Tag Archives: West Bengal Assembly

Suvendu Adhikari: ‘বুদ্ধবাবু বলেছিলেন…’, বিধানসভায় মমতাকে বেনজির আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর! যা বললেন বিরোধী দলনেতা

কলকাতা: রাজ্য বিধানসভায় ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে গেল ধর্ষণ বিরোধী ‘অপরাজিতা’ বিল। আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক মঙ্গলবার পেশ করেন ‘অপরাজিতা নারী ও শিশু বিল’ (পশ্চিমবঙ্গ ফৌজদারি আইন সংশোধনী বিল, ২০২৪)।’ এদিন এই বিলের সংশোধনী নিয়ে আলোচনায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিলে সমর্থন জানানোর পাশাপাশি বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কার্যত বেনজির আক্রমণ করেন শুভেন্দু।

শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘সংখ্যা শেষ কথা বলে না। শেষ কথা বলে জনগন। বুদ্ধবাবু বলেছিলেন আমরা ২৩৫ তোমরা ৩০। তখন আমিও ছিলাম। এই বিল নতুন কিছু নয়। এই বিল হল আন্দোলন থামাও সরকার বাঁচাও। নজর ঘোরাও।’

শুভেন্দু অধিকারীর আক্রমণ, “৯ অগাস্ট ৩৬ ঘণ্টা ডিউটি করিয়ে খুন করা হয়েছে সরকারি কাস্টডিতে। দেশজুড়ে প্রতিবাদ হচ্ছে। পাকিস্তানের ডাক্তারদের সংগঠন বিবৃতি দিচ্ছে এ লজ্জা রাখব কোথায়? সরকারি জায়গায় যে ভাবে ডিউটিতে ডেকে নিয়ে এসে চিকিৎসক ছাত্রীকে পাশবিক অত্যাচার করে হত্যা করেছে তার নিন্দা হওয়া উচিত। সারা বিশ্ব থেকে যে প্রতিক্রিয়া আসছে তাতে আমাদের লুকানোর ভাষা নেই। উই ওয়ান্ট জাস্টিস। জাস্টিস ফর আরজি কর। জুনিয়র ডাক্তাররা বসে আছেন সারা রাস্তায়। তাদের দাবি পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ। তাঁকে কি সরানো যায় না? সব ভেঙেচুরে তছনছ হয়ে গিয়েছে। এই বিল সরকার বাঁচাতে। এই বিল দৃষ্টি ঘোরাতে।”

Aparajita Bill: নজরে বিধানসভা, ঘোষণা মাফিক আজ পেশ হচ্ছে ধর্ষণ বিরোধী কড়া বিল

সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের জেরে বিধানসভায় পেশ হওয়া বিলের নাম দেওয়া হয়েছে, ‘দ্য অপরাজিতা ওমেন অ্যান্ড চাইল্ড বিল ২০২৪’। এই বিলে ধর্ষণ সংক্রান্ত মামলার সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। বিলে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে, কোনও ধর্ষণ বা শিশুদের উপর নির্যাতনের ঘটনার খবর পুলিশের কাছে আসার ২১ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে। যদি তদন্তের কাজ অসম্পূর্ণ থাকে সেক্ষেত্রে সর্বাধিক ১৫ দিন সময় অতিরিক্ত দেওয়া যেতে পারে। এই অনুমতি দেবেন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কোনও আধিকারিক। আদালতে চার্জশিট পেশের ৩০ দিনের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।

আরও পড়ুন– রাশিফল ৩ সেপ্টেম্বর: দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

