বাঁকুড়া: দেরিতে হলেও এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম মাটির বাঁধ বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুরের কংসাবতী জলাধার থেকে সেচের জন্য জল ছাড়া হল। শনিবার সকালে জলাধারের রাইট ব্যাঙ্ক মেন ক্যানেলে প্রায় ৮০০ ও লেফট ব্যাঙ্ক মেন ক্যানেলের মাধ্যমে ৩ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে কংসাবতী সেচ দফতরসূত্রে জানা গিয়েছে। একই সঙ্গে কংসাবতী সেচ দফতরসূত্রে জানানো হয়েছে, মুকুটমনিপুরের কংসাবতী জলাধারে জলধারণ ক্ষমতা ৪৩৪ ফুট। চলতি বছরে সেভাবে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় জলাধারের জলস্তর সেভাবে বাড়েনি। পরে বৃষ্টিপাত হওয়ায় ২১ আগষ্ট পর্যন্ত ৪২১ ফুটে পৌঁছায়। তারপরেই খরিফ মরশুমে প্রথম দফায় জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়।
বৃষ্টির পরিমান বাড়লে টানা কুড়ি দিন জলসরবরাহ করা হবে, না হলে মাঝপথেই তা বন্ধ করা হবে বলে খবর। এই জল ছাড়া শুরু হওয়ায় বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও হুগলী জেলার একাংশের আমন চাষিরা উপকৃত হবেন। এদিন জল ছাড়ার পর পরই কংসাবতী নদী তীরবর্ত্তী এলাকার মানুষকে সেচ দফতরেরপক্ষ সতর্ক থাকার আবেদন জানানো হয়েছে। চলতি বছর বর্ষার মরসুমে বৃষ্টির ঘাটতি থাকায় পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়া জেলার বহু জমি এখনো অনাবাদী রয়ে গেছে।
এই পরিস্থিতিতে বারংবার এলাকার চাষিরা মুকুটমনিপুর জলাধার থেকে জল ছাড়ার দাবিতুলতে থাকেন। কিন্তু সে সময় জল ছাড়ার মতজল মজুত না থাকায় মুকুটমনিপুর জলাধার কর্তৃপক্ষ জল ছাড়তে পারেনি।অন্যদিকে, মরশুমে প্রথমবার জল ছাড়ার ফলে কৃষিকাজে সেচের সুবিধা হবে বলেই সংশ্লিষ্ট এলাকার চাষিরা জানিয়েছেন।
তারা বলেন, বৃষ্টির উপর নির্ভর করে পুরো জমিতে চাষ করা সম্ভব হয়নি, এবার কংসাবতী জলাধারের জল থেকে বাকি জমি টুকুতেও চাষের কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। তবে এই জল ছাড়া আর একটু আগে হলেই বেশী ভালো হতবলে তারা জানান।
Neelanjan Banerjee