হানিমুন সেরে ফিরছিলেন রুপিন কাটিয়াল। সঙ্গী স্ত্রী রচনা। কাঠমান্ডু থেকে উঠেছিলেন আইসি ৮১৪ (IC 814) ফ্লাইটে। দাম্পত্য জীবনের রঙিন স্বপ্নে মশগুল ছিলেন দু’জনেই। কিন্তু মাঝআকাশে বিমান হাইজ্যাক হয়। রুপিনকে বিমানের মধ্যেই কুপিয়ে খুন করে জঙ্গিরা।

Rupin Katyal: রুপিন কাটিয়াল কে? IC 814 বিমানে তাঁকেই কুপিয়ে মেরেছিল হাইজ্যাকাররা, কিছুই জানতেন না স্ত্রী

হানিমুন সেরে ফিরছিলেন রুপিন কাটিয়াল। সঙ্গী স্ত্রী রচনা। কাঠমান্ডু থেকে উঠেছিলেন আইসি ৮১৪ (IC 814) ফ্লাইটে। দাম্পত্য জীবনের রঙিন স্বপ্নে মশগুল ছিলেন দু’জনেই। কিন্তু মাঝআকাশে বিমান হাইজ্যাক হয়। রুপিনকে বিমানের মধ্যেই কুপিয়ে খুন করে জঙ্গিরা।
হানিমুন সেরে ফিরছিলেন রুপিন কাটিয়াল। সঙ্গী স্ত্রী রচনা। কাঠমান্ডু থেকে উঠেছিলেন আইসি ৮১৪ (IC 814) ফ্লাইটে। দাম্পত্য জীবনের রঙিন স্বপ্নে মশগুল ছিলেন দু’জনেই। কিন্তু মাঝআকাশে বিমান হাইজ্যাক হয়। রুপিনকে বিমানের মধ্যেই কুপিয়ে খুন করে জঙ্গিরা।
সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে ‘আইসি ৮১৪: দ্য কান্দাহার হাইজ্যাক’। ১৯৯৯ সালে কান্দাহার হাইজ্যাকের সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হয়েছে এই ওয়েব সিরিজ। দেখানো হয়েছে রুপিন কাটিয়ালের মর্মান্তিক মৃত্যুও। ঘটনার প্রায় এক বছর পর এক সাক্ষাৎকারে স্ত্রী রচনা জানিয়েছিলেন সেই দিনের বীভৎস ঘটনার কথা। রুপিনকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে মেরেছিল হাইজ্যাকাররা। অবশ্য রচনা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি কিছু। পণবন্দীদের মুক্তির সময় রুপিনকেই খুঁজছিলেন তিনি।
সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে ‘আইসি ৮১৪: দ্য কান্দাহার হাইজ্যাক’। ১৯৯৯ সালে কান্দাহার হাইজ্যাকের সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হয়েছে এই ওয়েব সিরিজ। দেখানো হয়েছে রুপিন কাটিয়ালের মর্মান্তিক মৃত্যুও। ঘটনার প্রায় এক বছর পর এক সাক্ষাৎকারে স্ত্রী রচনা জানিয়েছিলেন সেই দিনের বীভৎস ঘটনার কথা। রুপিনকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে মেরেছিল হাইজ্যাকাররা। অবশ্য রচনা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি কিছু। পণবন্দীদের মুক্তির সময় রুপিনকেই খুঁজছিলেন তিনি।
আশা করেছিলেন, তাঁর স্বামী বোধহয় বেঁচে আছেন। ওয়েব সিরিজে দেখানো হয়েছে, বিমান অপহরণ করার পর ১০ জন যাত্রীকে বিজনেস ক্লাসে নিয়ে গিয়েছিল হাইজ্যাকাররা। তাঁদের মধ্যে রুপিনও ছিলেন। প্রথম দিনেই তাঁকে হত্যা করা হয়। হাউজ্যাকাররা অল্প সময়ের জন্য দুবাইতে অবতরণ করিয়েছিল বিমান। সেখানেই নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল রুপিনের মৃতদেহ।সেই সময় রেডিফ-এ এফআইআর-এর কপি পোস্ট করেছিলেন এক ইউজার।
