‘সিংহ রাগে কেশর নাড়ে’ আর সেই কেশর যদি হয় দুধ সাদা! দেখুন ভাইরাল ছবি

#কেপটাউন: সাধে কী আর সে পেয়েছে পশুরাজের তকমা! রাজকীয় ভঙ্গিমা, অসীম শক্তি, গাম্ভীর্যের জেরেই সে হয়ে উঠেছে বনের রাজা। চোখের সামনেই যদি এ হেন বিশালাকায় সিংহ তার নিজস্ব ছন্দে, কেশর দুলিয়ে এগিয়ে আসে, তবে সেই দৃশ্য দেখা এবং ক্যামেরাবন্দী করা ভাগ্যের ব্যাপার। তার উপরে সে যদি হয় বিরল প্রজাতির তুষারশুভ্রকায়, তবে যেন সোনায় সোহাগা! সম্প্রতি এই সব কিছু মিলিয়েই কপাল খুলেছে ব্রিটিশ ফটোগ্রাফারের। সিমন নিধাম (Simon Needham) ক্যামেরাবন্দী করেছেন বছর ছয়েকের মোয়াকে (Moya)। মোয়া দক্ষিণ আফ্রিকার একটি বিরল সাদা বন্য সিংহ (White Lion)।
খবর মোতাবেকে, মোয়াকে দেখতে এতটাই সুন্দর যে সিমন প্রায় বাকরহিত হয়ে গিয়েছিলেন! সিংহের (Lion) কেশর হল তার সৌন্দর্য ও অহঙ্কারের প্রতীক। মোয়ার কেশরও এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। ঘন দুধসাদা কেশরে তার সৌন্দর্য আরও বেশি বিকশিত হয়েছে।
মোয়া থাকে দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) গ্লেন গ্যারিফ কনজারভেশন সেন্টারে। সিমন জানতেন এর সামনে যাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু মোয়ার আকর্ষণ যেন অপ্রতিরোধ্য ছিল তাঁর কাছে। তাই দূর থেকেই পশুরাজকে ক্যামেরাবন্দী করেন তিনি।

সিমন জানিয়েছেন যে একজন ফটোগ্রাফার যখন ছবি তোলেন, তখন তিনি নিজের কাজের মধ্যে ডুবে যান। ফলে যার ছবি তোলা হচ্ছে, তার সৌন্দর্য বোঝার মতো সময় বা সুযোগ কোনওটাই থাকে না। যদিও প্রথমবার এই সিংহকে দেখে সিমন চমকে গিয়েছিলেন, তবুও ছবিগুলো তোলার পরেই একমাত্র তিনি সঠিক ভাবে বুঝতে পারেন যে এই প্রাণী আদতে কতটা সুন্দর!
সিমনের তোলা ছবিগুলোও অসাধারণ হয়েছে। এই ছবি নিজের ইন্সটাগ্রাম (Instagram) অ্যাকাউন্টে দেওয়ার পরই মোয়া ভাইরাল হয়ে যায়। সিমনের মতো মোয়াকে সামনাসামনি না দেখলেও এই ছবিতে তার সৌন্দর্য দেখে নেটিজেনরা স্তম্ভিত হয়ে যান।

প্রসঙ্গত জনিয়ে রাখা যায় যে এখন অনেক স্যাংচুয়ারিতেই সাদা সিংহ আছে, কিন্তু জঙ্গলে এই বিরল প্রজাতির প্রাণী প্রায় দেখাই যায় না! জেনেটিক মিউটেশনের (Genetic Mutation) ফলেই এই রকম সাদা রং দেখা যায়। এমনিতে সিংহের গায়ের রং সোনালি হয়। কিন্তু দু’টি বিরল জিনের মিলনে এই রকম সাদা রং হতে পারে।

সিমন জানিয়েছেন, ছবি তোলার ক্ষেত্রে তাঁকে সাহায্য করেছেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সিংহ সংরক্ষন সংস্থার প্রধান সুজান স্কট। এই ধরনের ছবির মাধ্যমে বন্যপ্রাণী বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করাই এই ছবি তোলার মূল উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন তিনি।