আসানসোল: এই পরিবারের সদস্যদের কাছে রঙিন আনন্দ হয় দ্বিগুণ। কারণ তারা পান দু’বার দোল খেলার সুযোগ। দোল পূর্ণিমার দিন অন্যান্য সকলের মতই কুলটির মিঠানি গ্রামের চট্টরাজ পরিবারের সমস্ত সদস্যরা রঙের উৎসবে মেতে ওঠেন। তবে দোল উৎসবের পাঁচ দিন পর আবার রঙের খেলায় মেতে ওঠেন তারা। কারণ মিঠানির চট্টরাজ পরিবারে পালিত হয় পঞ্চম দোল।
অর্থাৎ দোলের পাঁচ দিন পর আবারও একবার দোল উৎসব পালন করা হয়। পরিবারের কুলদেবতা বাসুদেবকে নিয়ে দোল উৎসবে মেতে ওঠেন সকলে। শুধু কুলটির মিঠানি গ্রামের চট্টরাজ পরিবার নয়, বাঁকুড়ার পুরন্দরপুরের চট্টরাজ পরিবারও পঞ্চম দোলে মেতে ওঠেন বলে জানিয়েছেন, পরিবারের এক প্রবীণ সদস্য।
তারা বলছেন, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বংশ পরম্পরায় এই পঞ্চম দোল উৎসব পালিত হয়। পঞ্চম দলের আগের দিন হয় ন্যাড়াপোড়া উৎসব। পঞ্চম দোলের দিন কুল দেবতাকে দোলনায় দোলানো হয়। তারপর সকলে মিলে রংয়ের খেলায় মেতে ওঠেন। কুল দেবতার বিশেষ পুজো, আরাধনা হয় এদিন। সব মিলিয়ে দোলের আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে ওঠে কুলটির মিঠানি গ্রামে।
পরিবারের সদস্যরা বলছেন, বংশ-পরম্পরায় এই পঞ্চম দোল উৎসব চলে আসছে। পরিবারের গৃহবধূরা বলছেন, বিয়ের আগে তারা এই পঞ্চম দোলের স্বাদ কখনও পাননি। স্বাভাবিকভাবেই দোলের পাঁচ দিন পর আবার যে দোল উৎসব হয়, তাতে মেতে ওঠেন চট্টরাজ পাড়া। একইসঙ্গে গোটা গ্রামের মানুষ বাসুদেবের পঞ্চম দোল উৎসবে মাতোয়ারা হয়ে ওঠেন। গোটা গ্রামে থাকে উৎসবের মেজাজ।
নয়ন ঘোষ