হাওড়া: রাস্তায় আহত এক দুধের শিশু ঘুরে বেড়াচ্ছে, অন্যজন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কেউ কারোর দিকে ফিরেও তাকাচ্ছে না। পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে অনেকেই। এই অমানবিক ঘটনা শিক্ষিত সমাজ তা চাক্ষুস করল সামান্য দূরত্ব বজায় রেখে। তবে এই ঘটনা চোখে পড়তে বুক কেঁপে উঠেছিল এক পথচলতি মানুষের। তবে ততক্ষনে পেরিয়ে গেছে বেশ কিছুটা সময়।
ঈশ্বর পেতে জীব সেবাই যে শ্রেষ্ঠ, তা হয়ত কম-বেশি সকলের জানা। কিন্তু কজন মানুষ আর সে কথা মানেন। উন্নত এই সমাজ দিন দিন হিংসা স্বার্থপরতায় যেন ঢেকে গিয়েছে। তা আবারও প্রমাণ করে দিল গঙ্গাধরপুর গ্রামের ঘটনা।
আরও পড়ুন: এইভাবে স্বনির্ভর হয়ে উঠছেন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা! জানলে আপনিও চমকে উঠবেন
গঙ্গাধরপুর গ্রামের লাইব্রেরি বাসস্টপ সংলগ্ন একটি ভাড়া বাড়িতে বাসা বেঁধেছিল ভাম। সেই বাড়িটি পরিষ্কার করার সময় বাসাটি ভেঙে যায়। ওই বিল্ডিং সংলগ্ন স্থানেই পাওয়া যায় আহত দুটি ছানা। ঘটনাটি নজরে আসে পথ চলতি মানস বাঁকের। খবর দেওয়া হয় হাওড়া জেলা যৌথ পরিবেশ মঞ্চের সদস্যদের। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভাম ছানা দুটি উদ্ধার করেন তাঁরা। কিন্তু দুঃখজনক ঘটনা হল, উদ্ধারের কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি ভাম ছানা মারা যায়। অন্য ছানাটির একটি পায়ে চোট রয়েছে। আহত প্রাণীটিকে উদ্ধার করে তুলে দেওয়া হয় বন দফতরে হাতে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত ভাম উদ্ধারের পর তার চিকিৎসা চলছে। তুলনামূলকভাবে অবস্থার উন্নতি হয়েছে। সম্পূর্ণ সুস্থ হলে তবেই তাকে পরিবেশে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
রাকেশ মাইতি