মাঠে গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে করমর্দন অলকেশ দাসের

CPIM: এমন প্রচার আগে দেখেননি! সিপিএম প্রার্থী অলকেশ দাস যা বলছেন…! অবাক হয়ে যাবেন

নদিয়া: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের ঘণ্টা ইতিমধ্যেই বেজে গিয়েছে। রাজ্য তথা জেলা জুড়ে ভোট প্রচারে সরগরম শহর থেকে গ্রাম। প্রচারে বিজেপি থেকে তূণমূল জোরকদমে মাঠে নেমে পড়েছে। পিছিয়ে নেই বামফ্রন্টও। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষকে পুনরায় লালের আশ্বাস ও ভরসা জোগাতে মাঠে নেমে পড়লেন আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের বামফ্রন্ট প্রার্থী অলকেশ দাস।

এ দিন শান্তিপুরের বাগআচড়া পঞ্চায়েত, হরিপুর পঞ্চায়েত, গয়েশপুর পঞ্চায়েতের বিভিন্ন মাঠে তিনি তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে চলে যান খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষদের সঙ্গে দেখা করতে। তাদেরকে পুনরায় ঘরে ফিরিয়ে আনতে, এমনটাই জানাচ্ছেন তারা।

আরও পড়ুনঃ একটি সংখ্যাই বদলে দেবে আপনার ভাগ্য! সবুজ কালির পেন দিয়ে করুন ছোট্ট এই কাজ, জানেন এঞ্জেল নম্বর কী?

অলকেশ দাস জানান, একসময় বাংলায় দল বলতে কেবল ছিল কংগ্রেস এবং সিপিএম। সিপিএমের একনিষ্ঠ সমর্থকেরা কোনও না কোনও আশ্বাস এবং বিশ্বাস করে তাদের ভোট সমস্ত তুলে দিয়েছিল কখনও তৃণমূলের হাতে কখনও বা বিজেপির হাতে। গত পাঁচ বছর আগে বাম সমর্থকদের এই ভোটেই বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন জগন্নাথ সরকার। তার কারণ তাদেরকে বোঝানো হয়েছিল বাম আর কোনদিনও ফিরতে পারবে না সুতরাং নিজেদের ভোটগুলি নষ্ট না করে সম্ভাব্য জয়ী প্রার্থীকে তুলে দেওয়ার জন্য। তারাও বিশ্বাস করে তাদের মূল্যবান ভোট দিয়েছিল অন্য দলে।

তবে তাঁর পরিবর্তে ফলস্বরূপ কোনও কিছুই তারা পাননি। আর সেই কারণেই এ বার ঘরে ফেরানোর পালা তাদের। রাস্তায় শয়ে শয়ে মানুষের সঙ্গে করমর্দন ও জনসংযোগ না করে প্রখর রোদে খেটে খাওয়া গুটিকতক মেহনতী মানুষদের সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি। মাঠের মাঝেই কাস্তে কিংবা হাতুড়ি ধরা মানুষজনকে পেয়ে যান বেশ কিছু কৃষক শ্রমিকদের যারা এখনও আশা করে আছেন ‘বামেরা ফিরবে’। শুধু তাই নয় সেই সময়কার পঞ্চায়েত সদস্য অথবা সমিতির মেম্বার তখনো নিজের জমি চাষ করতেন এখনো চাষ করেই খাচ্ছেন। অথচ অন্যান্য দলের বর্তমান মেম্বারদের আঙুল ফুলে কলা গাছ। তাই এনাদের মত মানুষের আশীর্বাদ পাওয়া মানে বামপন্থী শিক্ষা পাওয়া যা মানুষকে গড়ে দেয় এমনটাই উপলব্ধি বাম প্রার্থী অলকেশ দাসের।

আরও পড়ুনঃ গরমে রোজ একগ্লাস ছাতুর শরবত, ভ্যানিশ শরীরের জটিল-কঠিন রোগ! শুধু জানুন বানানোর বিশেষ নিয়ম

অন্যদিকে, কেউ প্রতিক্ষায় থাকা কেউ বা আবার অন্য দলকে সমর্থন করলেও প্রাক্তন সাংসদ হিসেবে অলকেশ দাসকে দেখেই হাতের কাজ ফেলে এগিয়ে আসেন সহজ সরল মনে বলে ফেলেন আবেগের কথা। খেলার মাঠের গ্যালারি কিংবা তার তৈরি মহাশ্মশান অথবা আর্সেনিক মুক্ত কল দেওয়ার স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন উনি খুব ভাল মনের মানুষ, দলের অনুগত সৈনিক জয়ী হলে আর যাই হোক দলবদল করবেন না। বামপন্থীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে জাতীয় কংগ্রেসের প্রার্থী জয় লাভের পর তৃণমূল পরবর্তীতে বিজেপি যাওয়ার দগদগে ঘা এখনও তাদের শুকায়নি। মাঠে কৃষিকাজ কাজ করার ফাঁকে নিজেদের মধ্যে প্রার্থীকে নিয়ে এই আলোচনা শুনে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন প্রাক্তন সংসদ বামফ্রন্ট প্রার্থী অলকেশ দাস।

তিনি জানান, এই সমস্ত সাধারণ মানুষদেরই ফিরিয়ে আনার পালা এবার। তারা এখনও আশা করে বসে আছেন বামেরা ফিরবে। আমাদের বিশ্বাস এই সমস্ত সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষদের একত্রে করতে পারলে তাদের ভোটগুলি দুই ফুলের একটিতেও না দিয়ে তারা তাদের আশা ও ভরসা এখনো প্রিয় কাস্তে হাতুড়ি তারা প্রতীক চিহ্ন। জয় আমাদের নিশ্চিত।

Mainak Debnath