বিলের শাস্তির বিধান হিসেবে বলা হয়েছে, যে কোনও ধর্ষণের ক্ষেত্রে শাস্তি সারা জীবন কারাদণ্ড, মৃত্যু ও জরিমানা। ধর্ষণ করে খুনের মামলায় শাস্তি ফাঁসি ও জরিমানা। গণধর্ষণের ক্ষেত্রে শাস্তি যাবজ্জীবন জেল, মৃত্যুদণ্ড ও জরিমানা। একাধিকবার ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকলে শাস্তি যাবজ্জীবন জেল ,মৃত্যুদণ্ড ও জরিমানা। ধর্ষিতার নাম পরিচয় কেউ প্রচার করলে জমিন অযোগ্য ধারায় তাকে গ্রেফতার করা হবে। শাস্তি তিন থেকে পাঁচ বছরের জেল। শুনানি চলার সময় আদালতের অনুমতি না নিয়ে কেউ তা প্রচার করলে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হবে ৷ সেক্ষেত্রে শাস্তি- হবে তিন থেকে পাঁচ বছরের জেল। এর জন্য বিশেষ আদালত গঠন করার কথাও বলা হয়েছে নয়া বিধানে।

আরও পড়ুন– কানপুরের গঙ্গায় তলিয়ে গেলেন স্বাস্থ্য দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর, জীবন বাঁচাতে ১০ হাজার টাকা দাবি ডুবুরিদের

শুধু দোষী ব্যক্তির শাস্তি নয়, বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রেও হয়েছে নয়া বিধান। বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে পরিষ্কার বলা হয়েছে, আদালতের অনুমতি ছাড়া শুনানির সময় কোনও সংবাদ পরিবেশন করা যাবে না। যদি কেউ তা করে থাকে, তবে জামিন অযোগ্য ধারায় তাকে গ্রেফতার করে মামলা করা যেতে পারে।  নয়া আইনে ধর্ষণ, গণধর্ষণ নারী ও শিশুদের উপর যে কোনও ধরণের শারীরিক নিগ্রহের ক্ষেত্রে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হবে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতাতে শাস্তির যে বিধান রয়েছে, তাও বাড়ানো হয়েছে রাজ্যের তৈরি নয়া আইনে।

Aparajita Women Child Bill 2024:আসছে ‘অপরাজিতা’…! নারী ও শিশু নির্যাতন রুখতে মঙ্গলেই বিধানসভায় বিল পেশ, কী কী থাকছে সেই বিলে?

কলকাতা: মঙ্গলবার বিধানসভায় আসছে নারী ও শিশু নির্যাতন বিরোধী বিশেষ বিল। সোমবার বিশেষ অধিবেশনের শুরুতেই সে কথা জানানো হল সরকার পক্ষের তরফে। যে বিলটি আনা হচ্ছে তার নাম দেওয়া হয়েছে “অপরাজিতা উইমেন চাইল্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল অ্যামেনমেন্ট বিল ২০২৪।” আগামিকাল বিলটি বিধানসভায় পেশ করবেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। এরপরে বিলটি নিয়ে বিধানসভায় আলোচনার শেষে তা পাশ করানো হবে।

আরজি কর-কাণ্ডের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন মহল থেকে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর আইন আনার দাবি তোলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই সংক্রান্ত কঠোর আইনের কথা বলেছেন এই মর্মে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও লেখেন মমতা। এই আবহেই মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় পেশ হতে চলেছে ‘অপরাজিতা মহিলা ও শিশু বিল, ২০২৪’।

আরও পড়ুন: কৃষকদের জন্য বড় সুখবর…! সরকারি বীমার সুবিধা পাবেন কারা? আবেদনের শেষ তারিখ কবে? সময় অল্প! জানুন সঠিক নিয়ম!

ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ও ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার, যৌন নির্যাতন, ধর্ষণ ও গণধর্ষণ সংক্রান্ত যে আইন রয়েছে। বাংলার ক্ষেত্রে তার কিছু সংশোধন আনা হচ্ছে। চটজলদি বিচারের জন্য শুধুমাত্র বাংলার ক্ষেত্রে কয়েকটি ধারা যোগ করা হচ্ছে। নারী ও শিশুদের ক্ষেত্রে নিরাপদ পরিবেশ তৈরির জন্য। তাই বেশ কিছু বিধি যোগ হচ্ছে নতুন বিলে।

