Tag Archives: Holi 2024

Holi 2024: একবার নয়, দু’বার দোল খেলা হয় এখানে, রঙের উৎসবে বিরাট চমক! কোথায় জানেন?

আসানসোল: এই পরিবারের সদস্যদের কাছে রঙিন আনন্দ হয় দ্বিগুণ। কারণ তারা পান দু’বার দোল খেলার সুযোগ। দোল পূর্ণিমার দিন অন্যান্য সকলের মতই কুলটির মিঠানি গ্রামের চট্টরাজ পরিবারের সমস্ত সদস্যরা রঙের উৎসবে মেতে ওঠেন। তবে দোল উৎসবের পাঁচ দিন পর আবার রঙের খেলায় মেতে ওঠেন তারা। কারণ মিঠানির চট্টরাজ পরিবারে পালিত হয় পঞ্চম দোল।

অর্থাৎ দোলের পাঁচ দিন পর আবারও একবার দোল উৎসব পালন করা হয়। পরিবারের কুলদেবতা বাসুদেবকে নিয়ে দোল উৎসবে মেতে ওঠেন সকলে। শুধু কুলটির মিঠানি গ্রামের চট্টরাজ পরিবার নয়, বাঁকুড়ার পুরন্দরপুরের চট্টরাজ পরিবারও পঞ্চম দোলে মেতে ওঠেন বলে জানিয়েছেন, পরিবারের এক প্রবীণ সদস্য।

আরও পড়ুন- শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

তারা বলছেন, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বংশ পরম্পরায় এই পঞ্চম দোল উৎসব পালিত হয়। পঞ্চম দলের আগের দিন হয় ন্যাড়াপোড়া উৎসব। পঞ্চম দোলের দিন কুল দেবতাকে দোলনায় দোলানো হয়। তারপর সকলে মিলে রংয়ের খেলায় মেতে ওঠেন। কুল দেবতার বিশেষ পুজো, আরাধনা হয় এদিন। সব মিলিয়ে দোলের আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে ওঠে কুলটির মিঠানি গ্রামে।

পরিবারের সদস্যরা বলছেন, বংশ-পরম্পরায় এই পঞ্চম দোল উৎসব চলে আসছে। পরিবারের গৃহবধূরা বলছেন, বিয়ের আগে তারা এই পঞ্চম দোলের স্বাদ কখনও পাননি। স্বাভাবিকভাবেই দোলের পাঁচ দিন পর আবার যে দোল উৎসব হয়, তাতে মেতে ওঠেন চট্টরাজ পাড়া। একইসঙ্গে গোটা গ্রামের মানুষ বাসুদেবের পঞ্চম দোল উৎসবে মাতোয়ারা হয়ে ওঠেন। গোটা গ্রামে থাকে উৎসবের মেজাজ।

নয়ন ঘোষ

Skin Care: রঙ খেলে ট্যান পড়েছে মুখে-হাতে? রান্নাঘরের জিনিসেই ৩ দিনে গায়েব! শুধু জানুন ব্যবহারের পদ্ধতি

উত্তর দিনাজপুর: হোলিতে রঙ খেলে মুখে ট্যান পড়ে গিয়েছে? সূর্যের আলো ও রংয়ের কেমিক্যালের প্রভাবে প্রায় সময় আমাদের ত্বকে ট্যান পড়ে যায়। এই ট্যান থেকে মুক্তি পাবার জন্য প্রায়ই দামি বিউটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু অনেক সময় দামি দামি বিউটি প্রোডাক্টেও সুফল পাওয়া যায় না। তবে ঘরোয়া কিছু উপকরণ দিয়েই এই ট্যান পড়া থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

এ প্রসঙ্গে বিউটি এক্সপার্ট পিউ দাস জানান, ঘরোয়া টোটকাতেই একমাত্র সম্ভব মুখে ট্যান পরা রোধ করা। প্রয়োজন চালের গুড়ো, কাঁচা পেঁপে, টমেটো। প্রথমেই ভালভাবে গ্রেটার দিয়ে কাঁচা পেঁপে গ্রেট করে নিন। এরপর টম্যাটোরের রস বের করে নিন। অন্যদিকে, চালের গুঁড়োর সঙ্গে মধু, টম্যাটোরের রস ও কাঁচা পেঁপে দিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করে সপ্তাহে দু-তিনদিন সেই পেস্টটি শরীরের মুখে হাতে-পায়ে লাগান।

