Virat Kohli: আম্পায়ারের সঙ্গে মাঠেই আউট নিয়ে তর্ক! এবার শাস্তি পেলেন বিরাট কোহলি

কলকাতা: কেকেআরের বিরুদ্ধে হর্ষিত রানার ফুলটস বলে বিরাট কোহলির আউট নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। বলটি নো বল ছিল কিনা তা নিয়ে নেট দুনিয়ায় চলছে যুক্তি-পাল্টা যুক্তি। কিন্তু মাঠে আম্পায়দের সঙ্গে তর্ক জড়ানোয় ঘটনায় রেহাই পেলেন বিরাট কোহলি। মাথা গরমের খেসারত দিতে গিয়ে শাস্তি পেলেন আরসিবি তারকা।

কেকেআরের বিরুদ্ধে ম্যাচের তৃতীয় ওভারে হর্ষিত রানার স্লোয়ার ফুলটস বলে ক্যাচ আউট হন কোহলি। বিরাট দাবি করেন সেই বল তাঁর কোমড়ের উপর ছিল। কোহলির দাবির পর থার্ড আম্পায়ার করা হয়। তবে থার্ড আম্পায়ার দেখে আউটের সিদ্ধান্ত নেন। মাঠেই আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন কোহলি। মাঠ ছাড়ার সময়ও বিরক্তি প্রকাশ করেন। ডাগআউটে বসেও কোহলি বারবার নিজের আউট নিয়ে কথা বলতে থাকেন।

ম্য়াচে যেভাবে আম্পায়ারের সঙ্গে কোহলি তর্ক করেছেন, তা দেখে দখনই মনে হয়েছিল শাস্তি হতে পারে বিরাটের। ম্যাচে শেষে বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে আইপিএলের কোড অফ কন্ডাক্ট লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয় ম্যাচ রেফারির তরফে। আইপিএলের কোড অফ কন্ডাক্টের ২.৮ ধারা অনুযায়ী কোহলিকে লেভেল-ওয়ান পর্যায়ের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। যার ফলে কোহলির ম্যাচ ফি-র ৫০ শতাংশ জরিমানা করেছে বিসিসিআই।

আরও পড়ুনঃ KKR News: স্টার্কের উপর রেগে লাল শ্রেয়স! হয়ে গেল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত? জেনে নিন বিস্তারিত

প্রসঙ্গত, এবার আইপিএলের কোমড়ের উপর ফুলটস বলে আউট দেখার জন্য একটি নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। যেখানে প্লেয়ারের উচ্চতার মাপ প্রযুক্তির কাছে দেওয়া রয়েছে। সঙ্গে বলের উচ্চতাও মাপবে ওই প্রযুক্তি। ব্যাটার ফুলটস বলটি কোথায় খেলছেন, তা যদি সরাসরি কোমড়ের উপর হয় তাহলে আউট। তবে বল যদি নীচু হতে থাকে তাহলে ওই প্রযুক্তি মাধ্যমে তা বোঝা যাবে। পপিম ক্রিজের ভিতর যখন বল প্রবেশ করবে তখন প্রযুক্তির মাধ্যমে বলের উচ্চতা দেখা হবে। তখন সেই উচ্চতা ব্যাটারের কোমড়ের থেকে বেশি না কম তা দেখে নো বল বা ন্যায্য় ডেলিভারি বিবেচনা করা হবে।

কোহলি এদিন হর্ষিত রানার বলে যখন ব্যাট করছিলেন পপিং ক্রিজের অনেকটা বাইরে ছিলেন। ফলে কোহলি যেখানে বল ব্যাটে সংযোগ হয় তখন কোহলির মনে হয় তা নো বল ছিল। কিন্তু প্রযুক্তির মাধ্যমে যখন দেখা হয় তখন বোঝা যায় বল যখন পপিং ক্রিজের ভিতরে প্রবেশ করছে তখন তা কোহলির কোমড়ের উচ্চতার থেকে নীচে। সেই কারণেই আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত সঠির সিদ্ধান্তই ছিল।