অকালে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা আজকাল প্রায় সব প্রাপ্তবয়স্ক মানুষেরই। নারী পুরুষ নির্বিশেষে অল্প বয়সেই চুল ধূসর, বিবর্ণ হয়ে যাওয়ার কারণে অনেকের আত্মবিশ্বাসও চিড় ধরে।এমনকি পাকা চুলের কারণে কম বয়সি মানুষকেও বিব্রত হতে হয় পরিচিত মহলে। কিন্তু আপনি যদি এর থেকে পরিত্রাণ পেতে চান, তাহলে সময়মতো এই সমস্যার মূল চিহ্নিত করা জরুরি।কোবালামিনের ঘাটতি ব্যক্তিকে অকালে সাদা চুলের দিকে পরিচালিত করে : আপনার বয়স যদি ৪০ বা ৪৫ পেরিয়ে যায়, তবে চুল পাকা মোটেই টেনশনের বিষয় নয়। তবে এই বয়সের আগেই অর্থাৎ আরও অল্প বয়সেই যদি এটি ঘটে তবে সেই ব্যক্তির মানসিক চাপ বাড়তে থাকা স্বাভাবিক।আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডাঃ দীক্ষা ভাবসার তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এমনই কিছু খাদ্য তালিকা বলে দিয়েছেন যা চুলের অকালপক্কতা রোধ করবে। আসুন জেনে নিই কী ভাবে আর কী খেলে চুল সাদা হওয়ার সমস্যা কমবে বা বিদায় নেবে।অনেক সময় সাদা চুলের বৃদ্ধির পিছনে জিনগত কারণ থাকতে পারে, তবে বর্তমান সময়ে, অনিয়মিত জীবনধারা এবং ভুল খাদ্যাভ্যাসও কিন্তু আপনার সমস্যার আসল কারণ হতে পারে, যা সময়মতো চিহ্নিত করা জরুরি।চুল পুষ্টি পাচ্ছে না: অল্প বয়সে চুল ধূসর হয়ে যাওয়া নিয়ে অযথা মাথাব্যথা করার দরকার নেই। আসলে এই সমস্যা থেকে পরিত্রান পেতে হলে আগে আপনাকে এর মূলে যেতে হবে। প্রয়োজনে শরীরে কোন পুষ্টির অভাব রয়েছে তা জানার জন্য পরীক্ষা করাতে হবে।প্রায়শই আমরা স্বাস্থ্যকর ডায়েটকে উপেক্ষা করি, যা আমাদের চুলের স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক ভাবে প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে আপনার যদি কোনও নির্দিষ্ট পুষ্টির ঘাটতি থাকে তবে চুল অকালে ঝরতে শুরু করে।কোবালামিনের অভাব নেই তো? যদি অল্প বয়সে আপনার চুল ধূসর হয়ে যায়, তাহলে আপনার শরীরে কোবালামিন অর্থাৎ ভিটামিন বি 12-এর ঘাটতি হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।এমন পরিস্থিতিতে অবশ্যই এই গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানটিকে আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন, এর অভাবে শুধু চুল দুর্বল হয়ে যায় ও ভাঙতে শুরুই করে না, অকালে পাকতেও শুরু করে।কী ভাবে চুল পাকা বন্ধ করবেন? অল্প বয়সে পাকা চুল থেকে মুক্তি পেতে জীবনযাত্রার পরিবর্তন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চুলের অকাল পাকা হওয়া রোধ করতে, আপনি নীচে উল্লিখিত ব্যবস্থাগুলি গ্রহণ করতে পারেন।১. জীবনের উত্তেজনা হ্রাস করুন। ২. সর্বদা একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করুন। ৩. তৈলাক্ত খাবার থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। ৪. সিগারেট এবং অ্যালকোহল ত্যাগ করুন। ৫. প্রতিদিন শ্যাম্পু করবেন না। ৬. মাথায় নারকেল বা সর্ষের তেল লাগান।কোবালামিন পেতে এই খাবারগুলি খান : ১. ডিম ২.সয়াবিন ৩. দই ৪. ওটস ৫. দুধ ৬. পনির ৭. ব্রকলি ৮. মাছ ৯. চিকেন ১০. মাশরুমঅস্বীকৃতি: প্রিয় পাঠক, আমাদের এই প্রতিবেদনটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। এই খবরটি শুধুমাত্র আপনাকে সচেতন করার উদ্দেশ্যেই লেখা হয়েছে। আমরা এটি লেখার জন্য ঘরোয়া প্রতিকার এবং সাধারণ তথ্যের সাহায্য নিয়েছি। আপনি এই সম্পর্কিত যেকোনও কিছু পড়তে পারেন। তবে এটি গ্রহণ করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
