গোরখপুর: সদ্য মৃতা স্ত্রীর অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া সম্পন্ন করে উঠেছিলেন এক ব্যক্তি। উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর জেলার বংশগাঁও এলাকার ঘটনা। এ পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল। কিন্তু তারপরেই চমক! আচমকাই ঘুরে গেল ঘটনার মোড়! কারণ ওই ব্যক্তির স্ত্রী-র সন্ধান মিলল ঝাঁসিতে! তা-ও জীবিত অবস্থায়! অবশেষে শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ মিলিয়ে দিলেন স্বামী-স্ত্রীকে।
পুলিশ জানিয়েছে, বংশগাঁওয়ের বাসিন্দা কে রাম সুমের সম্প্রতি পুলিশকে জানিয়েছিলেন যে, তাঁর স্ত্রী ৪০ বছর বয়সী ফুলমতী নিখোঁজ হয়েছেন গত ১৫ জুন থেকে। এরপর ১৯ জুন নাগাদ উরুওয়া বাজারের কাছে এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে। এরপর সুমেরকে সেই মহিলার দেহ দেখানো হয়। তখন ওই মহিলাকে নিজের স্ত্রী বলে শনাক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন- ৫ মাসে ওজন ১০৯.৭ কেজি থেকে কমে ৮৩ কেজি! রহস্য নিজেই ফাঁস করলেন জয়দীপ অহলাওয়াত
এদিকে মৃতা ওই মহিলার দেহের ময়নাতদন্ত করে জানা যায় যে, তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। ফলে তদন্তে নামে পুলিশ। কিন্তু তদন্ত চলাকালীন ফুলমতীর মোবাইল নম্বর ট্রেস করা হয়। আর তখনই জানা যায় যে, গোরক্ষপুর থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দূরে ঝাঁসি জেলায় ফুলমতীর মোবাইল নম্বরটি সক্রিয় রয়েছে। এরপর কল ডিটেল রেকর্ড খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পারে যে, সুলতানপুরের শুভম নামে কোনও এক ব্যক্তির সঙ্গে টানা কথোপকথন চালিয়ে যাওয়া হয়েছে ওই নম্বর থেকে।
এরপর পুলিশি জেরায় শুভম স্বীকার করেন যে, ফুলমতী জীবিত রয়েছেন। তিনিই ফুলমতীকে গোরক্ষপুর থেকে ঝাঁসিতে নিয়ে গিয়েছিলেন। এমনকী শুভমের জানানো জায়গায় গিয়ে ফুলমতীর হদিশও পায় পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট (দক্ষিণ) জিতেন্দ্র কুমার তোমর বলেন, ফুলমতীর বয়ান রেকর্ড করে আপাতত তাঁকে তাঁর স্বামীর কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে জিতেন্দ্র কুমার তোমর আরও বলেছেন যে, শুভম, রাম সুমের, ফুলমতী এবং মৃতা ওই মহিলার (যাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে) মধ্যে কোন যোগ রয়েছে, সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।