ভারতে নামিদামী স্কুল কম নেই। পড়াশোনার মান যেমন উন্নত, তেমনই ব্যয়বহুল। বছরে লাখ লাখ টাকা ফি। সাধারণ মানুষের কল্পনারও বাইরে। কিন্তু পৃথিবীতে এমন স্কুলও রয়েছে, যেখানে ধনীরাও সন্তানকে ভর্তি করানোর আগে দশবার ভাবেন।বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল স্কুলের নাম Institut Le Rosey। সুইজারল্যান্ডে অবস্থিত। ফি শুনলে চোখ কপালে উঠবে।বছরে লাখ নয়, কোটিতে খরচ। ৫০টিরও বেশি দেশ থেকে ছাত্রছাত্রীরা এখানে পড়াশোনা করতে আসেন। বেশিরভাগই রাজপরিবারের সন্তান।স্পেন, মিশর, বেলজিয়াম, ইরান, গ্রিসের রাজপরিবারের সন্তানরা Institut Le Rosey স্কুলের ছাত্র। এক বছরের ফি দিয়ে বিলাসবহুল গাড়ি কিংবা প্রাসাদ কেনা যাবে অনায়াসে।১৮৮০ সালে এই স্কুলের প্রতিষ্ঠা করেন পল এমিল কর্নেল। স্কুলের অনেক ছাত্রই পরবর্তীকালে রাজা, সম্রাট কিংবা কোটিপতি হয়েছেন। সে জন্য এই স্কুলকে ‘স্কুল অফ কিংস’ নামে ডাকা হয়।স্কুলের বার্ষিক ফি ১ কোটি টাকার বেশি। উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে Institut Le Rosey-তে পড়াশোনার জন্য বছরে ১৩৩,০০০ মার্কিন ডলার ফি দিতে হয়। ভারতীয় মুদ্রায় ১১১৬৪৩৮৫ টাকা।স্কুলের দুটি ক্যাম্পাস। বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে বিলাসবহুল রিসর্ট। ভিতরে রয়েছে টেনিস কোর্ট, শ্যুটিং রেঞ্জ, অশ্বারোহী কেন্দ্র এবং ৪ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত একটি দুর্দান্ত কনসার্ট হল।Institut Le Rosey সুইজারল্যান্ডের প্রাচীনতম বোর্ডিং স্কুলগুলির মধ্যে একটি। ক্যাম্পসের মধ্যে রয়েছে স্কি রিসোর্ট। এখানে পড়ুয়া, স্কুল সদস্য এবং কর্মীরা জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত স্কিইং করেন। বিশাল ক্যাম্পাসে পড়ুয়া সংখ্যা মাত্র ৪৫০ জন। শিক্ষক রয়েছেন ২০০ জন। অর্থাৎ দুই থেকে তিনজন ছাত্র পিছু একজন করে শিক্ষক।এই স্কুলেও কোটা রয়েছে। শিক্ষকদের সন্তানদের জন্য ৩০টি আসন সংরক্ষিত। এর মধ্যে তিনজনকে বৃত্তি দেওয়া হয়। এই স্কুলে ভর্তির বয়স ৭ থেকে ১৮ বছর। ২০১৫ সালে, ক্রিস্টোফ গুডিন, লে রোসির চতুর্থ পরিচালক, ফিলিপ গুডিনের ছেলে, পঞ্চম পরিচালক হন। বর্তমানে এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক কিম কোভাসেভিচ।
