর নাচের দক্ষতার কথাও৷ জেলেনস্কির একটি ভিডিও-ও এখন চর্চিত ইন্টারনেটে৷ সেখানে তাঁকে দেখা যাচ্ছে টেলিভিশন ডান্স শো ‘টান্টসি জেড জিরক্যামি’-তে৷ এই শো আসলে ‘ডান্সিং উইথ দ্য স্টারস’-এর ইউক্রেনীয় সংস্করণ৷ ভাইরাল হওয়া ক্লিপে জেলেনস্কিকে দেখা যাচ্ছে একাধিক পোশাকে৷ বিভিন্ন গানের সুরে তিনি নাচছেন৷ ‘ইউএসএ টুডে’ পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৬ সালে ওই ডান্স শো-এ বিজয়ী হয়েছিলেন জেলেনস্কি ও তাঁর সঙ্গী নৃত্যশিল্পী ওলেনা শোপটেঙ্কো৷

আরও পড়ুন : ৬০ কেজি সোনা দান অজ্ঞাতপরিচয় দাতার! নবরূপে স্বর্ণসাজে সেজে উঠছে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির

আরও পড়ুন : অগ্নিমূল্যের বাজারে মাত্র আড়াই টাকায়! ভাইরাল অমৃতসরের বৃদ্ধের দোকানের শিঙাড়ার ভিডিও

ইউক্রেনের দক্ষিণ পূর্ব অংশে ক্রিভ রি শহরে ১৯৭৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন জেলেনস্কি। এক উচ্চশিক্ষিত ইহুদি পরিবারে জেলেনস্কি-র বাবা আলেকজান্দার ছিলেন ক্রিভ রি ইনস্টিটিউট অফ ইকনমিক্স-এর সাইবারট্রনিক্স আর কম্পিউটার হার্ডওয়্যার বিষয়ক অধ্যাপক। মা রিম্মা জেলেনস্কার পেশা ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং। আইনশাস্ত্রের ছাত্র জেলেনস্কি অবশ্য পরবর্তীতে পা রাখেন বিনোদন জগতে। তৈরি করেন ‘ভার্টাল ৯৫’ নামে একটি সংস্থা৷ তাদের কাজ মূলত ছিল কমেডি শো তৈরি। টেলিভিশন শো ‘সার্ভেন্ট অফ দ্য পিপল’ ছিল এই সংস্থারই তৈরি৷

Cristiano Ronaldo On WWIII: ‘শিশুদের সুস্থ পৃথিবী দিন’, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্কে এবার রোনাল্ডো

#লন্ডন: রিয়াল মাদ্রিদে ইউক্রেনের গোলকিপার আন্দ্রি লুনিন ছিলেন তাঁর সতীর্থ। সেই পুরনো সতীর্থের পাশে আগেই দাঁড়িয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তিনি সাফ জানিয়েছিলেন, যুদ্ধের বিরুদ্ধে তিনি। রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন ম্যান ইউয়ের তারকা। আর এবার তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনা নিয়ে আতঙ্কে।

রোনাল্ডোর বর্তমান ক্লাব ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড রাশিয়ার জাতীয় বিমানসংস্থা এরোফ্লটের সঙ্গে ৪০ মিলিয়ন পাউন্ডের স্পনসরশিপ চুক্তি বাতিল করেছে। রোনাল্ডো নিজেও গত কয়েকদিনে বারবার যুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেনের পাশেই আছেন তিনি। তবে পাশাপাশি রোনাল্ডো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনা নিয়েো চিন্তায় রয়েছেন।

আরও পড়ুন- পোল্যান্ড, সুইডেনের পাশে চেক রিপাবলিক! রাশিয়ার পতাকা নিষিদ্ধ ফিফায়

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলে ফল যে ভয়ানক হবে তা আর বলে দিতে হবে না। ইতিমধ্যে রাশিয়া ফাদার অফ অল বম্বস ফেলার হুমকিও দিয়ে রেখেছেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটা সময় বলেছিলেন, রাশিয়া না থাকলে এই পৃথিবীর দরকারটা কী! অর্থাত্, তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, অস্তিত্বের সংকট দেখা দিলে রাশিয়ার থেকে ভয়ানক কেউ নেই। রাশিয়ার এই আগ্রাসনকেই কি তা হলে ভয় পাচ্ছেন রোনাল্ডো।

ফুটবলের সুপারস্টার এদিন লিখেছেন, দয়া করে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটা সুস্থ, স্বাভাবিক পৃথিবী গড়ে দিয়ে যান। বিশ্বে শান্তি বিরাজ করুক। যদিও রোনাল্ডো একা নন, একের পর এক তারকা রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের বিরুদ্ধে বলছেন। তবে সেই কথা রাষ্ট্রনায়কদের কান পর্যন্ত পৌঁছচ্ছে না।

