মহাশ্মশানে মহাযজ্ঞ

Tantra Sadhana: তন্ত্র মতে এই কৌশিকী অমাবস্যার রাতেই জেগে ওঠেন তাঁরা, অঘোরদের কালো পোশাকে সেই আবাহন, রইল ভিডিও

বীরভূম: কৌশিকী অমাবস্যায় দেশের নানা প্রান্তের ছড়িয়ে থাকা  তান্ত্রিকদের আস্তানা তারাপীঠ মহাশ্মশান। তাই রবিবার থেকেই সুদূর মুম্বই, বৃন্দাবন,পঞ্জাব থেকে তান্ত্রিকদের ঠিকানা হয়েছে তারাপীঠ মহাশ্মশানের শ্বেত-শিমূলের তলা। এমনকী সদুর রাশিয়া থেকেও এসেছেন সাধু সন্ন্যাসীরা। রবিবার ছিল অঘোর চতুর্দশী।সেদিন থেকে তান্ত্রিকদের অঘোর হওয়ার সাধনা শুরু।সেই সাধনা চলে মঙ্গলবার পর্যন্ত।শ্মশানজুড়ে কালো বসন, কারণবারি, ধূপ ধুনোর ছড়াছড়ি।

সাধনার মাঝে মাঝে ময়ূরের চামড়ের দোলায় শরীরকে ঠান্ডা রাখার চেষ্টা সাধু সন্ন্যাসীদের। রাশিয়া থেকে যোগী অন্নপূর্ণা নাথ গত বছরের মত এবারও এসেছেন। যোগিনী বেশে চলছে তাঁর সাধনা। তিনি জানান “তন্ত্রপীঠের সাধনক্ষেত্রে না এলে সাধনা পূর্ণ হয় না। কেউ বিরক্ত করে না। বাধা দেয় না। ভারতের সবচেয়ে বড় শান্তিক্ষেত্র এই বামাক্ষ্যাপার শ্মশানতলা।”

আরও পড়ুন – Maa Tara: কৌশিকী অমাবস্যার রাতে একই সঙ্গে খুলে গিয়েছিল স্বর্গ ও নরকের দ্বার, মহা শ্মশানে সেই কী ভয়ানক সাধনা, মা তারার আশীর্বাদে কীভাবে হল সবার মঙ্গল, জানুন

তারাপীঠের শ্মশানক্ষেত্র এর একজন সমীর নাথ অঘোরী বলেন , ”তারা মা এই শ্মশানে জাগ্রত। তিনি ব্রহ্মময়ী মা হিসাবে এখানে খেলা করেন। তাই তারা নামে দূষণ মুক্ত হয়, অনাচার দূর হয়, সংসারে শান্তি ফেরে।” তারাপীঠ শ্মশান সাধকদের কাছে দ্বিতীয় কাশী। কৌশিকী অমাবস্যার দিন সারা রাত চলে অঘোর চতুর্দশী। সমীর অঘোরী বলেন, ‘‘সারারাত শ্মশানে চলে অঘোরের খেলা। যত অঘোর থাকবে সব এই শ্মশানে আসবে। কারণ নাটেশ্বরী কুলদেবী হচ্ছে তারা মা। তিনি অঘোরদেবী। বামদেব নিজেই বামাক্ষ্যাপা। সচল শিব। শ্মশান ভৈরব।”

অন্যদিকে তারাপীঠ মন্দিরের এক সেবায়েত সৌরভ চক্রবর্তী জানান বিশ্ব শান্তি কামনায় তারাপীঠ মহাশ্মশানে কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে বিশেষ হোম যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে। যতক্ষণ এই আমাবস্যা থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত এই হোম যজ্ঞ চলে৷

Souvik Roy