চলছে প্রশিক্ষণ

West Medinipur News: ১ টাকাও লাগবে না, দিনে মাত্র ৪ ঘণ্টা, তিন মাসের প্রশিক্ষণেই আয় করতে পারবেন মহিলারা

পশ্চিম মেদিনীপুর: গ্রামীণ এলাকার মহিলাদের স্বনির্ভর করতে এক অনন্য উদ্যোগ। একই ছাদের তলায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন দেড় শতাধিক মহিলা। হাতের কাজ শিখে স্বনির্ভর হচ্ছেন তারা। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বিনামূল্যে এমন প্রশিক্ষণ মেলায় খুশি মহিলারা। বাড়ির কাজ সামলে বাড়িতেই তারা এই হাতের কাজ করে মাসিক আয়-রোজগার করতে পারবে। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় প্রায় দেড় শতাধিক মহিলা, গৃহবধূদের টেলারিংয়ে প্রশিক্ষন দিয়ে স্বনির্ভরতার পাঠ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিনই বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে এই বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তাদের।

প্রসঙ্গত বর্তমান দিনে নারী স্বাধীনতা এবং নারী স্বনির্ভরতা, একটি প্রধান বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসকদের কাছে। তাই মেয়েদের স্বনির্ভর করতে বিভিন্ন জায়গায় একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পে পিংলা এলাকায় প্রান্তিক গ্রামীন এলাকা থেকে প্রায় দেড়শ জন মহিলাদের সেলাইয়ের প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বনির্ভর করে তোলা হচ্ছে।

আরও পড়ুন-    গরমে গোলাপ গাছ শুকিয়ে কাঠ হচ্ছে? এই ৬ জিনিস ‘ধন্বন্তরি’! গোড়ায় দিলেই থোকা থোকা ফুলে ভরবে গাছ, গ্যারান্টি!

তিন মাস প্রতিদিন চার ঘন্টা করে এই প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তারা। উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পে সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই এই প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন গ্রামীণ এলাকার মহিলারা। সালোয়ার, কামিজ তৈরি বিভিন্ন ধরনের পোশাক, জামা-প্যান্ট তৈরির প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন তারা। শুধু তাই নয়, এই প্রশিক্ষণের পরে মিলবে সার্টিফিকেট। প্রসঙ্গত এই প্রশিক্ষণ নিয়ে বাড়িতে বা বিভিন্ন ছোট্ট দোকান করে তারা স্বনির্ভর হতে পারবেন। শুধু তাই নয়, প্রতিমাসে আসবে টাকা। এছাড়াও প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তাদের কাজও দেওয়া হচ্ছে সংস্থার তরফে।

আরও পড়ুন-    বলুন তো, পৃথিবীর কোন দেশে Jeans পরা নিষেধ? ৯০% মানুষই জানেন না সঠিক উত্তর, নাম শুনলে চমকে যাবেন গ্যারান্টি!

টেলারিং এর প্রাথমিক পাঠ থেকে বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় হাতে-কলমে শিখিয়ে দিচ্ছেন প্রশিক্ষকরা। বর্তমানে মেয়েদের সাবলম্বী করা এবং নিজের পায়ে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকার। সেহেতু বিভিন্ন জায়গায় প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে মহিলা স্বনির্ভরতায় জোর দেওয়া হচ্ছে। এই প্রশিক্ষণ পেয়ে খুশি গ্রামীণ এলাকার মহিলারা। আগামী দিনে যে বেশ উপকারে লাগবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

রঞ্জন চন্দ