আরও পড়ুনঃ চাকরি প্রার্থীদের জন্য বিরাট সুখবর! ভারতীয় রেলে শীঘ্রই প্রচুর নিয়োগ, আজই আবেদন করুন

মুখের রোমকূপের জায়গাও যে সমস্ত অংশে ট্যান পড়ে কালো দাগ পড়ে গিয়েছে সেই সমস্ত জায়গায় এই প্যাকটি লাগিয়ে ৩০ মিনিটের মতো রেখে দিন। রেখে দেওয়ার পর একটি রুমাল উষ্ণ গরম জলে ধুয়ে সেই রুমালটি দিয়ে ভালভাবে মুখের সমস্ত প্যাকটি তুলে ফেলুন।

এরপর ফিটকারির সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে সেই মিশ্রণটি পুরো মুখে টোনারের মতো লাগান। সপ্তাহে দু-তিনবার এই প্যাকটি, ঘরে করলে আপনার মুখের ট্যান দূর হবে। উজ্জ্বল এবং দাগ মুক্ত হবে ত্বক। তাই দেরি না করে আজই বাড়িতে তৈরি করে নিন ঘরোয়া কিছু উপকরণ দিয়ে এই প্যাকটি।

পিয়া গুপ্তা

Purulia Tourism: আগুনরাঙা পলাশের ছোঁয়ায় চলুন ক’দিন মেতে উঠি

পুরুলিয়া: দোল চলে গেলেও পুরুলিয়া জুড়ে ছড়িয়ে আছে বসন্তের আমেজ। আগুন রাঙা পলাশের ছোঁয়ায় রঙিন মানভূম। এই সময় বহু মানুষ বসন্তের আমেজ উপভোগ করতে পুরুলিয়ায় ছুটে আসেন। সকলেই যে শুধুমাত্র দোলের দিন আসেন তা নয়, তারপরেও অনেকে ঘুরতে আসেন।

আর‌ও পড়ুন: আদিবাসীদের দোল কেমন হয়? বাহা উৎসবের মন ভাল করা ভিডিও দেখুন

পুরুলিয়া জেলাজুড়ে দু’দিনব্যাপী চলল বসন্ত উৎসব। হোটেল, রিসোর্ট, হোম-স্টে, নেচার ক্যাম্প বিভিন্ন জায়গাতেই দু-দিন ব্যাপি বসন্ত উৎসব পালিত হয়। পর্যটক সহ জেলার মানুষেরা এই উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠেন। এই জেলার বসন্ত উৎসবের চেহারাটা অনেকটাই অন্যরকম। এখানে বসন্ত উৎসবে জেলার শিল্প সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়।

ছৌ নাচ, আদিবাসী নৃত্য, ঝুমুর, নাচনি নাচ, বাউল গান সহ নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। শুধুমাত্র দোল নয়, হোলির দিনেও এখানে পালিত হযযল বসন্ত উৎসব। এক কথায় পুরুলিয়ার বসন্ত উৎসবের রূপ একেবারেই ভিন্ন। ‌ কারণ এখানে বসন্তের পলাশ উৎসব পালিত হয়। এমনকি একেবারেই ভেষজ আবির দিয়ে এখানে বেশিরভাগ জায়গায় বসন্ত উৎসব পালিত হয়েছে। ‌

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

তাই দোল চলে গিয়েছে বলে আপনি যদি ভাবেন পুরুলিয়ায় ঘুরতে এসে আর লাভ নেই তবে ভুল করবেন। এই বসন্তকালে পুরুলিয়ার যে রূপ তা থেকে চোখ ফিরিয়ে থাকাটা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

Basanta Utsav Video: আদিবাসীদের দোল কেমন হয়? বাহা উৎসবের মন ভাল করা ভিডিও দেখুন

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দোলে হয়ত সকলেই রঙ খেলেছেন। কিন্তু আপনার চিরাচরিত রং খেলার দৃশ্যের বাইরে গিয়ে দেখুন এই ভিডিও। সুন্দরবনের আদিম জনজাতির মানুষ কেমন করে বসন্ত উৎসবে মাতলেন তা ধরা রইল।

