লখনউ: কেএল রাহুল ও কুইন্টন ডিককের ব্যাটিং ঝড়ের সামনে বিফলে গেল রবীন্দ্র জাদেজা এবং এমএস ধোনিদের লড়াই। ঘরের মাঠে কার্যত একতরফা ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়ে সহজ জয় পেল লখনউ সুপার জায়ান্টস। ৮ উইকেটে ম্যাচ জেতে কেএল রাহুলের দল। সিএসকের দেওয়া ১৭৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৬ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় এলএসজি।
ম্যাচে টস দিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় এলএসজি। ওপেনিংয়ে অজিঙ্কে রাহানে ৩৬ রানের লড়াকু ইনিংস খেললেও, অপরদিক থেকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে সিএসকে। রাচিন রবীন্দ্র, ঋতুরাজ গায়কোয়াড়, শিবম দুবে, সমীর রিজভিরা কেউই রান পাননি। মিডল অর্ডারে রবীন্দ্র জাদেজা লড়াকু ইনিংস খেলেন। তাঁকে কিছুটা সঙ্গ দেন মঈন আলি। দুজন মিলে ৫১ রানের পার্টনারশিপ করেন।
মঈন আলি ৩০ রান করে আউট হলে নিজের ইনিংস চালিয়ে যান রবীন্দ্র জাদেজ। অর্ধশতরানও করেন জাড্ডু। শেষের দিকে ফের একবার ধোনি ঝড় দেখল একানা স্টেডিয়াম। ৯ বলে ২৯ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলেন মাহি। ৩টি চার ও ২টি ছয় মারেন ধোনি। জাদেজা অপরাজিত থাকেন ৪০ বলে ৫৭ রান করে। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান করে সিএসকে।
রান তাড়া করতে এদিন দুরন্ত ব্যাটিং করেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের দুই তারকা ওপেনার কেএল রাহুল ও কুইন্টন ডিকক। ঘরের মাঠে সিএসকে বোলারদের নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করেন রাহুল-ডিকক জুটি। একের পর এক চোখ ধাঁধানো শট উপহার দেন দুই তারকা ব্যাটার। ঝড়ের গতিতে শতরানের পার্টনারশিপ করেন দুজনে। নিজেদের ব্যক্তিগত অর্ধশতকানও করেন ডিকক ও রাহুল।
১৫তম ওভারে ১৩৪ রানে প্রথম উইকেট পড়ে লখনউয়ের। ৪৩ বলে ৫৪ রান করে আউট হন কুইন্টন ডিকক। এরপর ক্রিজে আসেন নিকোলাস পুরান। দুজন মিলে এগিয়ে নিয়ে যান দলের স্কোরবোর্ড। দলের জয়ের দোরগোড়ায় এসে ৫৩ বলে ৮২ রান করে আউট হন কেএল রাহুল। এরপর নিকোলাস পুরান ও মার্কাস স্টয়নিস মিলে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে দেয়। ২৩ রান করে পুরান ও ৮ রান করে অপরাজিত থাকেন স্টয়নিস।