গজিয়ে উঠেছে একাধিক পানীয় জলের কারখানা

Drinking Water: মাত্র ১০-১২ টাকায় মিলছে ২০ লিটার বোতলবন্দি পানীয় জল! প্রশ্নের মুখে জনস্বাস্থ্য

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আইন শৃঙ্খলার পরোয়া না করেই পানীয় জল নিয়ে চলছে বেআইনি ও বিপজ্জনক কারবার। মাত্র ১০-১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বোতল বন্দি ২০ লিটার পানীয় জল! পানীয় জল নিয়ে এই রমরমা ব্যবসা ঘিরেই তৈরি হয়েছে আশঙ্কা। বিক্রি হওয়া পানীয় জলের বিশুদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এর ফলে যে কোন‌ও মুহূর্তে জনস্বার্থ ক্ষেত্রে বড়সড় বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা।

গত কয়েক বছরে ব্যাঙের ছাতার মত শহরতলির অলিতে-গলিতে গজিয়ে উঠেছে একাধিক পানীয় জলের কারখানা। একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সরকারি অনুমতি ছাড়াই মূলত পাম্পের সাহায্যে ভূগর্ভস্থ জল তুলে ২০ লিটারের বোতলে ভরে ক্রেতার বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে। মূল্য হিসেবে মাত্র ১০ থেকে ১২ টাক নেওয়া হচ্ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সর্বত্র পানীয় জল সহজলভ্য না হওয়ায় বাসিন্দাদের একাংশ‌ও এক প্রকার‌ বাধ্য হয়ে ওই বোতলবন্দি সস্তার পানীয় জল কিনে পান করছেন।

আর‌ও পড়ুন: শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় রেল লাইনের ধারে পড়ে রক্তাক্ত ব্যক্তি, দেখা নেই রেল পুলিশের!

সোনারপুর উত্তর বিধানসভার অন্তর্গত কামরাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের গঙ্গা জোয়ারা অঞ্চলে এমনই দৃশ্য নজরে এল আমাদের। এই এলাকায় আজও পর্যন্ত পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি পরিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা হয়ে উঠেনি। তাই জলের চাহিদা মেটাতে এলাকায় একাধিক এমন জলের কারখানা তৈরি হয়েছে। যদিও এদের কারোর কাছেই ভূগর্ভস্থ জল তোলার অনুমতি নেই। এই জল আদৌ পানের উপযুক্ত কিনা তারও কোন‌ও ছাড়পত্র নেই। তারপরেও এলাকার শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই এই জলই পান করছে। অথচ পরিসংখ্যান বলছে, এক লিটার শুদ্ধ পানীয় জল তৈরি করতে তিন থেকে চার লিটার জল নষ্ট হয়। আর এখানে এই নষ্ট জল পুনরায় ভূগর্ভে না পাঠিয়ে পার্শ্ববর্তী খালে ফেলে দেওয়া হচ্ছে! সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ ঘোরালো। এইভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে পানীয় জলের সঙ্কট আর‌ও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

সুমন সাহা