Parwal Cultivation: খামখেয়ালি আবহাওয়ায় পটল চাষে ক্ষতি

দক্ষিণ দিনাজপুর: প্রকৃতির খামখেয়ালিপনায় পটল চাষে বিপত্তি। এর জন্য যে অনুকূল আবহাওয়ার প্রয়োজন হয় চলতি বছর তা এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে চাষিদের। আবহাওয়া ভাল না হওয়ার ফলে পটল উৎপাদনের ক্ষেত্রে অনেকটাই সমস্যা হচ্ছে। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় জেলায় চাষের ক্ষেত্রে প্রতিকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষ থেকে শুরু করে অন্যান্য ফসলের ক্ষেত্রে এই আবহাওয়া উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বিষয়ে পটল চাষি রঞ্জিত মাহাত বলেন, প্রায় বিঘা খানেক জমিতে পটল চাষ করা হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি বছরে আবহাওয়ার অনুকূল না থাকার ফলে পটল চাষে অনেকটাই ক্ষতি হচ্ছে। উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়া পটল চাষের পক্ষে অনুকূল। মাটির উপর ছড়িয়ে যাওয়া লতার গোড়া থেকে শিকড় বেরিয়ে মাটির ভিতর চলে যায় এবং শিকড়গুলো ক্রমশ মোটা হতে থাকে। মাটির উপরের স্তরে জলের অভাব হলে এই শিকড় দিয়ে মাটির গভীর থেকে রস টেনে গাছ বেঁচে থাকে।

আর‌ও পড়ুন: মিনি টর্নেডোর পর আগুনের থাবা! বিপর্যয়ের পর বিপর্যয় কামসিং-এ

শীতের ঠান্ডায় মাটির উপরের লতা পাতা মরে যায়। কিন্তু মাটির নিচে মোটা শিকড় বেঁচে থাকে, যা থেকে বসন্তকালে আবার নতুন গাছ গজায়। পটল চাষে মাটি ও জমির অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কম বেশি যে কোনও মাটিতেই পটল চাষ করা যায়। তবে জলনিকাশী ব্যবস্থাযুক্ত দোঁয়াশ, বেলে-দোঁয়াশ মাটিই পটল চাষের পক্ষে আদর্শ। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ব্যাপকভাবে সবজি চাষ হয়। তার মধ্যে পটল চাষ বেশি হয়। কিন্তু এবার বিরূপ আবহাওয়ায় শেষ পর্যন্ত কী হবে তা কেউ বুঝতে পারছে না।

সুস্মিতা গোস্বামী