জলপাইগুড়ি: এই গ্রামের মানুষদের কাহিনী শুনলে অবাক হবেন। গ্রামটিকে দেখলে মনে হবে যেন একটা কলস বা কলসি। তাই এই গ্রামের নাম কলস গ্রাম। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিশিষ্ট এই গ্রামটি বিন্নাগুড়িতে অবস্থিত। এমন প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা কিন্তু অতি দুর্বিষহ। স্বাধীনতার পর থেকেই এই গ্রামের প্রায় ৫০ টি পরিবার নিজ ভূমে পরবাসী হয়ে জীবন যাপন করে আসছে।
কলসির মুখের মতই এই গ্রামটিতে প্রবেশের স্থান মাত্র ৫০ ফুট ছওড়া। সীমান্তবর্তী এই সিট সাকাতি বা কলস গ্রামে ঢোকার মুখেই রয়েছে কুরুম নদী। এই নদীর উপরের কাঠের সেতু আজ ভগ্ন অবস্থায়। ফলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে প্রচণ্ড সমস্যায় পড়ছেন কলস গ্রামের দেড়শো জন বাসিন্দা। এই গ্রামের তিন পাশই বাংলাদেশ দিয়ে ঘেরা। এমন একটি প্রান্তিক গ্রামের বাসিন্দা হওয়ার দুঃখ-দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে বেরুবাড়ি অঞ্চলের প্রবীণ নাগরীক সারদা প্রসাদ দাস জানান, এই গ্রামটি ভারতীয় ভূখণ্ড। তবে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও এই পরিবারগুলোর সমস্যার সমাধান হয়নি।
আরও পড়ুন: ভোট দিতে যাওয়ার সময় বিপদ হবে না তো! জঙ্গল পথ নিয়ে আতঙ্কে বন বস্তিবাসীরা
সীমান্তবর্তী এই গ্রামের বাসিন্দারা বিন্নাগুড়ি বুথে গিয়ে বছরের পর বছর ভোট দিচ্ছেন। এবারের লোকসভা নির্বাচনেও ভোট দেবেন তাঁরা। কিন্তু নিজভূমে যাতায়াতের ক্ষেত্রে তাঁদের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অনুমতি লাগে। যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন তা হলে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে জানালে তবেই গেট খোলা হয়।
সুরজিৎ দে