Tag Archives: Youth

Youth Death: চাষের জমির সামান্য উপর দিয়ে হাইভোল্টেজ লাইন! মর্মান্তিক পরিণতি যুবকের

ঝাড়গ্রাম: সামান্য বেখেয়ালে বিদ্যুতের হাইভোল্টেজ লাইনের সংস্পর্শে এসে মর্মান্তিক পরিণতি হল এক ব্যক্তির। সাঁকরাইল থানার ঘোড়াপাড়া এলাকায় অরুণ মান্ডি (৪০) নামে ঐ ব্যক্তির মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পাশাপাশি এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে একটি মোষেরও। একটি কৃষি জমির উপর এই দুর্ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে এলাকার একটি চাষের জমির উপর দিয়ে যাচ্ছিলেন অরুণ মান্ডি। ওখানে খুব নীচ দিয়ে গিয়েছে বিদ্যুতের হাইভোল্টেজ লাইন। তারই সংস্পর্শে চলে আসেন তিনি। আর তাতেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি কিছুক্ষণ পরে স্থানীয়দের নজরে আসে। তাঁরা দেখেন কিছুটা দূরে একটি মোষ একইরকমভাবে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। এই ঘটনায় বিদ্যুৎ দফতরের দিকে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসী।

আরও পড়ুন: চাল-চোরকে ধরিয়ে দিল CCTV ফুটেজ!

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত অরুণ মন্ডির বাড়ি ঝাড়গ্রামের লাউদহ গ্রামে। সূত্রের খবর, তিনি সকালে একটি মোষকে মাঠের দিকে চড়াতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই খুব নীচ দিয়ে যাওয়া হাইভোল্টেজ লাইনের সংস্পর্শে চলে আসেন। আর সঙ্গে সঙ্গেই ঘটে দুর্ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সাঁকরাইল থানার পুলিশ।

রঞ্জন চন্দ

Helipad Destroyed Youth Hope: ভিআইপিদের হেলিপ্যাড গড়ে তরুণদের চাকরির স্বপ্নে ‘ফুলস্টপ’

জলপাইগুড়ি: উঁচু শাল গাছের কোঠর থেকে আর উঁকি দেয় না ছটফটে চোখ। চোখে পড়ে না লাল ঠোঁট, উড়ন্ত সবুজের সমাহার। ডুয়ার্সের টিয়া বনে একসময় এভাবেই চোখে পড়ত টিয়া পাখির ঝাঁক। লাল ঠোঁট বিশিষ্ট সবুজ টিয়ায় ছেয়ে যাওয়া টিয়া বনের সৌন্দর্য থেকে তখন চোখ ফেরানো দায় হত। কিন্তু সেসব আজ অতীত। সেই টিয়া বনের ময়দান আজ ভিভিআইপি-দের কপ্টারের হ্যালিপ্যাডে পরিণত হয়েছে।

এই টিয়া বনে এখন খুব একটা দেখা মেলে না টিয়া পাখির। একদিকে উঁচু শাল গাছের কঠোরে উঁকি দিত লাল ঠোঁটের টিয়া পাখি, আর নিচে মাঠের এপার ওপার দৌড়ে নিজেকে শারীরিকভাবে সেনা বাহিনীর চাকরির জন্য তৈরি করার যুদ্ধে লেগে থাকত মাঠ সংলগ্ন জয় আশ্রম ১৯ নম্বর লাইন এলাকার মনীন্দ্র রায়, প্রকাশ ওঁরাও-দের মত যুবকেরা। তবে হঠাৎ যেন সব বদলে যায়। এই অঞ্চলের এক সময়ের ছোটখাটো জমিদার পরিবারের বর্তমান প্রজন্ম কল্যাণ রায়ের কাছ থেকে জানা গেল, হঠাৎ-ই একদিন সব শাল গাছ কেটে ফেলা হল। খেলার মাঠ, লোহার নেট দিয়ে ঘিরে ফেলে তৈরি হল হেলিকপ্টার ওঠা নামার জন্য হেলিপ্যাড। ২০১৯ সালের ঘটনা। এতেই আশ্রয় হারাল টিয়া পাখির দল। এলাকা থেকে উঠে গেল খেলার মাঠ।

আর‌ও পড়ুন: শিংওয়ালা হাতি! কাজিরাঙা’কে ভালবেসে ইউরোপীয় পর্যটকের শরীরজুড়ে ইউনিকর্নের ট্যাটু

কাতর কন্ঠে কল্যাণ বাবু আরও জানান, সেই থেকে এই ২০২৪ পর্যন্ত বহু জায়গায় অনুরোধ করেও অন্যত্র একটি খেলার মাঠ তৈরি হয়নি। কেউ কথা রাখেনি। আগে স্থানীয় বহু ছেলেই এই মাঠে নিজেকে তৈরি করে বর্তমানে দেশের সেনা বাহিনীতে কাজ করছে। তবে আজ আর এই গ্রাম থেকে কেউ খেলায় বা প্রতিরক্ষা দফতরে কাজ পায় না। যে ময়দানে দৌড়ঝাঁপ করে এক সময় সেনাবাহিনী থেকে পুলিশের কর্মী হয়েছে স্থানীয় রাজবংশী এবং আদিবাসী যুবকেরা, আজ সেই মাঠ ভিআইপিদের হেলিপ্যাড হয়ে যেন সব স্বপ্নে দাড়ি টেনে দিয়েছে!

