বারাসত: মঙ্গলবার বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারের সমর্থনে অশোকনগরে জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এলাকার উন্নয়নের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “হাবরা আর অশোকনগর আমার কাছে অত্যন্ত পরিচিত জায়গা। এখানে শিল্প পার্ক আছে। এখানে গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। এছাড়া বৃহত্তম পাওয়ার লুমের কাজ চলছে। হাসপাতাল থেকে শুরু করে একাধিক পরিকাঠামো উন্নয়ন কাজ হয়েছে। বড়মাকে আমি সম্মান করতাম। ঠাকুরনগর ঢেলে সাজানো হয়েছে। গাইঘাটায় সরকারি কলেজ হয়েছে। মধ্যমগ্রামে ৫ একর জায়গা অনুকূল ঠাকুর আশ্রমের জন্য দেওয়া হয়েছে। চাকলা ও কচুয়া সাজিয়ে দিয়েছি। আর এই জেলায় স্কাই ওয়াক অবধি আমরা করে দিয়েছি”।
বিজেপির দেওয়া বিজ্ঞাপন নিয়ে তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ দিন তৃণমূলনেত্রীর ভাষণে উঠে এল সেই প্রসঙ্গ, তিনি বলেন, “কাগজে বিজ্ঞাপন নিয়ে আদালত কি বলেছে দেখেছেন। আমি দেখে নিয়েছি। আমি এই ইস্যু ছাড়ব না। আমি মানহানির মামলা করব। এত সহজে ছাড়ব না”।
পাশাপাশি বর্তমান সরকারের আমলে সংরক্ষিত হয়েছে বিবেকানন্দ এবং নিবেদিতার বাড়ি। সেই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “স্বামী বিবেকানন্দ বাড়ি এক দিনে আমরা কিনিয়ে নিয়েছিলাম। বাগবাজারে সিস্টার নিবেদিতার বাড়ি পুরসভার টাকায় কিনিয়ে নিয়েছি। দার্জিলিংয়ে নিবেদিতার বাড়ি আমরা বিমল গুরুং সাথে কথা বলে করে দিয়েছিলাম। রামকৃষ্ণ মিশনের কাছে সেই বাড়ি দেওয়া হয়েছে”।
বাম এবং বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করে বলেন “বালু নেই বলে শুনছি হাবড়াতে বামেরা কিছু মিটিং মিছিল করছে। আইন আইনের পথে চলবে। কিন্তু ওরা তো কেজরীওয়ালকেও জেলে ঢুকিয়েছিল। যারা বাম করত তারাই বিজেপি করত। যারা বিজেপি করে তারাই বাম। আমি ইন্ডিয়া জোটে আছি। আমি ক্ষমতায় আনব। কিন্তু বাংলায় এদের সাথে আমার সম্পর্ক নেই।”
অসমে সিএএ প্রসঙ্গ নিয়েও মঙ্গলবারের সভায় বিজেপিকে আক্রমণ করেন মমতা। তিনি বলেন, “সিএএ নিয়ে আবার আসামে আন্দোলন শুরু হয়েছে। বাঙালিরা ভয়ে ভয়ে আছে। বাংলায় এনআরসি, সিএএ, ইউসিসি হবে না। পরিষ্কার বলে দিচ্ছি”।
নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “ঘরে ঘরে গ্যাস নাকি মোদিবাবুর গ্যারান্টি। এটা গ্যারান্টি না কি 420? বলছে বিনা পয়সায় বিদ্যুৎ দিচ্ছি। বিদ্যুৎ তো দেয় না, এটাও 420, প্রত্যেকটা 420 চলছে।
এ দিনের মঞ্চ থেকে ইন্ডিয়া জোটের জয়ের বিষয়ে আশাবাদী মমতা বলেন, “যতদিন যাচ্ছে রেজাল্ট পরিষ্কার হচ্ছে, বিজেপি হারছে। না হলে কেউ বলে জগন্নাথ দেব নাকি ওনার ভক্ত। আপনি যখন প্রভু জগন্নাথের থেকেও বড় তখন মন্দিরে থাকুন। আমরা পুজো, চন্দন দেব”।
তৃণমূল সুপ্রিমোর ভাষণে এ দিন উঠে আসে সন্দেশখালি প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, “সন্দেশখালিতে আবার প্ল্যান করছে। বাবুরা আবার যাচ্ছেন। দাঙ্গা লাগানোর প্ল্যান করছে। যে দাঙ্গা লাগাবে তাকে ছাড়ব না”।
অশোকনগরেদর সভা থেকে সিপিএমকেও আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সিপিএমের দুই তিনটি অপদার্থ নিয়ে যাচ্ছে। আর মামলা করে চাকরি আটকে দিচ্ছে। আর টাকা নিয়ে সব কেস করছে, আর চাকরি আটকাচ্ছে”।