লাইফস্টাইল Weight Loss Tips: মোমের মতো গলবে মেদ, ফিগার হবে চাবুক! জিম ভুলে যান… এই পাতার রসই জাদু দেখাবে Gallery April 22, 2024 Bangla Digital Desk বাড়তে থাকা ওজন এখন আমাদের একটা বড় দুশ্চিন্তা। কিশোর থেকে যুবক-সকলেই মেদ বাড়া নিয়ে চিন্তিত। আর তার থেকেও বড় কথা তরুণীদের মধ্যে ডায়েটের প্রবণতা ইদানীং বিপুল বেড়েছে। প্রত্যেকেই চায় ফিট শরীর। আমাদের চারপাশের প্রকৃতির ভাণ্ডারে লুকিয়ে রয়েছে এমন অনেক উপাদান যার সঠিক ব্যবহার জানা থাকলে আমরা সারাজীবন নিজেদের সুস্থ রাখতে পারি। এই জিনিসগুলির মধ্যে একটি হল কারি পাতা। কমানোর বিষয়েও দারুণ কাজ করে এই কারি পাতা। খাবারে নিয়মিত কারি পাতার রস খেলে চর্বি গলে যায়। ওজন কমে। কারিপাতায় ভরপুর মাত্রায় ভিটামিন এ থাকে। এই ভিটামিন চোখের জন্য বেশ জরুরি। ফলে কারিপাতা ভেজানো জল খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে, চোখের বিভিন্ন সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়। কারি পাতা সকালের অসুস্থতায় সহায়তা করে: কারি পাতা গর্ভবতী মহিলাদের তাদের প্রথম ত্রৈমাসিকে সকালের অসুস্থতা উপশমে সাহায্য করে। এটি এমন একটি ভেষজ যা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। কারি পাতা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে: শরীরের ইনসুলিন কার্যকলাপকে প্রভাবিত করে কারি পাতা৷ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ডা. রাঘবেন্দ্র চৌধুরী জানান, কারি পাতা ক্যালসিয়াম এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের ভাণ্ডার। এই পাতা খেলে যেকোনও মানুষ নিজেকে সুস্থ রাখতে পারেন। ডায়াবেটিস রোগীরাও এটি ব্যবহার করে সুস্থ থাকতে পারেন। কারিপাতাভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি১২ সমৃদ্ধ। এছাড়াও কারি পাতা আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের একটি বড় উৎস। কারি পাতা চুল পড়া কমায়। চুল পাকা হওয়া রোধ করে। ডাল, পোলাও, স্যুপ, সবজির মতো যে খাবারই তৈরি করুন না কেন, তাতে অবশ্যই ৩-৪টি কারি পাতা যোগ করুন। এতে শুধু স্বাদই বাড়বে না, চুলের পাশাপাশি শরীরেরও উপকার হবে। দক্ষিণ ভারতের বেশির ভাগ রান্নায় কারি পাতা ব্যবহার করা হয়। ইদানীং উত্তর ভারতেও এই পাতার ব্যবহার শুরু হয়েছে। যে কোনও রান্নায় কারি পাতা ব্যবহার করা যেতে পারে। তাছাড়া, একেবারে সরাসরি কারি পাতা চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে। একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষ প্রতিদিন ১০টি পাতা খেতে পারেন। এর সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে সকাল ও সন্ধেয় ব্যবহার করা যেতে পারে। কারিপাতা নিয়মিত খেলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। রক্ত শুদ্ধ ও পাতলা থাকে। রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে অনেক রকম রোগের ঝুঁকি কমে যায়। কারি পাতা শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বের করে দেয়। কারি পাতায় থাকা ফাইবার খিদে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।সতর্কীকরণ- প্রতিবেদনটি সাধারণ জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে লেখা। বিশদ জানতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।