সুরজিৎ দে

Missing Youth: সাঁকো পার হতে গিয়ে নদীতে পড়ে গেল যুবক-যুবতী! একজন উদ্ধার হলেও ভেসে গেল অন্যজন

দক্ষিণ দিনাজপুর: বাঁশের অস্থায়ী সাঁকো পার হওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদীতে পড়ে তলিয়ে গেল যুবক। শুক্রবার রাতে বালুরঘাট ব্লকের ডাঙা গ্রামপঞ্চায়েতের রঘুনাথপুর এলাকার ঘটনা। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন এক যুবতী। গোটা ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

বালুরঘাটে এই বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে কালিকাপুর যাওয়া যায়। সাঁকোটি পার হওয়ার সময় আত্রেয়ী নদীতে পড়ে যায় ওই যুবক ও যুবতী। নদীতে পড়ে চিৎকার করতে থাকেন তাঁরা। তা শুনে এলাকার লোকজন ছুটে এসে দড়ি ফেলে কোনওভাবে মেয়েটিকে পাড়ে তুলতে আনেন। কিন্তু যুবকটিকে রক্ষা করা যায়নি। ততক্ষণ সে জলের স্রোতে ভেসে গিয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ডিএসপি (সদর) বিক্রম প্রসাদ, বালুরঘাট থানার আইসি সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী।

আর‌ও পড়ুন: শিল্পের দুরন্ত বাণিজ্যিকরণ, হাতে আঁকা জামা নতুন ট্রেন্ড নববর্ষে

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিখোঁজ যুবকের নাম তন্ময় ঘোষ (২৫)। বাড়ি বালুরঘাট থানার রঘুনাথপুর ট্যাঙ্ক মোড় এলাকায়। কোনরকমে প্রাণে বেঁচে যাওয়া যুবতীর বাড়ি শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে। ঘটনার পরই আত্রেয়ী নদীতে নৌকা নামানো হয়। তবে অন্ধকারে উদ্ধারকাজ চালানোয় সমস্যা হয়। ঘটনার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে লা প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্বনাথ ঘোষ বলেন, আমাদের বাঁচাও চিৎকার শুনতে পেয়ে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি ছেলেটা আর মেয়েটা হাবুডুবু খাচ্ছে। এরপর একটা ছেলে দড়ি এনে তুলল মেয়েটাকে। তবে ছেলেটাকে তুলতে পারেনি। মেয়েটা শুধুও চিৎকার করে ডাকছে, বলছে বাবাইকে বাঁচাও। ঘটনাস্থলে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা এসে ওই যুবকের সন্ধান শুরু করেছে।

সুস্মিতা গোস্বামী

Malda News: ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে যুবককে গণপিটুনি, তারপর যা হল…! শুনলে শিউরে উঠবেন

মালদহ: ছেলেধরা সন্দেহে বহিরাগত যুবককে গণপিটুনি। ঘটনায় উত্তপ্ত মালদহের মানিকচক। উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি উত্তেজিত জনতার। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ পুলিশের। ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে আটজনকে। মালদহের মানিকচকের মথুরাপুরের ঘটনা।

এক যুবককে গণপিটুনির অভিযোগ উঠল মালদহের মানিকচকের মথুরাপুর গোয়ালপাড়া এলাকায়। জানাগিয়েছে, ছেলেধরা সন্দেহে এক যুবককে ধরে গোয়ালপাড়া এলাকার মানুষজন। এরপর উত্তেজিত জনতা বেধড়ক মারধর করে। প্রথমে স্থানীয় কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ার ও পুলিশ উদ্ধার করতে গেলে জনতার সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাঁধে। পরে মানিকচক থানার আইসি পার্থসারথি হালদারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় পৌঁছয়। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি উচিয়ে তাড়া করে পুলিশ। বেশ কয়েকজনকে লাঠিপেটা করা হয়। ঘটনাস্থলে আটক করা হয় গণপিটুনিতে অভিযুক্ত কয়েকজনকে।

আরও পড়ুন-       মহাশিবরাত্রিতে বিরল কাকতালীয় যোগ! সর্বার্থ সিদ্ধি যোগে প্রসন্ন করুন শিবকে, রাতারাতি ‘ধনী’ হওয়া কেউ আটকাতে পারবে না…!

