Weekend Short Tour: সপ্তাহ শেষে ঘুরে দেখুন তরুণ বিপ্লবীর জন্মভিটে

পশ্চিম মেদিনীপুর: বিপ্লবের মাটি মেদিনীপুর। তার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে স্বাধীনতা আন্দোলনের নানা গল্প। দেশের জন্য বীর শহীদদের লড়াইয়ের কাহিনী। জেলা সদর থেকে অনতি দূরে রয়েছে তরুণ বিপ্লবী শহীদ ক্ষুদিরামের জন্মভিটে। যেখানে জন্মেছিলেন ভারতের সশস্ত্র বিপ্লবের তরুণ এই বিপ্লবী। যদিও সেই জন্মভিটে সংস্কার করেছে প্রশাসন। তৈরি হয়েছে সবুজে ঘেরা পার্কও। তাই স্বাধীনতা দিবসের আগে যারা সপ্তাহ শেষে কাছেপিঠে ঘুরে আসার প্ল্যান করছেন, তাঁরা অবশ্যই আসতে পারেন এখানে। এখানে এলে নিজের ভারতীয় পরিচয় নিয়ে গর্ব অনুভব করবেন। জানতে পারবেন শহিদ ক্ষুদিরামের স্বল্প জীবনের নানা অজানা কথা।

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ক্ষুদিরাম বসু সেই তরতাজা যুবক, যিনি হাসতে হাসতে মোম লাগানো ফাঁসির দড়ি গলায় পরে নিয়েছিলেন। ভারতকে পরাধীনতার শৃঙ্খল মোচন করতে যিনি অল্প বয়সেই নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। তিনি জন্মেছিলেন অবিভক্ত মেদিনীপুরে। মেদিনীপুর সদর থেকে সামান্য কয়েক কিলোমিটার দূরে কেশপুর ব্লকের মোহবনি গ্রাম। এখানেই জন্মেছিলেন ক্ষুদিরাম বসু। পৈত্রিক জন্মভিটেতে রয়েছে ক্ষুদিরামের পূর্ণাবয়ব মূর্তি। রয়েছে গ্রন্থাগার থেকে সাজানো বাগান। অবশ্য এখন অবশিষ্ট নেই পৈত্রিক বাড়িটি। পাশেই থাকেন শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর পৌত্র ও তাঁর পরিবার। মেদিনীপুর সদর শহর থেকে কেশপুর। কেশপুর থেকে সামান্য কিছুটা এগোলেই পড়বে মোহবনি গ্রাম। এই গ্রামে জন্মেছিলেন ক্ষুদিরাম।

আর‌ও পড়ুন: বৃষ্টি শুরু হতেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, ঠেকাতে কী ব্যবস্থা?

কিন্তু জন্মের পর সামান্য কয়েকটা দিন এখানে থাকলেও তিনি বড় হয়েছেন তাঁর দিদি অপরূপা দেবীর কাছে। তবে এখানে সাজিয়ে তোলা হয়েছে গ্রন্থাগার, মুক্তমঞ্চ। পাশেই বেশ কিছুটা জায়গায় পুকুরের পাড় বরাবর লাগানো হয়েছে একাধিক গাছ, বসার জায়গা। কীভাবে পৌঁছবেন এখানে? কলকাতা থেকে বাসে না ট্রেনে এলে নামতে হবে মেদিনীপুর স্টেশনে। তারপর বাসে চেপে মেদিনীপুর সদর থেকে ভায়া কেশপুর হয়ে ঘাটাল যাওয়ার রাস্তায় পড়বে নেড়াদেউল বাস স্ট্যান্ড।

সেখানে নেমে টোটো ধরে পৌঁছে যাওয়া যাবে এই জায়গায়। দূরত্ব চার কিলোমিটার। গুগল লোকেশন: https://maps.app.goo.gl/3iyMrP9WpaCSyJuf8
তাই যারা সপ্তাহ শেষে ঘুরে আসার প্ল্যান করছেন তাঁরা অবশ্যই বিপ্লবের এই পীঠস্থান থেকে একবার ঘুরে যান। ঘুরে দেখুন শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর জন্মস্থান। নিমিষেই মন ভাল হয়ে যাবে আপনার।

রঞ্জন চন্দ