এই বিধিগুলির মধ্যে রয়েছে,

১) দ্রুত বিচারের বিধান।

২) ডেডিকেটেড বিশেষ আদালত।

৩) ডেডিকেটেড তদন্তাকারী দল।

৪) এই তদন্তকারী দলকে বিশেষ সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে।

৫) নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।

৬) নূন্যতম সাতদিনের মধ্যে শেষ করতে হবে গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে। এটা আগে ছিল নূন্যতম এক মাস।

৭) যেখানে মূল আইনে এক বছরের মধ্যে শাস্তি দেওয়ার কথা ছিল। সেটা সংশোধন করে এক মাসের মধ্যে করতে বলা হল।

আরও পড়ুন: কে প্রথম দেখেছিল…? সকাল ৯:৩০ থেকে ১০:১০! কী হয়েছিল ‘সেই’ ৪০ মিনিট? সিবিআই তদন্তে নতুন ‘ধোঁয়াশা’

৮) মূল আইনে কোনও থানায় ঘটনা নথিভুক্ত করার পর তা দুই মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার কথা ছিল। এই সংশোধনীতে আছে এক্ষেত্রে তা ২১ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে।

৯) যদি কোনও ক্ষেত্রে দেখা যায় ২১ দিনে তদন্ত শেষ করতে পারছে না। সেটা ১৫ দিন অতিরিক্ত সময় দিতে পাবে। তবে সেটি জেলা পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কাউকে দায়িত্ব দিতে হবে।

১০) ধর্ষণে শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানা অথবা মৃত্যু।

১১) গণধর্ষণের ক্ষেত্রে জরিমানা ও আমৃত্যু কারাদণ্ড ও মৃত্যু।

১২) ধর্ষণের অভিযোগের পাশাপাশি, ধর্ষণকারীর দ্বারা আঘাতের কারণে মৃত্যু হলে অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ড ও জরিমানা হবে, কোমায় চলে গেলে, সেক্ষেত্রেও হবে মৃত্যুদণ্ড ও জরিমানা। সব মামলা হবে জামিন অযোগ্য ধারায়।

West Bengal Assembly: বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন আজ, মঙ্গলে বিল পেশ, আরজি কর ইস্যুতে উত্তালের আশঙ্কা

কলকাতা: আজ থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভার দু’দিনের বিশেষ অধিবেশন। মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার অভিঘাতে এ ধরনের অপরাধে কঠোরতম সাজার দাবি উঠেছে সমাজের নানা স্তরে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ফাঁসির শাস্তি চেয়ে আইনের পক্ষে। কেন্দ্রের কাছে দাবি তুলে ধরার পাশাপাশি, রাজ্যও নতুন আইন আনতে চায়। সেই লক্ষ্যেই বিশেষ অধিবেশন বিধানসভার।

ধর্ষকদের ফাঁসির সাজার ব্যবস্থা করা হবে। এমনটাই ব্যবস্থা করতে চলেছে সরকার। আজ থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন। এই অধিবেশনে সম্ভবত আনা হতে পারে সেই বিল। আর সোমবার থেকে শুরু হওয়া বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন যে উত্তাল হতে চলেছে তার আগাম ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে বিজেপি শিবির।

আরও পড়ুন: সোমবার থেকেই আবহাওয়ার ব্যাপক ভোলবদল…! বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি সতর্কতা কোন কোন জেলায়? কী হবে কলকাতায়? জানিয়ে দিল আলিপুর

আগামিকাল, মঙ্গলবার বিধানসভায় বিল নিয়ে আলোচনার পর তা পাশ করানো হবে। আলোচনায় অংশ নেবে বিজেপি পরিষদীয় দলও। তবে সোমবার অধিবেশন শুরু হয়ে শোকপ্রস্তাবের পরেই শেষ হয়ে যাবে। অধিবেশন শুরুর আগে বসবে কার্যবিবরণী কমিটির বৈঠক।

আরও পড়ুন: কে প্রথম দেখেছিল…? সকাল ৯:৩০ থেকে ১০:১০! কী হয়েছিল ‘সেই’ ৪০ মিনিট? সিবিআই তদন্তে নতুন ‘ধোঁয়াশা’

