বিমানবন্দরে আচমকাই হার্ট অ্যাটাক, চিকিৎসকের তৎপরতায় যেন যমের মুখ থেকে ফিরে এলেন বৃদ্ধ; ভাইরাল হল ভিডিও

CPR at Delhi Airport: বিমানবন্দরে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক, মহিলা ডাক্তারের জন্য যমের মুখ থেকে ফিরে এলেন বৃদ্ধ; ভাইরাল ভিডিও

দিল্লি: চিকিৎসকরা মানুষের প্রাণরক্ষা করেন, সেটা আরও একবার প্রমাণিত হল দিল্লি বিমানবন্দরের একটি ঘটনায়। আসলে ওই বিমানবন্দরের টার্মিনাল ২-এ এক প্রবীণ নাগরিকের হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে তৎপর হয়ে ওঠেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক চিকিৎসক। আর তাঁর তৎপরতার জেরে প্রাণ বেঁচেছে ৬০ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধের। গোটা ঘটনাই ধরা পড়েছে ভিডিও-য়। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে।

ওই ভিডিও-য় দেখা যাচ্ছে, অচৈতন্য হয়ে গিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ। এমনকী তাঁর হৃদস্পন্দনও পাওয়া যাচ্ছিল না। সঙ্গে সঙ্গে আসরে অবতীর্ণ হন ডা. প্রিয়া। কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন বা সিপিআর দিয়ে ওই চিকিৎসক প্রাণরক্ষা করেন বৃদ্ধের। ফলে এক্ষেত্রে যেন ঈশ্বর প্রেরিত দূত হয়ে উঠেছেন ডা. প্রিয়া।

ঋষি বাগড়ি নামে এক ব্যবহারকারী এক্স প্ল্যাটফর্মে এই ভিডিওটি ভাগ করে নিয়েছেন। তিনি লিখেছেন যে, আজ টি২ দিল্লি বিমানবন্দরের ফুড কোর্টে এক ভদ্রলোকের হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। ওই ব্যক্তির বয়স প্রায় সত্তরের কাছাকাছি। এই মহিলা চিকিৎসক মাত্র মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই ওই ব্যক্তিকে বাঁচিয়ে তোলেন। ভারতীয় চিকিৎসকদের জন্য অত্যন্ত গর্বিত। এই ভিডিওটি শেয়ার করুন, যাতে সকলেই তাঁর কৃতিত্ব জানতে পারেন। আরও একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা গিয়েছে যে, চিকিৎসক ক্রমাগত ওই ভদ্রলোকের বুকে পাম্প করছেন। আর বিমানবন্দরের কর্মীদের ডাকছেন। আবার অন্য একটি ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে যে, ওই চিকিৎসক সিপিআর দেওয়ার পরেই বৃদ্ধ উঠে বসছেন।

আরও পড়ুন: সুঠাম দেহ, সুপুরুষ! ‘তারুণ্যের ছটা’ চেহারায়, সিঙ্গাপুরের এই ব্যক্তির বয়স কত বলুন তো! ৯৯% মানুষই ভুল, জানলে আঁতকে উঠবেন

আসলে রাজস্থানের অজমেঢ়ের বাসিন্দা ডা. প্রিয়া। তিনি দিল্লির ইন্দিরা গান্ধি বিমানবন্দরের টার্মিনাল ২-এ উড়ান ধরার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। আচমকাই তিনি এবং তাঁর স্বামী দেখেন যে, এক বৃদ্ধ আচমকাই পড়ে যাচ্ছেন। সেই সময়কার কথা মনে করে এএনআই-এর কাছে ডা. প্রিয়া বলেন, আমার স্বামী ডা. রমাকান্ত গোয়েল আমার সঙ্গেই ছিলেন। আমরা যখন সেখানে পৌঁছই, তখন আরও এক চিকিৎসক দম্পতি ডা. উমেশ বনসল ও ডা. ডলি বনসলও ছিলেন। আমরা চার জনেই দেখেছিলাম যে, ওই ভদ্রলোক কোনও সাড়া দিচ্ছেন না। শ্বাসপ্রশ্বাসও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এমনকী হৃদস্পন্দনও ছিল না।

ভিডিও ভাইরাল হতেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন নেটিজেনরাও। একজন মন্তব্য করেন, ওই চিকিৎসককে কুর্নিশ! প্রত্যেক ভারতীয়েরই সিপিআর দেওয়ার কায়দাটা শিখে রাখা উচিত। জার্মানিতে তো এটা ফার্স্ট এইড-এর কোর্সেই পড়ে। এটা না শিখলে ড্রাইভিং লাইসেন্সও মেলে না। আর একজন আবার লিখেছেন, ওই মহিলা তো রীতিমতো যমরাজের কাছ থেকে কাকুটার প্রাণ ছিনিয়ে আনলেন। ওঁর জন্য খুবই গর্বিত।