মুর্শিদাবাদ: ভোট এলেই লক্ষী লাভ হয় দেওয়াল লিখন শিল্পীদের। চৈত্রের চড়া রোদ যখন সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা প্রচার করছেন। তখন রোদ কে উপেক্ষা করেই দেওয়াল লিখন করছেন শিল্পীরা। লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই তাঁদের দেখা যায়। সকাল থেকে রাত যে কোনও সময়ই হতে পারে ওঁদের কাজ করার সময়। সাতসকালে শহরের ঘুম যখন ভাল করে ভাঙে না, তখনও কাজ করতে আপত্তি নেই ওঁদের। ওঁরা দেওয়াল লিখন করেন।
সোজা কথায়, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর হয়ে ভোট দেওয়ার আবেদনের কথাটা দেওয়ালে লেখা। সঙ্গে আঁকেন দলীয় চিহ্নও। এক কথায়, প্রার্থীর লিখিত অথচ শব্দহীন প্রচার। তবে, যে রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর আবেদন লিখছেন ওঁরা, তাঁদের ওই নিদিষ্ট দলের ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। কারণ, এটা ওঁদের স্থায়ী বা অস্থায়ী জীবিকা ছাড়া আর কিছুই নয়। যে দল ডাকে, সে দলের ডাকেই সাড়া দিয়ে কাজে নেমে পড়েন ওঁরা। ছবিটা চেনা। একজন লেখেন। আর একজন রঙের কৌটো ধরে দাঁড়িয়ে বা বসে থাকেন। কখনও আবার এক সঙ্গে দু’তিনজনকেও দেখা যায়।
লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ | Lok Sabha Election 2024 West Bengal
আরও পড়ুন:প্রসাদ খাওয়া হয় গ্রামের বাগানে, জানুন ২৭০ বছরের প্রাচীন কালীপুজো নিয়ে
আঁকার ক্যানভাস বলতে পাড়ার কোনও বাড়ির দেওয়াল।কিন্তু এই মানুষগুলো কারা? ভোট তো পাঁচ বছরে একবার। বাকি দিনগুলো কী করেন তারা বেঁচে থাকার জন্য? একদিন সাইনবোর্ড লিখে বা বিভিন্ন সংস্থার বিজ্ঞাপন লিখে রোজগারের উপর ওঁদের অনেকেরই ভরসা ছিল। কিন্তু গ্লোসাইন বোর্ড আর কম্পিউটার টাইপিং হাত বাড়িয়েছে সেখানে। তার সঙ্গে বহুজাতিক সংস্থার চোখ ধাঁধানো সাইনবোর্ড তো আছেই। আধুনিকতার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় হেরে গিয়েছে সাবেকিয়ানা। এখনও সামান্য পুঁজি নিয়ে ব্যাবসা করতে নামা কোনও দোকান থেকে হয়ত সাইনবোর্ড লেখার বরাত মেলে। কিন্তু ভবিষ্যতে সেটুকুও মিলবে তো? প্রশ্নটা পিছু ছাড়ে না ওঁদের।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
কৌশিক অধিকারী