বিধানসভার শোকপ্রস্তাবে আরজি করে নির্যাতিতার উল্লেখ থাকবে তো? আগাম প্রশ্ন তুলে রেখেছে বিজেপি শিবির৷ সেই নাম না থাকলে যে প্রথম দিন থেকেই সংঘাতের আবহে বিধানসভা অধিবেশন চলবে তা কার্যত বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বিজেপি শিবিরের তরফ থেকে।দুপুর দুটোয় আজ অধিবেশন বসবে। সোমবারের অধিবেশন শোকপ্রস্তাবের পরেই শেষ হয়ে যাবে।  পরিষদীয় দফতর সূত্রে খবর, বিধানসভার  শোকপ্রস্তাবে নাম রয়েছে প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। যিনি গত অগাস্ট মাসের ৮ তারিখে প্রয়াত হয়েছেন। রাজ্যের সদ্য প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আলোচনা হতে পারে৷

সোমবার দুপুরে বিধানসভায় কার্যবিবরণী কমিটির বৈঠক বসবে। সেই বৈঠকে স্থির হবে বিধানসভার দু’দিনের কর্মসূচি। সেই কর্মসূচিতেই মঙ্গলবার বিধানসভায় বিলটি নিয়ে আলোচনার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ৫ অগাস্ট শেষ হয় বিধানসভার অধিবেশন। সেখানে অবশ্য মধুরেণ সমাপয়েৎ ছিল। বাংলা ভাগের বিরোধীতায় আনা প্রস্তাব ঘিরে সহমত পোষণ করেছিল শাসক-বিরোধী শিবির৷ তার কয়েকদিনের মধ্যেই আর জি কর কাণ্ড। যা ঘিরে উত্তাল গোটা দেশ।

Suvendu Adhikari: ‘প্রস্তুত থাকুন, কী ভাষায় উত্তর দিতে হয়…’! বিধানসভার অধিবেশনের আগে হুঙ্কার শুভেন্দু অধিকারীর

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে হুঙ্কার দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ‘‘প্রস্তুত থাকুন। কী ভাষায় উত্তর দিতে হয় বুঝিয়ে দেবো আমরা। বিধানসভায় দেখা হবে।’’ আজ, সোমবার থেকে শুরু হওয়া বিধানসভার দু’দিনের বিশেষ অধিবেশনের ঠিক আগের দিন ঠিক এই ভাষাতেই মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা।

আরও পড়ুন– সাপ্তাহিক রাশিফল ২ সেপ্টেম্বর – ৮ সেপ্টেম্বর: দেখে নিন এই সপ্তাহ নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

ধর্ষকদের ফাঁসির সাজার ব্যবস্থা করা হবে, এমনটাই ব্যবস্থা করতে চলেছে সরকার। সোমবার ও মঙ্গলবার বসতে চলেছে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন। সেই অধিবেশনে সম্ভবত আনা হতে পারে সেই বিল। আর সোমবার থেকে শুরু হওয়া বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন যে উত্তাল হতে চলেছে তার আগাম ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার ওই বিল পেশ করা হবে। এখনও পর্যন্ত এমনটাই খবর। অধিবেশনে বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি।

আজ, সোমবার বিজেপির পরিষদীয় দল অধিবেশন বসার আগে রণকৌশল ঠিক করতে বসছে বৈঠকে। ধর্মতলায় চলছে বিজেপির সপ্তাহব্যাপী ধরনা অবস্থান। সেখানে এসে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রবিবার স্পষ্ট করে দিয়ে বললেন, ‘‘আরজি কর ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোন ভাষায় জবাব দিতে হয় তা তাদের জানা আছে। দল হিসেবে বিজেপি বিধানসভায় তা দেখিয়ে দেবে।’’ ফলে সোম ও মঙ্গলবার বিধানসভা যে উত্তাল হতে চলেছে তা স্পষ্ট। বলা বাহুল্য, ধর্ষণ করলেই ফাঁসির সাজা হবে৷ এই মর্মে আইন করতে বিধানসভায় বিল আনছে রাজ্য সরকার৷ বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডেকে দশ দিনের মধ্যে এই বিল পাস করা হবে বলে মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশ থেকে আগেই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

