আজ দোল খেলে না বর্ধমানবাসী, কারণ জানলে অবাক হবেন

Holi 2024: রঙের উৎসবে ‘এই’ কারণেই দোল খেলে না বর্ধমানবাসী, জানলে অবাক হবেন

বর্ধমান: আর পাঁচটা দিনের মতোই স্বাভাবিক বর্ধমান। সাড়া রাজ্য জুড়ে যখন দোল উৎসব পালিত হচ্ছে তখন তার ব্যতিক্রম বর্ধমান শহর। এই শহরে কেউ রং খেলে না আজ। প্রকৃতিতে রং লাগলেও এদিন রঙের ছোঁয়া থেকে দূরেই থাকেন এই শহরের সকলে। রাজ আমল থেকেই চলে আসছে এই প্রথা। বর্ধমানবাসী রঙের উৎসবে মাতোয়ারা হয় পরদিন। আগামীকাল আবির রঙে রাঙা হবেন বাসিন্দারা। কেন জানেন?

বর্ধমান রাজাদের কুল দেবতা রাধামাধব জিউ, লক্ষ্মীনারায়ন জিউ। দোল পূর্ণিমায় তাঁদের পুজো হয়। তাঁদের পায়ে আবির দিয়ে সকলের মঙ্গল কামনা করা হয়। বর্ধমান শহরের সোনাপট্টি এলাকায় রয়েছে এই মন্দির। বহু প্রাচীন এই মন্দিরে সেই রীতি চলে আসছে আজও। পূর্ণিমার দিন লক্ষ্মীনারায়ণ জিউ মন্দিরে পুজো হয়। দোল উৎসব পালিত হয় মন্দিরে । অনেকই এদিন মন্দিরে এই উৎসব দেখতে আসেন। বর্ধমানের মহারাজা মহাতাব চাঁদের মতে, এদিন দেব-দেবীর দোল উৎসব। দেবতাদের দোল উৎসব। তাই এদিন রং খেলত না রাজ পরিবার। তারা রং খেলতো পরদিন। সেই থেকেই দোল পূর্ণিমার পরদিন রং খেলে বর্ধমানবাসী।

আরও পড়ুন-   গুরুতর অসুস্থ হিনা খান, রোজা চলাকালীন হঠাৎ কী হল? কাতর আর্জি নায়িকার, বাড়ছে উদ্বেগ!

রাজা মহতাবচাঁদ মনে করতেন, দেবতাদের দোলের দিনে মানুষের দোল খেলা ঠিক নয় ৷ তিনি ঠিক করেন পরদিন দোল খেলবেন ৷ তাঁর ব্যক্তিগত চিন্তা এটা ৷ রাজবাড়িতে পূর্ণিমার পর দিন থেকে দোল খেলা শুরু হত ৷ রাজাকে দেখে রাজকর্মীরাও পরদিন দোল খেলা শুরু করেন ৷ এরপর বর্ধমান শহরবাসী এই প্রথা মানতে অরম্ভ করে।

রাজারা আর নেই। মন্দিরের দোলের সেই আড়ম্বর কমেছে অনেক আগেই। আজ সাদামাটা ভাবেই লক্ষ্মীনারায়ণ জিউ রাধামাধব জিউ এর দোল হয়। তবুও সেই প্রথা বজায় রয়েছে পুরো মাত্রায়।আবির পিচকিরি বিক্রি হচ্ছে কয়েকদিন আগে থেকেই। তবে দোল পূর্ণিমায় আর পাঁচটা দিনের মতোই স্বাভাবিক থাকল শহর বর্ধমান। তবে আগামীকাল অর্থাৎ পূর্ণিমার পরদিন রঙের উৎসবে মেতে উঠবে এই শহর। আবিরে রঙে রঙিন হবে আট থেকে আশি সকলেই।