আরও পড়ুন-      মাত্র ১৯-এ অকালে সব শেষ, লাস্ট পোস্টে কী লিখেছিলেন আমিরের অনস্ক্রিন কন্যা, ভাইরাল হতেই চোখে জল ভক্তদের

পুলিশ সূত্রে জানাগিয়েছে, আহত যুবকের নাম কৃষ্ণ মন্ডল। বাড়ি মালদা থানার মুচিয়া এলাকায়। এলাকায় আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার পথে সন্দেহজনকভাবে ধরে ফেলে মারধর করা হয় তাঁকে। মারধরে গুরুতর জখম হন ওই ব্যক্তি। শেষপর্যন্ত আহতকে উদ্ধার করে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। দিনকয়েক আগে মালদহ শহরের উত্তর বালুরচর এলাকার এক নাবালিকা স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে খুনের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর থেকেই আতঙ্ক ছড়ায় বিভিন্ন এলাকায়। এরপর থেকেই মাঝেমধ্যেই ছেলেধরা গুজব এবং অচেনা অজানা বহিরাগতদের সন্দেহের বশে মারধর ও গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে মালদা শহর এবং জেলার বিভিন্ন এলাকায়।

পুলিশের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই এনিয়ে সচেতনতার প্রচার শুরু করা হয়েছে।তবে মথুরাপুরে গণপিটুনির এই ঘটনার জেরে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চিহ্নিত আটজনকে গ্রেফতার করে আজ তোলা হয় মালদা জেলা আদালতে। ধৃতদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বাকিদেরও চিহ্নিত করে আইনানুগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে তদন্তে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

Ram Mandir: মালদহ থেকে অযোধ্যা! সাইকেল চেপেই যাত্রা দুই যুবকের, সাক্ষী হতে চান রামমন্দির উদ্বোধনের

মালদহ: মালদহ থেকে সুদূর অযোধ্যা যাত্রা। রাম মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানের যোগ দিতে সাইকেলে চেপেই মালদহ থেকে অযোধ্যায় রওনা দিলেন মালদহের দুই যুবক। রবি বিশ্বকর্মা(৩০) এবং অভিজিৎ বাসফোর(২২) মালদহের এই দুই যুবক আজ স্থানীয় মনস্কামনা কালীমন্দিরে পুজো দিয়ে রওনা হলেন অযোধ্যার উদ্দেশ্যে। প্রায় সাড়ে আটশো কিলোমিটার পথ পেরিয়ে আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে অযোধ্যায় পৌঁছনোর লক্ষ্য নিয়েছে দুই যুবক।

অযোধ্যা রাম মন্দির উদ্বোধন লাইভ কভারেজAyodhya Ram Mandir Inauguration LIVE 

প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত সাইকেল চালানোর লক্ষ্য এই দুই যুবকের। যাত্রা শুরুর সময় তাঁদের শুভেচ্ছা জানাতে হাজির হন প্রচুর রামভক্ত ও শুভানুধ্যায়ী।মালদহের এই দুই সাইকেল অভিযাত্রীর দু’জনেই বয়সে তরুণ। জানা গিয়েছে, প্রথমে মালদহ থেকে উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা। এরপর বিহারের পূর্ণিয়া, ফারবিশগঞ্জ, দাঁড়ভাঙ্গা, উত্তরপ্রদেশের গোরখপুর হয়ে তাঁরা দু’জনে পৌঁছবেন অযোধ্যায়।

আরও পড়ুন-  গুরুতর চোট, যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন অঙ্কুশ! বিছানায় শুয়েই বর্ষবরণ উদযাপন অভিনেতার, হলটা কী?

আরও পড়ুন- ‘ট্রিপে যা হয়েছিল…’, কীভাবে দীপঙ্করের কাছাকাছি এলেন দোলন, ফাঁস হতেই তোলপাড়!

রামের ছবি আঁকা সনাতন ধর্মীয় পতাকার পাশাপাশি সাইকেল যাত্রায় সামিল করা হয়েছে ভারতের জাতীয় পতাকাকে। দুই যুবকের কথায়, আগে দেশ, সংবিধান পড়ে ধর্ম। তবে, অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণ। আর তাই এই প্রাণ প্রতিষ্ঠা পর্বের সাক্ষী হতেই সাইকেলে যাত্রার পরিকল্পনা বলে জানিয়েছেন দুই যুবক।পেশায় এই দুই যুবক ব্যবসায়ী। অভিজিৎ মালদহ শহরের সুকান্তপল্লীর বাসিন্দা। রবির বাড়ি মালদা শহরের মহানন্দাপল্লী এলাকা।

আজ সকালে দু’জনেই নিজেদের সাইকেল নিয়ে হাজির মালদহের প্রসিদ্ধ মনস্কামনা মন্দিরে। সেখানে পুরোহিতের উপস্থিতিতে সাইকেলের পুজো করা হয়। দু’জনের গলায় মালা পড়িয়ে, ফুল ছিটিয়ে, নারকেল ফাটিয়ে শুভকামনা জানান উপস্থিত শুভাকাঙ্ক্ষীরা। এরপর শুভক্ষণ দেখে দু’জনে রওনা হয়ে যান অযোধ্যার উদ্দেশ্যে। প্রতিদিন গড়ে চার- পাঁচ ঘন্টা করে সাইকেল চালাবেন ওঁরা। দিনে সাইকেল যাত্রা, আর রাতে বিশ্রাম। এভাবেই এগিয়ে চলবেন কাঙ্খিত লক্ষ্যের পথে। দুই  যুবক জানিয়েছেন, যাত্রা পথে নেশামুক্ত সমাজ গড়ার বার্তা প্রচারের ওপরেও জোর দেবেন তাঁরা।