আরও পড়ুন– রাশিফল ২ সেপ্টেম্বর: দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘খুনি, অত্যাচারী, ধর্ষণকারীকে কেন ছাড়া হবে? আমি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলাম। সতর্ক করলাম। ন্যায় সংহিতা একটা আইন করলেন। আমাদের হাতে আইনের ক্ষমতা নেই। থাকলে আরজি করের অভিযুক্তকে সাত দিনের মধ্যে ফাঁসি দিতাম। এই একটা কাজ করলেই সব ঠান্ডা হয়ে যাবে।’’ আর এবার বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন বসার ঠিক আগের দিন রবিবার ধর্মতলায় দলীয় ধরনা অবস্থান মঞ্চে উপস্থিত হয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী‌ এ নিয়ে রীতিমতো হুঙ্কার দিয়ে রাখলেন।

West Bengal Assembly: বিধানসভায় বাইশে শ্রাবণ পালন, রবীন্দ্র-স্মরণে সকলেরই এক চাওয়া, ‘শান্তি ফিরুক ওপারে’!

কলকাতা: বিধানসভায় বাইশে শ্রাবণ পালন। উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ এবং শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন চিরঞ্জিত এবং বিদেশ বসু। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ”বাংলাদেশের ঘটনা খুবই বেদনাদায়ক। গোটা বিশ্বের মানুষ দেখছেন। কিন্তু এখন এই নিয়ে আমরা কোনও মন্তব্য করব না। আমি অধ্যক্ষ হওয়ার পর একটি সম্মেলনে বাংলাদেশ গেছিলাম। আমার বাবা কাকা যেখানে থাকতেন, সেই বাড়িতেও আমি গেছিলাম। সেখানে একজন অধ্যাপিকা থাকেন। এত ভিড় হয়েছিল যে আমি ঢুকতে পারিনি। কিন্তু বাংলাদেশ আমাদের কাছে একটা স্মৃতি। আমি আশা করব বাংলাদেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতি আবার ফিরে আসবে।”

চিরঞ্জিত বলেন, ”তালিবানিরা যেভাবে মূর্তি ভাঙে, এখানেও সেই ভাবে মূর্তি ভাঙা হচ্ছে। একদল উগ্রপন্থী গুন্ডা এই কাজ করছে। ৭০ শতাংশ মানুষ নিশ্চয়ই চায় না, ৩০% মানুষ এই কাজ করছে। ফলে এই গোটাটাই একটা গোষ্ঠী করেছে। এর প্রতিবাদ তো একদিন না একদিন হবেই। আজকে কোথাও ওখানে বাইশে শ্রাবণ পালন হল না। সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল করা হল। আমি শুনলাম একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ বলেছেন বাংলাদেশ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জাতীয় সংগীত বাতিল করে সেখানে কোরআনের একটা অংশ নিয়ে নতুন জাতীয় সংগীত তৈরি করা হচ্ছে। এর পেছনে পাকিস্তান এবং আমেরিকার যে হাত আছে, কোনও সন্দেহ নেই। আমি বহুবার ওখানে গেছি, আবার যেতে চাই। পৃথিবীর কোন দেশে ঢোকাই যেন বন্ধ না হয়।”

আরও পড়ুন: শক্ত হাতে রাশ ধরতে পারবেন বাংলাদেশের? নোবেলজয়ী ইউনুসের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ

এদিকে, শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ”একাত্তরে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমি গেছিলাম। আমাদের কাছে বাংলাদেশ মানে একটা অন্য আবেগ। এই আবেগ নিয়েই আমরা থাকতে চাই।” আবার বিদেশ বসু বলেন, ”আমার দাদু কাকা বাবা সবাই বাংলাদেশের মানুষ। আমি ওখানে বহুবার খেলতে গেছি, ওখানকার অনেক খেলোয়াড় আমাদের এখানে খেলতে এসেছে বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নতির জন্য আমরা কাজ করেছি। যা হচ্ছে সেটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমি মনে করি আবার সব শান্তি ফিরবে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় ছিলেন যারা আমাদের দেশে খেলেছেন।”

Mamata-Suvendu: ‘আপনিও ডাকুন, আপনার বাড়িতেও যাব’, শুভেন্দুকে হঠাৎ ‘প্রস্তাব’ মমতার! বেনজির বিধানসভায় অন্য ভূমিকায় বিজেপি

কলকাতা: রাজ্য বিধানসভায় বিরল ঘটনা। বিরোধী দলনেতার প্রস্তাব মেনে নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। বললেন, ”অধ্যক্ষ অনুমতি দিলে বিরোধী দলনেতার বক্তব্য প্রস্তাবে যুক্ত করুন।” কী এমন বলেছিলেন শুভেন্দু? এদিনই বিধানসভায় ১৮৫ রুল অনুযায়ী বঙ্গভঙ্গের প্রচেষ্টার বিষয়ে প্রস্তাব পেশ করা হয়। অধিবেশনেই শুভেন্দু বলেন, ”অনন্ত মহারাজের সঙ্গে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী করেছেন। আমার প্রস্তাব অখন্ড পশ্চিমবঙ্গ, অবিভক্ত পশ্চিমবঙ্গ উন্নয়ন নিয়ে প্রস্তাব আনুন। আমরা সহমত পোষণ করব।”

এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”এটা সংবেদনশীল বিষয়। পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন নিয়ে যোগ করার কথা বলব। পশ্চিমবঙ্গ এক থাকবে। আমরা ভাঙতে দেব না। এটা হাউজের স্বার্থে করা হোক।” এরপরই মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় চলে যান বিরোধী দলনেতার কাছে। এরপরই তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন মমতা। বলেন, ”বিরোধিতা করব বলে কাঁদা ছোড়াছুড়ি করব কেন। আমি দেশ ও রাজ্য দুটোই ভালোবাসি। শোভনদেবদা-কে বলব, শুভেন্দু যা বলেছেন, সেটা যুক্ত করুন।”

আরও পড়ুন: বিধানসভায় বেনজির দৃশ্য! মমতার সঙ্গে ‘আলাদা’ করে কথা নওশাদের! জল্পনা তুঙ্গে

অনন্ত মহারাজের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গ তুলেও মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি শুভেন্দুর উদ্দেশ্যে বলেন, ”আমি একজনের বাড়িতে গিয়েছি বলে আপনাদের আপত্তির কী আছে! আপনিও ডাকুন না! ডাকলে আপনার বাড়িতেও যাব। অসুবিধা কী!” মমতার সংযোজন, ”আমরা নর্থ ইস্টার্ন কাউন্সিলে যাব কেন ? ওটা তো শুধু উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর জন্য। আমরা শুধু দার্জিলিং-এর সাবসিডির কথা বলেছিলাম। উত্তরবঙ্গের অনেক অবদান আছে বাংলাকে এক রাখার জন্য। বাংলার ঐক্য, সম্প্রীতি বাংলার সম্পদ।”

মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে এদিন উঠে আসে নীতি আয়োগের বৈঠকের প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, ”এই সুযোগে আমি একটা কথা বলতে চাই। কিছুদিন আগে আমি নীতি আয়োগের বৈঠকে গিয়েছিলাম। বিরোধী দলগুলোর মধ্যে আমি আমি একা ছিলাম। আমি সেখানে কন্সট্রাকটিভ কথা বলেছি।
আমি আজও বলছি, আমি কাউকে বঞ্চিত করিনি। পরিকাঠামো উন্নয়নে বাংলা অনেক এগিয়ে আছে। ১০০ দিনের কাজের টাকা, আবাসের টাকা যা আটকে আছে, সেটাও বাংলা পাক। আমরা মনে করি বিভেদ নয়, বিচ্ছেদ নয়। সবাই এক থাকুক। আমরা একতার পক্ষে।”

