বিধানসভায় বাইশে শ্রাবণের শ্রদ্ধা

West Bengal Assembly: বিধানসভায় বাইশে শ্রাবণ পালন, রবীন্দ্র-স্মরণে সকলেরই এক চাওয়া, ‘শান্তি ফিরুক ওপারে’!

কলকাতা: বিধানসভায় বাইশে শ্রাবণ পালন। উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ এবং শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন চিরঞ্জিত এবং বিদেশ বসু। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ”বাংলাদেশের ঘটনা খুবই বেদনাদায়ক। গোটা বিশ্বের মানুষ দেখছেন। কিন্তু এখন এই নিয়ে আমরা কোনও মন্তব্য করব না। আমি অধ্যক্ষ হওয়ার পর একটি সম্মেলনে বাংলাদেশ গেছিলাম। আমার বাবা কাকা যেখানে থাকতেন, সেই বাড়িতেও আমি গেছিলাম। সেখানে একজন অধ্যাপিকা থাকেন। এত ভিড় হয়েছিল যে আমি ঢুকতে পারিনি। কিন্তু বাংলাদেশ আমাদের কাছে একটা স্মৃতি। আমি আশা করব বাংলাদেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতি আবার ফিরে আসবে।”

চিরঞ্জিত বলেন, ”তালিবানিরা যেভাবে মূর্তি ভাঙে, এখানেও সেই ভাবে মূর্তি ভাঙা হচ্ছে। একদল উগ্রপন্থী গুন্ডা এই কাজ করছে। ৭০ শতাংশ মানুষ নিশ্চয়ই চায় না, ৩০% মানুষ এই কাজ করছে। ফলে এই গোটাটাই একটা গোষ্ঠী করেছে। এর প্রতিবাদ তো একদিন না একদিন হবেই। আজকে কোথাও ওখানে বাইশে শ্রাবণ পালন হল না। সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল করা হল। আমি শুনলাম একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ বলেছেন বাংলাদেশ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জাতীয় সংগীত বাতিল করে সেখানে কোরআনের একটা অংশ নিয়ে নতুন জাতীয় সংগীত তৈরি করা হচ্ছে। এর পেছনে পাকিস্তান এবং আমেরিকার যে হাত আছে, কোনও সন্দেহ নেই। আমি বহুবার ওখানে গেছি, আবার যেতে চাই। পৃথিবীর কোন দেশে ঢোকাই যেন বন্ধ না হয়।”

আরও পড়ুন: শক্ত হাতে রাশ ধরতে পারবেন বাংলাদেশের? নোবেলজয়ী ইউনুসের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ

এদিকে, শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ”একাত্তরে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমি গেছিলাম। আমাদের কাছে বাংলাদেশ মানে একটা অন্য আবেগ। এই আবেগ নিয়েই আমরা থাকতে চাই।” আবার বিদেশ বসু বলেন, ”আমার দাদু কাকা বাবা সবাই বাংলাদেশের মানুষ। আমি ওখানে বহুবার খেলতে গেছি, ওখানকার অনেক খেলোয়াড় আমাদের এখানে খেলতে এসেছে বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নতির জন্য আমরা কাজ করেছি। যা হচ্ছে সেটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমি মনে করি আবার সব শান্তি ফিরবে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় ছিলেন যারা আমাদের দেশে খেলেছেন।”