বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বাধ্য হয়ে ক্রিকেট ছেড়েছিলেন, ছিল একটা বড় কারণ, মন খারাপ করা

কলকাতা: পরিচ্ছন্ন প্রশাসনের স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। সেই স্বপ্ন কতটা সার্থক করতে পেরেছিলেন, তার মূল্যায়ণ আর আজ জরুরি বিষয় নয়। তবে তিনি ছিলেন, অভিভাবক হয়ে, এটাই ছিল সব থেকে বড় স্বস্তি। আজ তিনি নেই, অভিভাবকহীন বাম রাজনীতি। এটাই এখন সব থেকে বড় সত্যি।

সুকান্ত ভট্টাচার্যের ভ্রাতুষ্পুত্র তিনি। কিন্তু গোড়া থেকে ছাত্র রাজনীতির মূলস্রোতে ততটা সম্পৃক্ত ছিলেন না। একটা সময় চুটিয়ে কবাডি খেলতেন। খেলতেন ক্রিকেটও।

আরও পডুন- স্পোর্টস আর্বিট্রেশন কোর্টে ভিনেশ ফোগট, রুপো আসবে শেষ অবধি? ভাগ্য নির্ধারণ আজই

চোখের সমস্যার জন্য তাঁকে ক্রিকেট খেলা ছাড়তে হয় তাঁকে। সময়-সুযোগ পেলে ক্রিকেট নিয়ে মেতে থাকতেন। খোঁজ-খবর রাখতেন ক্রিকেটের বিভিন্ন টুকিটাকির। কিন্তু পরে সময়ের অভাবে ও রাজনীতিতে অতি সক্রিয়তার কারণে সেই খোঁজ নেওয়া কমে গিয়েছিল।

ক্রিকেট নিয়ে রোম্যান্টিসিজম তাঁকে ছেড়ে যায়নি কখনও। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সখ্যতার অন্যতম কারণ হয়েছিল ক্রিকেট। বলাই যেত- ক্রিকেট রোম্যান্টিক বুদ্ধদেব।

আর যে বুদ্ধদেব বঙ্গ ক্রিকেটকে ‘অশুভ শক্তি’র হাত থেকে মুক্ত করতে চেয়ে কার্যত প্রকাশ্যেই সিএবি-র নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন প্রয়াত জগমোহন ডালমিয়ার সঙ্গে। তিনি ক্রিকেটের আঙিনাতেও  পরিচ্ছন্ন প্রশাসন গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন।

আরও পড়ুন- ‘মা, কুস্তি জিতে গেল, আমি হেরে গেলাম’-অবসর নিয়ে নিলেন ভিনেশ ফোগট,আর যা লিখলেন

বৃহস্পতিবার সকালে প্রয়াত হয়েছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। দীর্ঘদিনের রোগভোগে কষ্ট পাচ্ছিলেন। শ্বাসকষ্টের সমস্যা তাঁকে বহুদিন ধরে কষ্ট দিচ্ছিল। একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তিও হয়েছিলেন।

১৯৪৪ সালে উত্তর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ১৯৬৪ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষায় স্নাতক হন।

কলেজ জীবনে সিপিআই(এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য হয়েছিলেন। এর পর সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটি ও সিপিআই(এম)-এর পলিটব্যুরোর সদস্য হন।

 ১৯৭৭ থেকে ১৯৮২, বাম সরকারের তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের দায়িত্ব নেন। ১৯৯৯ সালে উপমুখ্যমন্ত্রী। ২০০০ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০১ থেকে ২০০৬ এবং ২০০৬ থেকে ২০১১, পর পর দুবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।