Nawsad Siddique: বিধানসভায় বেনজির দৃশ্য! মমতার সঙ্গে ‘আলাদা’ করে কথা নওশাদের! জল্পনা তুঙ্গে

কলকাতা: বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর সঙ্গে আলাদা করে কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভা অধিবেশনে ঘটল এই ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়েই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এসে ডেকে নিয়ে যান নওশাদকে। তারপরেই আলাদা করে হাউজের বাইরে নওশাদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই সাক্ষাৎ ঘিরে জল্পনা ছড়ালেও নওশাদ পরে বলেন, “ফুরফুরা শরীফের একটা কাজ ছিল। উনি তা করে দিয়েছেন। একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও সম্পর্ক নেই।”

উল্লেখ্য, এদিনই বিধানসভায় ১৮৫ রুল অনুযায়ী বঙ্গভঙ্গের প্রচেষ্টার বিষয়ে প্রস্তাব পেশ করা হয়। সেই আলোচনায় অংশ নিয়ে RSMP বিধায়ক ন‌ওশাদ সিদ্দিকী বলেন, ”আমি প্রথমেই বলি নীতিগতভাবে কোনও ভাবেই বাংলা ভাগ মেনে নেওয়া যায় না, বাংলা ভাগ করা যায় না। তবে একটা কথা মনে করিয়ে দেব, যে অনন্ত মহারাজ গ্রেটার কোচবিহারের দাবি তুলেছিলেন, সেই অনন্ত মহারাজের বাড়িতে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছিলেন। এটা কী ইঙ্গিত করে?”

আরও পড়ুন: দু’ দফায় নিহত ৩০০, পদত্যাগের দাবি! চাপের মুখেও কঠোর অবস্থান, কী করবেন হাসিনা?

নওশাদের সংযোজন, ”দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় উত্তরবঙ্গ পিছিয়ে রয়েছে। কলকাতার পিজি হাসপাতালের মতো উন্নত মানের হাসপাতাল উত্তরবঙ্গে দেওয়ার প্রয়োজন আছে। চিকিৎসা পরিষেবার মান কলকাতার থেকে অনেক পিছিয়ে আছে। দুঃখের বিষয়, ১৭ বার চা বাগানের মালিক, শ্রমিক ও সরকার পক্ষ মিটিং করলেও এখনও চা শ্রমিকদের ন্যুনতম মজুরি ঠিক করা সম্ভব হল না। পরিশেষে বলি, আমি বঙ্গভঙ্গের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে।”

Kolkata: বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে ‘ঘুরতে’ যাবেন রাজ্যের মন্ত্রী! কোথায়? বিধানসভায় বিরল ছবি

কলকাতা: বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে উত্তরবঙ্গের গজলডোবায় ‘ভোরের আলো’ দেখতে যাওয়ার প্রস্তাব দিলেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। বিজেপি বিধায়ক বিশ্বনাথ কারকের প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন এই প্রস্তাব দেন মন্ত্রী। বিরল ছবি রাজ্য বিধানসভায়।

এদিকে, উত্তরবঙ্গের বঞ্চনা নিয়ে বিজেপি বিধায়করা বিধানসভার গাড়ি বারান্দায় অবস্থান বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বৃহস্পতিবার। উত্তরবঙ্গ জুড়ে ব্যাপক প্রচারে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস। উত্তরবঙ্গ ভাগের বিরোধিতায় লাগাতার কর্মসূচি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ছোট ছোট সভা, মিছিল করে উত্তরের সব ব্লকে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বঞ্চনায় শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক কেন্দ্র এই দাবিতে পথে নামারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: হিমাচল প্রদেশে মেঘভাঙা বৃষ্টি…জলের তোড়ে হারিয়ে গেল প্রায় ৫০ জন, রাজ্যজুড়ে জারি ওরেঞ্জ অ্যালার্ট