আরও পড়ুন- অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস হইতে সাবধান! টিম ইন্ডিয়াকে সতর্ক করলেন জাহির

এরই মধ্যে ফিফা এবং উয়েফা রাশিয়াকে সবরমক টুর্নামেন্ট থেকে বাদ দিয়েছে। ফলে এবার কাতার বিশ্বকাপেও রাশিয়াকে দেখা যাবে না। তবে এসব কিছুতেই দমাতে পারছে না ক্ষমতাশালী রাশিয়াকে। তাদের হাবভাব এমন যেন ইউক্রেন দখল না হওয়া পর্যন্ত দম নেওয়া যাবে না। এই জায়গা থেকে ফিরে গেলে তাদের সম্মানহানি হবে। ক্ষমতাবান রাশিয়া ক্ষমার পথে যেতে নারাজ। ফলে আগামী কয়েকদিনে ইউক্রেনের উপর আরও জোরালো হামলা করতে পারে রাশিয়া। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

FIFA bans Russia flag: পোল্যান্ড, সুইডেনের পাশে এবার চেক রিপাবলিক! রাশিয়ার পতাকা নিষিদ্ধ করল ফিফা

#জুরিখ: ভ্লাদিমির পুতিন যত আক্রমনাত্মক হচ্ছেন, গোটা ইউরোপ তার বিরুদ্ধে জোট বদ্ধ হচ্ছে ইউক্রেন নিয়ে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে খেলার মাঠে প্রভাব আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। পোল্যান্ড আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারণে রাশিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলবে না তারা। আগামী ২৪ মার্চ এ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে বিশ্ব–ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা জানিয়ে দিয়েছে, ‘রাশিয়া’ নাম নিয়েই পুতিনের দেশ কোনো আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচে মাঠে নামতে পারবে না।

আরও পড়ুন – Shreyas Iyer vs Sri Lanka : শেষ কয়েক মাসে জীবনটা যেন রোলার কোস্টার, বলছেন সিরিজ সেরা শ্রেয়স আইয়ার

তাদের খেলতে হবে ‘ফুটবল ইউনিয়ন অব রাশিয়া’ নামে। ২০১৮ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশে অনুষ্ঠিত হবে না কোনো আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ। বিদেশের মাটিতে যেকোনো ফুটবল ম্যাচে নিষিদ্ধ থাকবে রাশিয়ার জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীত। ফিফা অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে, ইউক্রেন পরিস্থিতির অবনতি হলে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে পুরোপুরিই নিষিদ্ধ করা হবে রাশিয়াকে।

আরও পড়ুন – Vinod Kambli Arrested: বেপরোয়া মনোভাবেই নষ্ট ক্রিকেট জীবন, এবার মারাত্মক অভিযোগে গ্রেফতার বিনোদ কাম্বলি!

ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর ফিফা এই প্রথম রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ ঘোষণা করল। বিশ্ব ফুটবল সংস্থা এটিকে বলছে ‘তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা’। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক শক্তি ব্যবহারের নিন্দাও জানিয়েছে ফিফা। তারা আরও জানিয়েছে, ‘ফুটবল ইউনিয়ন অব রাশিয়ার’ হোম ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে নিরপেক্ষ মাঠে। কোনো রাশিয়ান সমর্থক সে ম্যাচগুলোয় উপস্থিত থাকতে পারবে না।

পোল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান সেজারি কুলেসজা ফিফার সমালোচনা করে টুইটারে বলেছেন, ফিফার রোববারের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া কঠিন। আমরা কেউই রাশিয়ার সঙ্গে খেলতে চাই না। আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। পোলিশ ফুটবল দল কোনোভাবেই রাশিয়ার সঙ্গে খেলবে না, সেটি যে নামেই খেলুক না কেন।

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে পোল্যান্ড ও রাশিয়ার সঙ্গে একই গ্রুপে আছে চেক প্রজাতন্ত্র ও সুইডেন। এ দুটি দেশও জানিয়ে দিয়েছে তারা কোনোভাবেই রাশিয়ার সঙ্গে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের কোনো ম্যাচ খেলবে না। কিন্তু ফিফার নিজস্ব নিয়ম বলছে এভাবে চাইলেই খেলা বাতিল করা যায় না। তাই সুইডেন, পোল্যান্ড এবং চেক রিপাবলিকের সঙ্গে আলোচনা করতে চান ফিফা প্রেসিডেন্ট।

Fact Check: হাতে অস্ত্র, যুদ্ধে নেমেছেন ইউক্রেনের সব থেকে সুন্দরী মহিলা! আসল সত্যিটা জেনে নিন

