Tag Archives: higher secondary examination 2024

Higher Secondary Examination Result: Success Story: বয়সে কিশোরী, উচ্চতায় ছোট্ট শিশু, মায়ের কোলে চেপে পরীক্ষাকেন্দ্রে! উচ্চ মাধ্যমিকে সফল দিশানী হতে চান শিক্ষিকা

জুলফিকার মোল্যা, বসিরহাট: জন্মের পর থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধকতা অন্তরায় জীবনে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিলেও এখনও আর তার উচ্চতা একটি ছোট্ট শিশুর মতোই। ঘাড়ের নীচ থেকে কার্যত অসাড়। নিজে স্নান করতে পারে না, চলাফেরা খাবার খাওয়ার জন্য মায়ের সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। হাঁটাচলা তো দূর অস্ত, সরু ও রুগ্ন হাত দিয়েও তেমন কিছু করতে পারে না। শুধুমাত্র কোনওরকমে কলম চালাতে শিখেছে।

আর সেই কলমের জোরে উচ্চ মাধ্যমিকে সফল উত্তর ২৪ পরগণার বসিরহাটের চাঁপাপুকুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী দিশানী সাহা। এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় দিশানী প্রায় ৫৯ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে কাটিয়ে সে মায়ের কাছে রপ্ত করেছে কবিতা আবৃতি। কবিতা আবৃতিতে দিশানীর ঝুলিতে আছে একাধিক পুরষ্কার।

আরও পড়ুন : বাবা লটারিবিক্রেতা, মা বন্ধ চাবাগানের শ্রমিক, অভাবের সংসারে মেয়ে মাধ্যমিকে বাজিমাত করে মনোবিদ হতে চান

যেন অসম্ভবকে সম্ভব করা। শরীর সায় দেয় না, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ১০০ শতাংশ । তবে অদম্য জেদ ও ইচ্ছে শক্তির কাছে হার মানেনি সে। বাবা অনাথ সাহা পেশায় কৃষক, মা অতসী সাহা গৃহবধূ। তিন সন্তানকে নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খান। বিশেষভাবে সক্ষম হওয়ার পরও এবারের উচ্চ মাধ্যমিকে মায়ের কোলে চেপেই স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন দিশানি। দিশানী ছোট থেকে পড়াশোনার প্রতি অতি আগ্রহ। পড়াশোনা সর্বাত্মকভাবে সাহায্য করেছে শিক্ষক শিক্ষিকারা। আগামিদিনে শিক্ষিকা হতে যান তিনি। দিশানীর সাফল্যে খুশি পরিবার-সহ স্কুলের শিক্ষক মহল।

HS Result 2024: উচ্চ মাধ্যমিকে নজর কাড়া সাফল্যের পরও বিরাট বাধা! আদৌ কি স্বপ্নপূরণ হবে চা শ্রমিকের মেয়ের?

জলপাইগুড়ি: তিন কুড়ি সবুজ পাতার ফাঁক দিয়েই উঁকি মানব সেবার স্বপ্ন! শত অনটনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে উচ্চমাধ্যমিকে নজর কাড়া সাফল্য চা বাগানের শ্রমিক পরিবারের মেয়ের। এখন সে নার্স হতে চায়। মানব সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করে সংসারের হাল ধরাই লক্ষ্য। গতকালই প্রকাশিত হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল।

মাধ্যমিকের পর উচ্চ মাধ্যমিকেও হতাশাজনক ফল হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার। মেধাতালিকার কোনও স্থানেই নেই এই জেলার পড়ুয়ারা। এরই মধ্যে জলপাইগুড়ি কুমুদিনী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়া শম্পা রায় এবছর উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০০ -এ ৪৬০ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।

আরও পড়ুন-     শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

শম্পার বাড়ি জলপাইগুড়ির দেবনগর এলাকায়। বাবা একটি অস্থায়ী বিদ্যালয় দিনমজুরের কাজ করেন, মা চা বাগানের শ্রমিক। সংসারের টানাটানির মধ্যেও তিন মেয়ের পরিবার । অতি কষ্টের মধ্যে তার মা সংসার চালিয়ে শম্পাকে পড়াশোনা করতে সাহায্য করেছেন। পরিবার বরাবরই পড়াশোনার বিষয়ে যত্নশীল বলেই জানান শম্পা।

আরও পড়ুন-  অসহ্য নরকযন্ত্রণা! বিছানা ছেড়ে উঠতেই পারতেন না…! দিনে ৩০টি করে ওষুধ খেতেন এই নায়িকা, মনে হয়েছিল জীবনটাই শেষ, তারপর…