আশা করেছিলেন, তাঁর স্বামী বোধহয় বেঁচে আছেন। ওয়েব সিরিজে দেখানো হয়েছে, বিমান অপহরণ করার পর ১০ জন যাত্রীকে বিজনেস ক্লাসে নিয়ে গিয়েছিল হাইজ্যাকাররা। তাঁদের মধ্যে রুপিনও ছিলেন। প্রথম দিনেই তাঁকে হত্যা করা হয়। হাউজ্যাকাররা অল্প সময়ের জন্য দুবাইতে অবতরণ করিয়েছিল বিমান। সেখানেই নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল রুপিনের মৃতদেহ।
সেই সময় রেডিফ-এ এফআইআর-এর কপি পোস্ট করেছিলেন এক ইউজার।
সেখান থেকে জানা যায়, রুপিনের পেটে একবার, বুকে চারবার এবং ঘাড়ে দু’বার এবং মুখে ছয় বার ছুরির কোপ মেরেছিল জঙ্গিরা। ক্ষত বিক্ষত হয়ে গিয়েছিল জাগলার ভেন। নাকেও ছিল গভীর ক্ষত। সাক্ষাৎকারে রচনা বলেছিলেন, স্বামীর মৃত্যুর খবর তিনি জানতেন না। প্রায় ৮ দিন পর ভারতীয় জেল থেকে ৩ কুখ্যাত জঙ্গিকে ছাড়ার পর যাত্রীদের মুক্তি দেয় জঙ্গিরা। সেই সময় রচনাও ছাড়া পান। তাঁকে আনতে এসেছিলেন রুপিনের বাবা।
সেখান থেকে জানা যায়, রুপিনের পেটে একবার, বুকে চারবার এবং ঘাড়ে দু’বার এবং মুখে ছয় বার ছুরির কোপ মেরেছিল জঙ্গিরা। ক্ষত বিক্ষত হয়ে গিয়েছিল জাগলার ভেন। নাকেও ছিল গভীর ক্ষত। সাক্ষাৎকারে রচনা বলেছিলেন, স্বামীর মৃত্যুর খবর তিনি জানতেন না। প্রায় ৮ দিন পর ভারতীয় জেল থেকে ৩ কুখ্যাত জঙ্গিকে ছাড়ার পর যাত্রীদের মুক্তি দেয় জঙ্গিরা। সেই সময় রচনাও ছাড়া পান। তাঁকে আনতে এসেছিলেন রুপিনের বাবা।
কিন্তু ছেলের মৃত্যুর খবর বৌমাকে বলেননি তিনি। শুধু বলেছিলেন, রুপিন হাসপাতালে ভর্তি। রচনা বলেন, “আমি জানতাম না রুপিন নেই। ওঁর শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানও হয়ে গিয়েছিল। তখনও কিছু জানতে পারিনি। বারবার রুপিনের কথা জিজ্ঞেস করতাম। সবাই বিষয়টা এড়িয়ে যেত। অবশেষে একদিন সত্যিটা সামনে এল। আমি হিস্টিরিয়াগ্রস্থ রোগীর মতো হয়ে যাচ্ছিলাম। শ্বশুর একদিন রুপিনের একটা ছবির আঙুল তুলে বললেন, ‘ওই তোমার রুপিন’।’’
কিন্তু ছেলের মৃত্যুর খবর বৌমাকে বলেননি তিনি। শুধু বলেছিলেন, রুপিন হাসপাতালে ভর্তি। রচনা বলেন, “আমি জানতাম না রুপিন নেই। ওঁর শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানও হয়ে গিয়েছিল। তখনও কিছু জানতে পারিনি। বারবার রুপিনের কথা জিজ্ঞেস করতাম। সবাই বিষয়টা এড়িয়ে যেত। অবশেষে একদিন সত্যিটা সামনে এল। আমি হিস্টিরিয়াগ্রস্থ রোগীর মতো হয়ে যাচ্ছিলাম। শ্বশুর একদিন রুপিনের একটা ছবির আঙুল তুলে বললেন, ‘ওই তোমার রুপিন’।’’