অপরদিকে, বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন স্থায়ী নিয়োগ নিয়ে। কন্ট্রাক্ট নিয়োগ হয়েছে। ৭ হাজার নিয়োগে একাধিক অনিয়ম হয়েছে। সম্প্রতি পঞ্চায়েত দফতর আরও সাড়ে ছয় হাজার নিয়োগ হবে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। কিন্তু রোস্টার মানা হচ্ছে না। আমাদের দাবি এসসি, এসটি, ওবিসি মানা হোক। এমনই দাবি তোলেন শুভেন্দু অধিকারী।

West Bengal Assembly: রিভিউ কমিটি গঠন আগেই হয়েছে, ন্যায় সংহিতা নিয়ে আজ বিধানসভায় আলোচনার সম্ভাবনা

আবীর ঘোষাল, কলকাতা: কেন্দ্র ইতিমধ্যেই ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং সাক্ষ্য অধিনিয়ম শীর্ষক তিনটি আইন চালু করেছে। রাজ্য মন্ত্রীসভার এক সদস্য জানিয়েছেন, ‘‘আইন চালু হওয়ার তিন মাসের মধ্যেই রিভিউ করে কেন্দ্রকে পাঠাতে হবে। শীঘ্রই এই কমিটি বৈঠকে বসে রিভিউ রিপোর্ট তৈরি করে মুখ‌্যমন্ত্রীকে জমা দেবে। তার পর আইন সংশোধন ও আপত্তি নিয়ে কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে।’’ মূলত কেন্দ্রের ন্যায় সংহিতা আইন রাজ্য নিজের প্রয়োজন মতো সংশোধন করতে পারে কি? সেই সংক্রান্ত বিষয়টি খুঁটিয়ে দেখার জন্যই এই রিভিউ কমিটির গঠন। আজ, বুধবার এই ন‌্যায় সংহিতা নিয়ে বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব পেশ করছে সরকার পক্ষ।

আরও পড়ুন- বৃহস্পতিবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা, কলকাতা-সহ ৯ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

আজ, বুধবার শাসক দলের ও বিরোধীদের উপস্থিতিতে এই প্রস্তাবের উপর বিধানসভায় আলোচনা হওয়ার কথা। স্বরাষ্ট্র দফতরের নির্দেশিকায় উল্লেখ রয়েছে, রাজ্য এই নিয়ে কেন্দ্রকে কিছু প্রস্তাব দিয়েছিল ৷ কিন্তু রাজ্যের দেওয়া এই প্রস্তাব কেন্দ্র মানেনি। তাই জন্যই এই রিভিউ কমিটির গঠন। কমিটিতে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীমকুমার রায়, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য‌, রাজ্যের অ‌্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত, আইনজীবী সঞ্জয় বসু, রাজ‌্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, কলকাতার সিপি বিনীত গোয়েল। সংশোধিত আইন ভারতীয় ন্যায় সংহিতা নিয়ে পর্যালোচনার জন্য রাজ্যের তৈরি করা রিভিউ কমিটি মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়েছে। রাজ্য বিধানসভায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্য মন্ত্রীসভার এক সদস্য।

আরও পড়ুন– রাশিফল ৩১ জুলাই; দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

কিছুদিন আগেই প্রাক্তন বিচারপতি তথা লোকায়ুক্ত অসীমকুমার রায়ের নেতৃত্বে সাত সদস্যের রিভিউ কমিটি তৈরি করেছে রাজ‌্য সরকার। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম— দেশের আইনশৃঙ্খলার খোলনলচে বদলে দেওয়ার তিনটি বিল নিয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকারের তৎপরতা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই তিন বিল নিয়ে নিজেদের আপত্তির কথা খসড়া প্রস্তাবেই নথিবদ্ধ করিয়ে রেখেছিল তৃণমূল। তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে সাংসদদের উপস্থিত করিয়ে প্রতিবাদ নথিবদ্ধ করিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস ।