জলপাইগুড়ি: তিন কুড়ি সবুজ পাতার ফাঁক দিয়েই উঁকি মানব সেবার স্বপ্ন! শত অনটনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে উচ্চমাধ্যমিকে নজর কাড়া সাফল্য চা বাগানের শ্রমিক পরিবারের মেয়ের। এখন সে নার্স হতে চায়। মানব সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করে সংসারের হাল ধরাই লক্ষ্য। গতকালই প্রকাশিত হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল।
মাধ্যমিকের পর উচ্চ মাধ্যমিকেও হতাশাজনক ফল হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার। মেধাতালিকার কোনও স্থানেই নেই এই জেলার পড়ুয়ারা। এরই মধ্যে জলপাইগুড়ি কুমুদিনী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়া শম্পা রায় এবছর উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০০ -এ ৪৬০ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।
শম্পার বাড়ি জলপাইগুড়ির দেবনগর এলাকায়। বাবা একটি অস্থায়ী বিদ্যালয় দিনমজুরের কাজ করেন, মা চা বাগানের শ্রমিক। সংসারের টানাটানির মধ্যেও তিন মেয়ের পরিবার । অতি কষ্টের মধ্যে তার মা সংসার চালিয়ে শম্পাকে পড়াশোনা করতে সাহায্য করেছেন। পরিবার বরাবরই পড়াশোনার বিষয়ে যত্নশীল বলেই জানান শম্পা।
গতকাল উচ্চমাধ্যমিকে রেজাল্টে জলপাইগুড়িবাসী হতাশ হলেও জলপাইগুড়ির দিনমজুরের মেয়ের দারুণ সাফল্যে বেজায় খুশি সকলেই। বাবা, মা’য়ের অক্লান্ত পরিশ্রমের মান রেখেছে শম্পা । শম্পার এই সাফল্যে এখন উৎসবের আমেজ পরিবার সহ গোটা এলাকায়। এবার তার ইচ্ছে নার্সিং নিয়ে পড়াশোনা করার বড় হয়ে নার্স হয়ে মানুষের সেবা করার। পাশাপাশি, চা বাগানের দরিদ্র মানুষ গুলোর পাশে দাঁড়াতে চায় সে। তবে চা বাগানের শ্রমিক পরিবারের এই মেয়ের স্বপ্ন পূরণ করতে বাধা অর্থ।
সুরজিৎ দে