#কিভ: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতিমধ্যে ইউক্রেনের ৩৫২ জন্য সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। সরকারি হিসেব বলছে, ১৬৮৪ জনের বেশি সাধারণ মানুষ আহত। তবে রাশিয়ার আগ্রাসনের সামনে বুক চিতিয়ে লড়ছে ইউক্রেনের সেনা। এরই মধ্যে দেশ রক্ষার জন্য অস্ত্র তুলে নিয়েছেন ইউক্রেনের অনেক সাধারণ মানুষ।

যুদ্ধে পুরুষদের পাশাপাশি অনেক মহিলা ও সেলিব্রেটিও অবদান রাখছেন। এমনকী ইউক্রেনের মহিলা একজন সংসদ হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। এদিকে, কিছুদিন আগে খবর ছড়িয়ে পড়েছিল ইউক্রেনের সবচেয়ে সুন্দরী মহিলা ও প্রাক্তন মিস ইউক্রেন হাতে বন্দুক তুলে নিয়েছেন। ২০১৫ সালে মিস ইউনিভার্স হয়েছিলেন তিনি। তবে আসল সত্যিটা কিন্তু অন্য।

আরও পড়ুন- ইউরোপে হাজার হাজার কম্পিউটারে ইন্টারনেট বন্ধ, সাইবার হামলা ইউরোপে

রাশিয়ার হামলার বিরুদ্ধে দেশকে রক্ষা করতে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছেন আনাস্তাসিয়া লেনা। খবর ছিল এমনই। সেই খবর ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। তবে এবার লিনা নিজেই জানিয়েছেন, তার নামে যেটা রটেছিল সেটা সত্যি নয়। ২০১৫ মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল বিউটি কনটেস্টে ইউক্রেনের প্রতিনিধি ছিলেন তিনি। জিতেছিলেন খেতাব। ইউক্রেনে তিনি বেশ জনপ্রিয়। ইউক্রেনের মহিলাদের মনোবল বাড়াতে তিনি সব সময় কিছু না কিছু উদ্যোগ নিয়েই চলেছেন তবে লিনা জানিয়েছেন, তিনি যুদ্ধ পরিস্থিতে হাতে অস্ত্র তুলে নেননি।

লিনা ইউক্রেনের সেনায় যোগ দিয়েছেন বলেও খবর রটেছিল। তবে সেই খবরও সত্যি নয় বলে জানিয়েছেন লিনা। ইনস্টাগ্রামে আনাস্তাসিয়ার ফলোয়ার ৭৫ হাজারের বেশি। তাই ইনস্টাগ্রামের প্ল্যাটফর্মেই সত্যিটা তুলে ধরলেন তিনি। জানালেন, দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। তবে অস্ত্র তুলে তিনি যুদ্ধে নামেননি। তিনি ইউক্রেনের আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতোই যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে ভীত, সন্ত্রস্ত। তিনিও চাইছেন, জোট তাড়াতাড়ি সম্ভব এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ যেন শেষ হয়!

আরও পড়ুন- তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাঁধলে পৃথিবী থেকে জীবের অস্তিত্ব নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে

এদিন ইনস্টাগ্রামে লিনা লিখেছেন, “আমি ইউক্রেনের সেনায় যোগ দিইনি। আমি ইউক্রেনের একজন সাধারণ মানুষ। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে আমি কয়েকটা কথা বলতে বাধ্য হচ্ছি। আমি সেনাতে যোগ দিইনি। আমি একজন নারী, একজন সাধারণ মানুষ। শুধু একজন মানুষ, আমার দেশের সব মানুষের মতো। আমিও বছরের পর বছর ধরে একজন এয়ারসফট প্লেয়ার। #airsoft মানে কী সেটা জনাতে আপনি Google করতে পারেন (এয়ার সফট হল সামরিক বিভাগের আয়োজন করা বিভিন্ন স্পোর্ট। এই স্পোর্ট – এ অংশ নেওয়া প্রতিনিধি হাতে বন্দুক নিয়ে, সামরিক নিয়ম মেনে মক কমব্যাট করেন। একেবারে সেনার সাজে )। আমার প্রোফাইলের সমস্ত ছবি মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে দেওয়া। লক্ষাধিক মানুষের মতো আমার স্বাভাবিক জীবন ছিল। আমাদের ইউক্রেনের মহিলাদের শক্তিশালী, আত্মবিশ্বাসী করা ছাড়া আমি কোনও প্রচার করি না। আমি আমার দেশের প্রতিটি পদক্ষেপের প্রশংসা করি। ইউক্রেনের সমস্ত মানুষ প্রতিদিন রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। আমরা জিতব। আমি কিয়েভে জন্মেছিলাম এবং এখানেই বসবাস করি। এই আমার শহর। ইউক্রেন আমার দেশ। ২৪ ফেব্রুয়ারী রাশিয়ান ফেডারেশন আমাদের জমিতে পা রেখে সাধারণ মানুষ, নারী, শিশুদের হত্যা শুরু করে। ইউক্রেনের জনগণের কোনো অপরাধ নেই। আমাদের কারো কোনও দোষ নেই। আমরা আমাদের জমিতে আছি। আমি পৃথিবীর সব মানুষের কথা বলি। ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করুন! কোন মানুষকেই মেরে ফেলা উচিত নয়! আমরা একসাথে এই সব বন্ধ করতে পারি। পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য শেয়ার করুন। @nato কে আকাশপথ বন্ধ করতে বলুন সবাইমিলে। রুশ আগ্রাসন বন্ধ করতে আমাদের ইউক্রেনীয় জনগণকে সাহায্য করুন।”

