দেওয়াল থেকে কতটা দূরে রাখতে হয় ফ্রিজ? ভুল করলে বিপদ, খরচের শেষ থাকবে না

কলকাতা: দেশের বিভিন্ন অংশে এখনও তীব্র গরমের দাপট জারি রয়েছে। তাপপ্রবাহ কমার কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। এহেন পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত গরম হয়ে যাচ্ছে ঘরে রাখা এসি, ফ্রিজ কিংবা টিভি-র মতো ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতিও। এর মধ্যে ফ্রিজের কথাই বলা যাক।

রেফ্রিজারেটরের বডি চারদিক থেকে সম্পূর্ণ রূপে গরম থাকে। এদিকে ফ্রিজ তো দিনে ২৪ ঘণ্টাই চলে। তা বন্ধ করার উপায়ও থাকে না। যেমন এসি সারা দিন চালানো হলেও তা নিয়মিত বিরতিতে বন্ধ করা উচিত।

এদিকে ফ্রিজ যেহেতু ২৪ ঘণ্টা চলে, তাই এর কম্প্রেসার খুব দ্রুত গরম হয়ে যায়। এর ফলে রেফ্রিজারেটর ভাল ভাবে ঠান্ডা করতে পারে না। গরমের মরশুমে রেফ্রিজারেটরের কম্প্রেসারকে কার্যকর রাখার জন্য কী কী করা উচিত, সেটাই দেখে নেওয়া যাক।

আরও পড়ুন- রাতে মোবাইল হাতে এই ৭ কাজ ভুলেও করবেন না, ঘুমের বারোটা বাজবে সঙ্গে শরীরেরও

আসলে ফ্রিজ পুরনো হয়ে গেলে এটি বেশি বিদ্যুৎ খরচ করবে। পুরনো মডেলগুলির ক্ষেত্রে এমনটা প্রায়শই ঘটে থাকে। তাই রেফ্রিজারেটরের পিছনে পর্যাপ্ত জায়গা ফাঁকা রাখা জরুরি। আসলে দেওয়ালের খুব কাছাকাছি রাখলে কম্প্রেসারে বাতাস প্রবাহিত হবে না। আর তা দ্রুত গরম হয়ে যেতে থাকে। যার কারণে মোটরে আগুনের ঝুঁকিও বাড়ে।

দেওয়াল থেকে ফ্রিজটি কত দূরে রাখা উচিত?

অনেকেই জায়গা বাঁচানোর জন্য রেফ্রিজারেটরকে দেওয়ালের একেবারে কাছাকাছি রাখেন। কিন্তু এটা একেবারেই করা উচিত নয়। আসলে ফ্রিজ এবং দেওয়ালের মধ্যে কমপক্ষে ৪-৬ ইঞ্চি ব্যবধান থাকা উচিত। প্রতিটি কম্প্রেসারে স্বাভাবিক ভাবেই শব্দ হয়। তবে তাতে যদি খুব জোরে শব্দ হয় কিংবা একেবারেই শব্দ না হয়, তাহলে এর দিকে মনোযোগ দেওয়া দরকার।

আরও পড়ুন- মাঝে মাঝেই ইন্টারনেট থাকে না? ফোনের নেটওয়ার্কে সমস্যা হয় ‘এই’ ৫ কারণে

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা:

সাধারণত আমরা ফ্রিজের ভিতরটা পরিষ্কার করি। কিন্তু বাইরের অংশের দিকটা ততটাও গুরুত্ব দিই না। পিছনের কয়েল এবং ভেন্টে ধুলো জমতে দেওয়া চলবে না এবং নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। এতে ঠান্ডাও হবে ভাল।

ফ্রিজ ঠাসা জিনিসপত্র রাখা বিপজ্জনক:

ফ্রিজের মধ্যে ঠেসেঠুসে জিনিসপত্র রেখে দেওয়া ঠিক নয়। আসলে যদি ফ্রিজে খুব বেশি জিনিসপত্র থাকে, তাহলে বায়ু চলাচল সম্ভব হবে না এবং ঠান্ডাও ঠিক মতো হবে না।

ফ্রিজ যদি বেশ পুরনো হয়, তাহলে এর আরও বেশি করে যত্ন নেওয়া দরকার। আর ১০ বছরের বেশি পুরনো ফ্রিজ হলে বছরে অন্তত এক বার সেটা পরীক্ষা করা উচিত। আর ফ্রিজ ঠিকমতো ঠান্ডা না করতে পারলে পেশাদার টেকনিশিয়ান ডেকে তা সারিয়ে নিতে হবে।