আর‌ও পড়ুন: শ্বশুরবাড়িতে রং খেলতে যাওয়াই কাল হল! বেঘোরে প্রাণ গেল নব দম্পতির

আদিবাসীদের মধ্যে কেউ বলেন ’বাহা’, আবার কেউ বলেন ‘সারহুল’ কেউ বা ‘ফাগুয়া’ কেউ বা ’খাদ্দি‘ আবার কেউ বা ‘শালুই পুজো‘। তবে যে নামেই ডাকা হোক না কেন আসলে তা বসন্ত উৎসব। তার বসন্ত উৎসব মানেই রঙের উদযাপন। তা শুধু রং খেলা দিয়ে নয়, মনে-পরিবেশে সর্বত্র রঙিন ছোঁয়া।

সাঁওতাল, ওরাঁও, মুন্ডা, কোল, কিষাণ, হো, বিরজিয়া, খেড়িয়া সহ প্রায় সমস্ত জনজাতির মানুষের কাছেই বাহা এক পবিত্র উৎসব। পুরাতনকে বিদায় জানিয়ে নুতনকে বরণ করাটাই প্রকৃতির নিয়ম। সেই অর্থে যখন মুকলিত বৃন্তের আগায় সহস্র শাখায় হেসে ওঠে, কুসুম সহ প্রায় সমস্ত গাছে কচিকচি লালপাতা, পলাশ, শিমুলের লালিমা, মহুয়া গাছে মহুয়ার ফুল আর আকাশে ফাগুন পূর্ণিমার চাঁদ এই মাহেন্দ্রযোগে অরণ্য দুলাল অদিবাসীরা মেতে ওঠেন এই বাহা উৎসবে।

আদিবাসীরা সাধারণত গ্রামে তিনদিন ধরে এই উৎসব পালন করেন। প্রথম দিনটিকে বলা হয় ‘উম‘। এই বিশেষ দিনে গ্রামের নায়েক বা পুজারি প্রকৃতির কোলে জাহের বা জাহিরা থানে এসে সেই জায়গাটিকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করেন। খড়ের ছাউনি দিয়ে তৈরি হয় ‘জাহের সাড়িম‘। সেদিন রাতে তাঁকে অতন্ত শুচি ও পবিত্র হয়ে থাকতে হয়। দ্বিতীয় দিনটি হল ‘সার্দি‘। এইদিন মারাংবুরু, জাহের আয়ো এবং মড়েকে তুরিইকোপ্রমুখের উদ্দেশ্যে পুজো নিবেদন করা হয়। পুজো শেষে কচি মুরগির বাচ্চার মাংস সহযোগে খিচুরি রান্না হয়। গ্রামের শিশু, বৃদ্ধ, মহিলা সকলেই সেদিন নতুন কাপড় পরে জাহরে এসে প্রথমে দেবস্থান এবং নায়েক বা পূজারিকে প্রণাম করেন।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

নতুন কুলোতে পুজারির কাছে থাকে শাল ফুল। প্রতিজনকে তিনি এই নতুন ফুল উপহার দেন। মেয়েরা তা খোঁপায় গুঁজে নেয়। ছেলেরা গোঁজে কানে। এই বিশেষ দিন থেকে আদিবাসীরা বসন্তে নতুন গজিয়ে ওঠা পাতা ও ফুল আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবহার শুরু করেন। এর পর খিচুরি প্রসাদ গ্রহণের পর সারাদিন ও রাত ধরে চলে বাহা নৃত্য। তৃতীয় দিন হল ‘বাহা সেঁদরা‘। এইদিনে পলাশ ফুলের রঙে রাঙানো জল দিয়ে হোলি খেলেন সকলৈ।

সুমন সাহা

Bike Accident: শ্বশুরবাড়িতে রং খেলতে যাওয়াই কাল হল! বেঘোরে প্রাণ গেল নব দম্পতির

বাঁকুড়া: রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে শৌচকর্ম করার সময় সরকারি বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হল নব দম্পতির। সিমলাপালের বাসিন্দা বছর ২৬-এর শুধাময় রানা তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে শশুরবাড়ি গিয়েছিলেন দোল খেলার জন্য। আনন্দ উৎসব সেরে এই নবদম্পতি বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু আর বাড়ি ফেরা হল না, মুহূর্তেই চলে গেল দু’জনের প্রাণ।

আর‌ও পড়ুন: ক্রিকেট ম্যাচ খেলে আর বাড়ি ফেরা হল না, লরি কেড়ে নিল তরুণ ক্রিকেটারের প্রাণ

মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে রাইপুর থানার অমৃতপালের কাছে। জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া ৯ নম্বর রাজ্য সড়কে দুর্গাপুর থেকে বাঁকুড়া হয়ে ঝাড়গ্রামগামী একটি সরকারি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বাইককে ধাক্কা মারে। এরপর বাসটি উল্টে যায় রাস্তার পাশের জমিতে। ওই বাইকের চালক ছিলেন সুধাময় রানা, বাইকের পিছনের সিটে বসে ছিলেন তাঁর স্ত্রী। রাস্তার ধারে শৌচকর্ম করার জন্য বাইক দাঁড় করিয়ে নেমেছিলেন তাঁরা। ঠিক তখনই দুর্ঘটনা ঘটে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

স্থানীয়রা দ্রুত ছুটে এসে দুর্ঘটনাগ্রস্থ সরকারি বাস থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করেন‌। অন্যতম উদ্ধারকারী বিশ্বনাথ সেনাপতি জানান, বাসটি উল্টে গেলেও তার ভেতর থাকা যাত্রীদের কারোর তেমন একটা চোট লাগেনি। এই দুর্ঘটনার পরই এলাকার মানুষ বেহাল রাস্তা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের দাবি, রাস্তা সংস্কারের নামে দীর্ঘদিন ধরে সবকিছু খুঁড়ে রেখে দেওয়া হয়েছে। ফলে ক্রমশ দুর্ঘটনা বাড়ছে। অবিলম্বে রাস্তা মেরামতির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Holi Colour Removal Tips: ২দিন পরেও উঠেনি হোলির রং? রইল রং তোলার ৫ টি সহজ উপায়!

টক দই ও বেসনের মিশ্রণঃ টক দই ও বেসনের প্যাক বানিয়ে প্রায় ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। তারপর ধুয়ে নিন। দেখবেন মুখের জেল্লা ফিরে পাবেন।
টক দই ও বেসনের মিশ্রণঃ টক দই ও বেসনের প্যাক বানিয়ে প্রায় ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। তারপর ধুয়ে নিন। দেখবেন মুখের জেল্লা ফিরে পাবেন।
নারকেল তেল অথবা অলিভ অয়েলঃ রং খেলা সম্পন্ন হলে মুখে ভালো করে নারকেল তেল অথবা অলিভ অয়েল লাগিয়ে রাখতে পারেন। তাহলে সহজেই রং উঠে যাবে।
নারকেল তেল অথবা অলিভ অয়েলঃ রং খেলা সম্পন্ন হলে মুখে ভালো করে নারকেল তেল অথবা অলিভ অয়েল লাগিয়ে রাখতে পারেন। তাহলে সহজেই রং উঠে যাবে।
পাতিলেবুঃ ভেষজ ন্যাচারাল ব্লিচিং হল পাতি লেবুর রস। রং মাখানো মুখে অন্তত ১৫ মিনিট পাতি লেবুর রস লাগিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে পারবেন।
পাতিলেবুঃ ভেষজ ন্যাচারাল ব্লিচিং হল পাতি লেবুর রস। রং মাখানো মুখে অন্তত ১৫ মিনিট পাতি লেবুর রস লাগিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে পারবেন।
ময়েশ্চরাইজার ক্রিম অথবা কাচা দুধঃ শরীর থেকে রং তোলার জন্য দুধ বা ময়েশ্চরাইজার ক্রিমে বেশকিছুক্ষণ তুলো ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেই ভেজানো তুলো দিয়ে শরীরে লেগে থাকা রং পরিষ্কার করে নিন।
ময়েশ্চরাইজার ক্রিম অথবা কাচা দুধঃ শরীর থেকে রং তোলার জন্য দুধ বা ময়েশ্চরাইজার ক্রিমে বেশকিছুক্ষণ তুলো ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেই ভেজানো তুলো দিয়ে শরীরে লেগে থাকা রং পরিষ্কার করে নিন।
টক দই ও পাতিলেবুর প্যাকঃ রং খেলার পর টক দই ও পাতিলেবুর প্যাক বানিয়ে মাথার চুলে ১৫ থেকে ২০ মিনিট মেখে রাখুন। তারপর কোনও হার্বাল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন চুলটা। তাহলে চুলও পরিষ্কার হয়ে যাবে।
টক দই ও পাতিলেবুর প্যাকঃ রং খেলার পর টক দই ও পাতিলেবুর প্যাক বানিয়ে মাথার চুলে ১৫ থেকে ২০ মিনিট মেখে রাখুন। তারপর কোনও হার্বাল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন চুলটা। তাহলে চুলও পরিষ্কার হয়ে যাবে।

Bhai Dooj 2024: ভাইফোঁটার জন্য ঠিক এই দুটি মুহূর্তই সেরা, আপনার ভাইয়ের জীবন থেকে কাটবে সব আঁধার! সমৃদ্ধি-সুস্থতা হবে চিরসঙ্গী

*আজ ২৭ মার্চ হোলি ভাইফোঁটা। শাস্ত্রবিদরা বলেন, এ দিন ভাইয়ের কপালে টিকা বা তিলক এঁকে দিলে তাঁর জীবন সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে। তাই এ দিন দিদি বা বোনেরা ভাই বা দাদাদের কপালে তিলক এঁকে দেন ভাইয়ের বা দাদার মঙ্গল কামনায়। সংগৃহীত ছবি।
*আজ ২৭ মার্চ হোলি ভাইফোঁটা। শাস্ত্রবিদরা বলেন, এ দিন ভাইয়ের কপালে টিকা বা তিলক এঁকে দিলে তাঁর জীবন সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে। তাই এ দিন দিদি বা বোনেরা ভাই বা দাদাদের কপালে তিলক এঁকে দেন ভাইয়ের বা দাদার মঙ্গল কামনায়। সংগৃহীত ছবি।
*বছরে মূলত দু'বার এই ভাইফোঁটা পালন করা হয়। একটি পালন করা হয় দীপাবলির কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয় দিনে, এই দিনেই মূলত ভাইফোঁটা দেন সকলে। তাই অনেকেই দ্বিতীয় দিনটির কথা জানেন না। সংগৃহীত ছবি।
*বছরে মূলত দু’বার এই ভাইফোঁটা পালন করা হয়। একটি পালন করা হয় দীপাবলির কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয় দিনে, এই দিনেই মূলত ভাইফোঁটা দেন সকলে। তাই অনেকেই দ্বিতীয় দিনটির কথা জানেন না। সংগৃহীত ছবি।
*দ্বিতীয় ভাইফোঁটা পালন করা হয় দোলের পরে। চৈত্র মাসে কৃষ্ণপক্ষের দ্বিতীয় দিনে এই ভাইফোঁটা পালন করা ভাইয়ের দীর্ঘায়ু এবং মঙ্গল কামনায়। সংগৃহীত ছবি।
*দ্বিতীয় ভাইফোঁটা পালন করা হয় দোলের পরে। চৈত্র মাসে কৃষ্ণপক্ষের দ্বিতীয় দিনে এই ভাইফোঁটা পালন করা ভাইয়ের দীর্ঘায়ু এবং মঙ্গল কামনায়। সংগৃহীত ছবি।
*আজ ঠিক দুটি মুহূর্ত রয়েছে এই তিলক পরিয়ে দেওয়ার জন্য। এই সময়ের মধ্যে ভাই বা দাদার কপালে তিলক এঁকে, তাঁর মঙ্গল কামনা করলে জীবন থেকে কাটবে সব আঁধার। সমৃদ্ধি-সুস্থতা হবে চিরসঙ্গী, এমনটাই মনে করা হয়। সংগৃহীত ছবি।
*আজ ঠিক দুটি মুহূর্ত রয়েছে এই তিলক পরিয়ে দেওয়ার জন্য। এই সময়ের মধ্যে ভাই বা দাদার কপালে তিলক এঁকে, তাঁর মঙ্গল কামনা করলে জীবন থেকে কাটবে সব আঁধার। সমৃদ্ধি-সুস্থতা হবে চিরসঙ্গী, এমনটাই মনে করা হয়। সংগৃহীত ছবি।
*প্রথম শুভ মুহূর্ত শুরু হচ্ছে ১০টা বেজে ৫৪ মিনিট থেকে। অর্থাৎ হাতে আর মাত্র কিছুক্ষণ সময় রয়েছে, তারপরেই শুরু হয়ে যাবে শুভ মুহূর্ত। এই সময় স্থায়ী হবে বেলা ১২টা বেজে ২৭ মিনিট পর্যন্ত। সংগৃহীত ছবি।
*প্রথম শুভ মুহূর্ত শুরু হচ্ছে ১০টা বেজে ৫৪ মিনিট থেকে। অর্থাৎ হাতে আর মাত্র কিছুক্ষণ সময় রয়েছে, তারপরেই শুরু হয়ে যাবে শুভ মুহূর্ত। এই সময় স্থায়ী হবে বেলা ১২টা বেজে ২৭ মিনিট পর্যন্ত। সংগৃহীত ছবি।
*এ দিনের দ্বিতীয় শুভ সময় শুরু হবে বেলা ৩টে বেজে ৩১ মিনিট থেকে, শেষ হবে বিকেল ৫টা ০৪ মিনিটে। সংগৃহীত ছবি।
*এ দিনের দ্বিতীয় শুভ সময় শুরু হবে বেলা ৩টে বেজে ৩১ মিনিট থেকে, শেষ হবে বিকেল ৫টা ০৪ মিনিটে। সংগৃহীত ছবি।
*শাস্ত্রমতে, হোলি ভাইফোঁটার দিন সকালে স্নান সেরে শুদ্ধ বস্ত্র পরে বোনের কাছ থেকে ফোঁটা নিতে। বোন ভাই বা দাদার পছন্দ মতো রান্না করে খাওয়ান তাঁকে। এরপর ভাই তাঁর সাধ্যমতো কেনা উপহার বোন বা দিদির হাতে তুলে দেন। সংগৃহীত ছবি।
*শাস্ত্রমতে, হোলি ভাইফোঁটার দিন সকালে স্নান সেরে শুদ্ধ বস্ত্র পরে বোনের কাছ থেকে ফোঁটা নিতে। বোন ভাই বা দাদার পছন্দ মতো রান্না করে খাওয়ান তাঁকে। এরপর ভাই তাঁর সাধ্যমতো কেনা উপহার বোন বা দিদির হাতে তুলে দেন। সংগৃহীত ছবি।
*মঙ্গলদীপ জ্বালিয়ে আরতি হয় ভাইয়ের। রুপোর পাত্রে গঙ্গাজল এবং চন্দনের সঙ্গে দেওয়া হয় ২৭টি কেশরের পাপড়ি। সেই তিলক পরিয়ে দেওয়া হয় ভাইয়ের কপালে। প্রথম টিকা পরিয়ে দিতে হয় ভগবান বিষ্ণু এবং গণেশকে। সংগৃহীত ছবি।
*মঙ্গলদীপ জ্বালিয়ে আরতি হয় ভাইয়ের। রুপোর পাত্রে গঙ্গাজল এবং চন্দনের সঙ্গে দেওয়া হয় ২৭টি কেশরের পাপড়ি। সেই তিলক পরিয়ে দেওয়া হয় ভাইয়ের কপালে। প্রথম টিকা পরিয়ে দিতে হয় ভগবান বিষ্ণু এবং গণেশকে। সংগৃহীত ছবি।

Bengali News: ডালিম গাছের তলায় ধ্যানে বসে সরস্বতী হয়ে ওঠেন সতী মা! ৩০ একর জুড়ে চলছে তাঁর মেলা

নদিয়া: জমজমাট নদিয়ার সতী মায়ের মেলা। ভক্তদের ভিড় মন্দির চত্বরে। চিরাচরিত প্রথা মেনে এবারও দোল পূর্ণিমার দিন নদিয়াতে সতী মায়ের পুজো হয়েছে। শতাব্দী প্রাচীন দোলযাত্রার এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে নজর কাড়ে সতী মায়ের বিখ্যাত দোল মেলা।

বহু দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এই মেলায় আসেন। ভক্তদের দাবি, গঙ্গাসাগর মেলা, জয়দেবের মেলার থেকে কোনও অংশে কম ভিড় হয় না এই সতী মায়ের মেলায়। নদিয়ার কল্যাণীর ঘোষপাড়ায় অবস্থিত বিখ্যাত সতী মায়ের মন্দির। বৈষ্ণবদের কর্তাভজা সম্প্রদায়ের মানবী দেবী বলে পরিচিত সতী মা। দোল পূর্ণিমার দিন দেবীর পুজোকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই মন্দির প্রাঙ্গনে ভক্তদের ভিড় লেগে যায়। লাইনে দাঁড়িয়ে পুজো দেন, অনেকে আবার দন্ডি কাটেন। পুকুরে ডুব’ও দেন অনেকে।

আর‌ও পড়ুন: লিচুতে ভরে উঠবে গাছ, শুধু এই নিয়মটা মানুন

এখানে আসা ভক্তদের বিশ্বাস, পুকুরে স্নান করে ডালিম গাছে ঢিল বাঁধলে দেবী মনস্কামণা পূর্ণ করেন। দোলের দিন বেশি করে সেই ছবি ধরা পড়ল। পুজো উপলক্ষে এবছরও যথারীতি বিরাট মেলা বসেছে। একসময় প্রায় ৬০০ বিঘা জমিতে সতীমায়ের মেলা বসত। বর্তমানে তা বাড়তে বাড়তে ৩০ একর এলাকায় মেলা বসছে। এই মেলা পরিচালনা করে কল্যাণী পুরসভা।

সতী মায়ের মেলাকে ঘিরে এক ইতিহাস আছে। কর্তাভজা সম্প্রদায়ের প্রবর্তক হলেন নদিয়ার ঘোষপাড়ার আউলচাঁদ। ভক্তরা তাঁকে গোরাচাঁদ নামে ডাকতেন। অনেকে তাঁকে শ্রীচৈতন্যের অবতার হিসেবেও মনে করতেন। এই ঘোষপাড়ারই বাসিন্দা ছিলেন রামশরণ পাল। তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম ছিল সরস্বতী। কথিত আছে, মরণাপন্ন সরস্বতীর সারা গায়ে পুকুর থেকে মাটি এনে লেপে দিয়েছিলেন আউলচাঁদ। তাতেই সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন সরস্বতী। পরবর্তীকালে বাড়ির ডালিম গাছের নীচে দীর্ঘ সাধনার পর তিনিই হয়ে ওঠেন সতী মা। আউলচাঁদের পর সতী মা হয়ে ওঠেন কর্তাভজা সম্প্রদায়ের প্রধান।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এখানে প্রচলিত বিশ্বাস হল, সরস্বতী যে ডালিম গাছের নিচে বসে সাধনা করেছিলেন, সেই ডালিম গাছে ঢিল বাঁধলে সব ইচ্ছাপূরণ হয়। ঘোষপাড়ায় তাঁর নামাঙ্কিত মন্দির চত্বর এবং সমাধিক্ষেত্রে ভক্তরা গিয়ে পুজো দেন। পুজোর ডালিও মন্দির চত্বরেই একাধিক ব্যক্তি বিক্রি করেন। ডালিতে ঢিলের জায়গায় দেওয়া থাকে সুতো বাঁধা মাটির ঘোড়া। মন্দিরের কাছেই রয়েছে পুকুর। সেই পুকুরে স্নান করে ভক্তরা মন্দিরে পৌঁছে ডালিম গাছে ঢিল বাঁধেন। আবার মনস্কামনা পূরণ হলে এসে ডালিম গাছ থেকে ঢিল খুলে ফেলতে হয়। এটাই সতী মায়ের মন্দিরের নিয়ম।

এখানে নিত্যপুজোর পাশাপাশি প্রতি শুক্রবার বিশেষ কীর্তনের আসর বসে। দোলের সময় সতী মায়ের এই মেলাকে কেন্দ্র করে দূরদূরান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্ত ছুটে আসেন।

মৈনাক দেবনাথ

Arijit Singh in Holi: সাদা পাঞ্জাবীতে জিয়াগঞ্জের পথে স্কুটি নিয়ে অরিজিৎ সিং! কচিকাঁচাদের সঙ্গে মাতলেন রঙ খেলায়

কৌশিক অধিকারী, মুর্শিদাবাদ: তিনি গায়ক। মাটির মানুষ হিসেবেই সবাই জানে। আজ বসন্ত উৎসব। অন্যদিকে অনেক জায়গায় রঙের উৎসবে রাঙিয়ে দিচ্ছেন তাঁদের প্রিয় মানুষকে। কিন্তু যদি কেও হাতের কাছে পেয়ে যান প্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিংকে, তাহলে তো আর কথাই নেই।

বসন্ত উৎসব মানেই আবীর গুলালে রাঙিয়ে দেওয়ার দিন। যা কিছু জীর্ণ, পুরোনো, মলিন তা ত্যাগ করে নতুন রং-এ রঙিন হয়ে ওঠবার মুহুর্ত। রঙের উৎসবের দিনে স্কুটি নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে ছিলেন গায়ক অরিজিৎ সিং। আর তাঁকে দেখতে পেতেই রাস্তায় তাঁর পথ আটকে দাঁড়িয়ে পড়ে পড়ুয়ারা। তাদের আবদার মেনেই নিজের স্কুটি থামিয়ে দেন গায়ক নিজে।

আরও পড়ুন : কোলেস্টেরলে জেরবার? হৃদরোগ থেকে বাঁচতে কোলেস্টেরল কমান এই সহজ টিপসে

নিজের পাড়ায় একেবারে সাধারণ মধ্যবিত্ত বাঙালির অরিজিৎ সিং, যাকে জিয়াগঞ্জে সোমু নামেই সকলে চেনেন৷ তবে তাঁর মধ্যে না থাকে কোনও চাকচিক্য, না মিথ্যা গ্ল্যামারের চশমা থাকে তাঁর চোখে৷ তাই তাঁকেও রাঙিয়ে দেওয়া হল রঙিন বসন্তে। পড়ুয়াদের থেকেও রঙ মেখে নেন মুখে, তার পরেই তিনি তার স্বভাব সিদ্ধ ভঙ্গিতে চলে যান তার গন্তব্যর উদ্দেশ্যে। তবে হঠাৎই প্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং-কে সামনে পেয়ে আপ্লুত হয়ে পড়েন ছাত্রীরা। সম্প্রতি পুণায় তিনি তাঁর শো করেছেন। শো করে ইতিমধ্যেই ফিরে এসেছেন তাঁর বাড়িতে। সারা দেশ যখন হোলির উৎসবে মাতোয়ারা, তখন গায়ক নিজে জিয়াগঞ্জের বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন, আর তাঁকে রাস্তায় এক ঝলক দেখতে পেয়ে পথ আটকে তাকে রঙে রঙিন করে দেওয়া হয়।

Offbeat Holi: শিলনোড়ায় পুঁইমেটুলি বেঁটেই তৈরি রঙ! ডুয়ার্সের আদিবাসী পাড়ায় দোলের পরদিনও প্রাণের হোলিখেলা

অনন্যা দে, আলিপুরদুয়ার: দোলের পরের দিন রঙ খেলায় মেতে ওঠে গ্রামবংলার মানুষেরা।জলরঙ দিয়ে এই খেলা হয়।আদিবাসী মহল্লায় প্রাকৃতিক রঙ ব‍্যবহার করে এই রঙ খেলা হয়।

ফুল ও ফল নয়,বরং শাক থেকে প্রাকৃতিক রঙ মেলে। পুঁইশাক থেকে এই রঙ মেলে বলে জানা যায়।এক সপ্তাহ আগে থেকে আদিবাসী মহল্লার যুবকেরা পুঁইশাক সংগ্রহের কাজ শুরু করে।পাশাপাশি শিশু,কিশোরেরা এই শাক সংগ্রহ করে থাকে।প্রাকৃতিক রঙ দিয়ে রঙ খেললে ত্বকের কোনও ক্ষতি হয় না বলে তাঁরা জানান।

আরও পড়ুন : কোলেস্টেরলে জেরবার? হৃদরোগ থেকে বাঁচতে কোলেস্টেরল কমান এই সহজ টিপসে

আদিবাসী মহল্লার যুবকরা জানান, “কেমিক‍্যাল রঙ ব‍্যবহার করলে ত্বকের সমস‍্যা হয়।তাই আমরা এই প্রাকৃতিক রঙের হদিশ পাওয়ার পর থেকে এই রঙ দিয়েই হোলি খেলে থাকি।”

পুঁইশাকের থেকে মেলে কালো বীজ।এই বীজ থেকেই প্রাকৃতিক রঙ মেলে বলে জানা যায়।এই বীজ সংগ্রহ করে শুকিয়ে নিতে হয়।দোলের পরের দিন সকাল থেকে চলে এই দানা বেটে নেওয়ার পালা। শিলনোড়ায় এই দানা বেটে মেলে লাল রঙ।এই রঙ একে অপরকে মাখিয়ে দিয়ে চলে রঙ খেলা।