Helipad Destroyed Youth Hope: ভিআইপিদের হেলিপ্যাড গড়ে তরুণদের চাকরির স্বপ্নে ‘ফুলস্টপ’

জলপাইগুড়ি: উঁচু শাল গাছের কোঠর থেকে আর উঁকি দেয় না ছটফটে চোখ। চোখে পড়ে না লাল ঠোঁট, উড়ন্ত সবুজের সমাহার। ডুয়ার্সের টিয়া বনে একসময় এভাবেই চোখে পড়ত টিয়া পাখির ঝাঁক। লাল ঠোঁট বিশিষ্ট সবুজ টিয়ায় ছেয়ে যাওয়া টিয়া বনের সৌন্দর্য থেকে তখন চোখ ফেরানো দায় হত। কিন্তু সেসব আজ অতীত। সেই টিয়া বনের ময়দান আজ ভিভিআইপি-দের কপ্টারের হ্যালিপ্যাডে পরিণত হয়েছে।

এই টিয়া বনে এখন খুব একটা দেখা মেলে না টিয়া পাখির। একদিকে উঁচু শাল গাছের কঠোরে উঁকি দিত লাল ঠোঁটের টিয়া পাখি, আর নিচে মাঠের এপার ওপার দৌড়ে নিজেকে শারীরিকভাবে সেনা বাহিনীর চাকরির জন্য তৈরি করার যুদ্ধে লেগে থাকত মাঠ সংলগ্ন জয় আশ্রম ১৯ নম্বর লাইন এলাকার মনীন্দ্র রায়, প্রকাশ ওঁরাও-দের মত যুবকেরা। তবে হঠাৎ যেন সব বদলে যায়। এই অঞ্চলের এক সময়ের ছোটখাটো জমিদার পরিবারের বর্তমান প্রজন্ম কল্যাণ রায়ের কাছ থেকে জানা গেল, হঠাৎ-ই একদিন সব শাল গাছ কেটে ফেলা হল। খেলার মাঠ, লোহার নেট দিয়ে ঘিরে ফেলে তৈরি হল হেলিকপ্টার ওঠা নামার জন্য হেলিপ্যাড। ২০১৯ সালের ঘটনা। এতেই আশ্রয় হারাল টিয়া পাখির দল। এলাকা থেকে উঠে গেল খেলার মাঠ।

আর‌ও পড়ুন: শিংওয়ালা হাতি! কাজিরাঙা’কে ভালবেসে ইউরোপীয় পর্যটকের শরীরজুড়ে ইউনিকর্নের ট্যাটু

কাতর কন্ঠে কল্যাণ বাবু আরও জানান, সেই থেকে এই ২০২৪ পর্যন্ত বহু জায়গায় অনুরোধ করেও অন্যত্র একটি খেলার মাঠ তৈরি হয়নি। কেউ কথা রাখেনি। আগে স্থানীয় বহু ছেলেই এই মাঠে নিজেকে তৈরি করে বর্তমানে দেশের সেনা বাহিনীতে কাজ করছে। তবে আজ আর এই গ্রাম থেকে কেউ খেলায় বা প্রতিরক্ষা দফতরে কাজ পায় না। যে ময়দানে দৌড়ঝাঁপ করে এক সময় সেনাবাহিনী থেকে পুলিশের কর্মী হয়েছে স্থানীয় রাজবংশী এবং আদিবাসী যুবকেরা, আজ সেই মাঠ ভিআইপিদের হেলিপ্যাড হয়ে যেন সব স্বপ্নে দাড়ি টেনে দিয়েছে!

সুরজিৎ দে