War in Ukraine : মিসাইল হামলার পরেও কীভাবে প্রাণে বাঁচলেন ইউক্রেনের শিক্ষিকা! রক্তাক্ত মুখের ছবি দেখে শিউরে উঠছে বিশ্বের মানুষ

#কিভ: রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত মুখ। যেন মৃত্যুর মুখ থেকে সদ্য ফিরে এসেছেন। কিন্তু তবুও চোখ দুটো যেন এই যুদ্ধ পার করে বাঁচার স্বপ্ন দেখে। এমনই এক রক্তাক্ত মুখের ছবি এই মুহূর্তে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে (War in Ukraine) কোনও মতে প্রাণে বেঁচেছেন ওলেনা কুরিলো। তাঁরই ক্ষতবিক্ষত মুখের ছবি নেটিজেনের চোখে জল আনছে। একদিকে যুদ্ধের সাক্ষী থাকার যন্ত্রণা, অন্যদিকে বাঁচার প্রবল আশা। এই ছবি যেন সেই বার্তাই দিচ্ছে।

ওলেনা পেশায় ইউক্রেনের (War in Ukraine) একজন শিক্ষিকা। রাশিয়া অবরত মিসাইল আক্রমণ করে চলেছে ইউক্রেনের উপর। প্রাণে বাঁচতে বাংকারে আশ্রয় নিচ্ছেন নাগরিকরা। এমনই এক মিসাইল হামলার সাক্ষী থেকেছেন ওলেনা। তাঁর চোখের সামনে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে অনেক কিছু। ঝুঁকিতে ছিল তাঁর প্রাণও। তবে ভাগ্যের জোরেই বেঁচে গিয়েছে ৫২ বছরের শিক্ষিকা। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসে দেশমাতৃকার জন্য সব কিছু করার প্রতিজ্ঞা করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন- বাংলার তিয়াসা আশ্রয় নিয়েছেন বাংকারে! ইউক্রেনে মেয়ে আটকে, ঘুম উড়েছে বাবা-মায়ের

রাশিয়ার হামলায় ধূলিস্মাৎ হয়ে গিয়েছে ওলেনার বাড়িও। বাড়িতে যখন বিরাট বিস্ফোরণ হয়, তখন জানলার কাঁচের টুকরোগুলো এসে বিঁধে যায় ওলেনার মুখে। আশা করেননি বাঁচবেন। তাই ভাগ্যকেই কৃতিত্ব দিচ্ছেন তিনি। ওলেনা ইতিহাসের শিক্ষিকা। কোনও দিনও আশা করেননি এই জীবনে এমন অবস্থার সাক্ষী হতে হবে।

শিক্ষিকার কথায়, “আমি ইউক্রেনের জন্য সবকিছু করব যা যা সম্ভব, যেটুকু শক্তি বেঁচে আছে। আমি আমার দেশমাতৃকার পক্ষেই থাকব সব সময়ে।” আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট-কে বলেছেন ওলেনা। ইউক্রেনবাসী এই মুহূর্তে যে বিভীষিকাময় পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তা বলে দিচ্ছে ওলেনার রক্তাক্ত মুখের এই ছবি। মুহূর্তে সারা বিশ্বে ভাইরাল হয়েছে তাঁর ছবি।

এই ছবি দেখে ইউক্রেনের (War in Ukraine) উপরে পুতিনের রাশিয়ার এহেন আক্রমণের নিন্দা চলছে নেটদুনিয়ায়। অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিজের ও রাশিয়ার ভাষায় জানিয়েছেন যে, ইউক্রেনের মানুষ শুধু শান্তি চায়। ইউক্রেনের সরকার শুধু শান্তি চায়। যুদ্ধ নয়। এও জানিয়েছেন, তাঁরা রাশিয়ার উপর পাল্টা আক্রমণ করবেন না। বরং নিজেদের রক্ষা করবেন।