Murshidabad News: প্রসাদ খাওয়া হয় গ্রামের বাগানে, জানুন ২৭০ বছরের প্রাচীন কালীপুজো নিয়ে

কৌশিক অধিকারী, মুর্শিদাবাদ: রঘুনাথগঞ্জের নিস্তার গ্রামে কালীপুজো বহু প্রাচীন। ২৭০ বছরের প্রাচীন এই কালীপুজো। যা তারা মায়ের কূপ কালী রূপ নামেই পরিচিত। তবে এই পুজোর যে প্রসাদ দেওয়া হয় ভক্তদের, তা মন্দির চত্বরে ও বাগানে বসেই খেতে হয়। প্রসাদ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়না। জানা যায়, ২৭০ বছর আগে গ্রামের মন্দিরের পাশেই পুকুরের ভেতরে কুয়ো আছে। সেখান থেকেই মা কালী উঠেছিলেন। আর সেই কারণেই নাম কূপ কালী।

তার পর থেকে এই গ্রামে কালীপুজো হয় এবং পুকুরে নিরঞ্জন হয়। পুজো দেওয়ার পরে যে ভোগ নিবেদন করা হয় তা সবটাই এখানে রান্না করে প্রসাদ গ্রহণ করতে হয়। কোনও প্রসাদ বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয় না। ফাঁকা হাতে বাড়ি যেতে হয়।

আরও পড়ুন : বাসি ভাতেই কমবে ব্লাড সুগার! একদিন আগে রাঁধা ভাত খান এভাবে! ডায়াবেটিস আপনার বশে

পুজোর পরদিন বাগানে রান্না করে চলে খাওয়া দাওয়া। রান্না করতে ভিড় জমান বহু সাধারণ মানুষ। আর মন্দিরকে ঘিরে বসে বিরাট মেলা। রঘুনাথগঞ্জের নিস্তা গ্রামেও প্রতি বছর সেই মেলা দেখতে ভিড় জমান জেলার নানা প্রান্ত থেকে আসা মানুষজন। নিস্তা গ্রামের কূপকালী পুজোও রয়েছে প্রাচীন মত। কূপকালীর প্রতিষ্ঠা নিয়ে দুই রকম মত চালু রয়েছে। দর্শনার্থীরা জানান, বহু দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন এই ঐতিহ্যবাহী মন্দিরে।

পুজো চলে সারারাত। পরের দিন দুপুরে প্রসাদ বিতরণ করা হয়, প্রসাদ নিয়ে গ্রামের বাগানে খাওয়া চলে। এমনকী রান্না করেও খাওয়ার প্রচলিত রীতি আছে। দুপুরে অন্ন খেয়ে এবং প্রসাদ গ্রহণ করেই তবেই বাড়ি ফিরে যাওয়া হয়। এটাই পুজোর অন্যতম বিশেষ বৈশিষ্ট্য।