গতকাল উচ্চমাধ্যমিকে রেজাল্টে জলপাইগুড়িবাসী হতাশ হলেও জলপাইগুড়ির দিনমজুরের মেয়ের দারুণ সাফল্যে বেজায় খুশি সকলেই। বাবা, মা’য়ের অক্লান্ত পরিশ্রমের মান রেখেছে শম্পা । শম্পার এই সাফল্যে এখন উৎসবের আমেজ পরিবার সহ গোটা এলাকায়। এবার তার ইচ্ছে নার্সিং নিয়ে পড়াশোনা করার বড় হয়ে নার্স হয়ে মানুষের সেবা করার। পাশাপাশি, চা বাগানের দরিদ্র মানুষ গুলোর পাশে দাঁড়াতে চায় সে। তবে চা বাগানের শ্রমিক পরিবারের এই মেয়ের স্বপ্ন পূরণ করতে বাধা অর্থ।

সুরজিৎ দে

Higher Secondary Topper 2024: রসায়নে ভয় জয় করে কুশল উচ্চ মাধ্যমিকে নবম! রইল কৃতীর সাফল্যের রহস্য

মৈনাক দেবনাথ, তেহট্ট: মামার সাজেশনেই কেমিস্ট্রিতে বাজিমাত! স্কুলের পরীক্ষায় রসায়নবিজ্ঞানে ৪০ পাওয়া ছাত্রই আজ উচ্চমাধ্যমিকের মেধাতালিকায়। এ বছর নদিয়ার তেহট্ট উচ্চ বিদ্যালয়ের কুশল ঘোষ জেলায় প্রথম এবং রাজ্যের মধ্যে নবম স্থান অধিকার করল। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৮ এবং সর্বমোট ৯৭.৬ শতাংশ। এর আগে মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও বেশিরভাগ বিষয়তেই তিনি পেয়েছিলেন ৯০ এর উপরে নম্বর। ছোটবেলা থেকেই টিভিতে খেলাধুলো কিংবা সিনেমা খুব একটা বেশি দেখা হয়নি কুশলের। তবে খেলাধুলো করতে তাঁর ভাল লাগত।

দ্বাদশ শ্রেণীতে পাঁচটি টিউশন পড়ার পাশাপাশি নিয়মিত বিদ্যালয় উপস্থিত থাকত সে। তাঁর এই সাফল্যের পেছনে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং টিউশনের শিক্ষকদের অবদান অনস্বীকার্য বলে জানান তিনি। বিশেষ করে  ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁর মামাকে। যিনি নিয়মিত তাঁকে বাড়িতে পড়াশোনা করতে সাহায্য করতেন।

তার প্রিয় বিষয় জীবন বিজ্ঞান এবং পদার্থবিজ্ঞান। রসায়ন বিজ্ঞানের প্রতি কিছুটা ভয় থাকলেও পরীক্ষার আগে মামার দেওয়া সাজেশন পড়েই বাজিমাত করেন তিনি! জানান, মামার দেওয়া প্রত্যেকটি সাজেশন পেয়ে পরীক্ষায় যথেষ্ট ফলাফল এসেছে তাঁর। ফলাফল ঘোষণা হতেই খুশির জোয়ার তাঁর বাড়িতে, পাড়ায় এবং বিদ্যালয়ে। প্রত্যেকেই এসে অভ্যর্থনা জানিয়ে যাচ্ছে তাকে। তাঁর ইচ্ছে ভবিষ্যতে মেডিক্যাল সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করে একজন সফল ডাক্তার হওয়ার।

আরও পড়ুন : বাবা পরিযায়ী শ্রমিক, মা দিনমজুর, কলাবিভাগে পড়ে উচ্চ মাধ্যমিকে নবম ভাঙা টিনের ঘরের মেধাবী

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তিনি জানান, সেল্ফ স্টাডির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে এবং শিক্ষকেরা যা পড়াচ্ছেন প্রত্যেকটি বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পড়া জরুরি। কোনও কিছু বাদ যাওয়া যাবে না। তার কারণ উচ্চ মাধ্যমিকের সিলেবাসটি খুবই বড়। এছাড়াও তিনি জানান ‘‘আমার শিক্ষক বলতেন স্টাডি আর রিভিশনের রেশিও হবে ১:৩। আর আমি সেই রেশিওতেই পড়াশোনা করতাম।’‘

কুশলের সাফল্যে তাঁর পরিচিত মহলে এখন উচ্ছ্বাসের রেশ।

WB HS Result 2024: Success Story: বাবা পরিযায়ী শ্রমিক, মা দিনমজুর, কলাবিভাগে পড়ে উচ্চ মাধ্যমিকে নবম ভাঙা টিনের ঘরের মেধাবী

পিয়া গুপ্তা, উত্তর দিনাজপুর: পরিযায়ী শ্রমিকের ছেলে পীতাম্বর উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যে নবম স্থান পেলেন। আশৈশব চরম আর্থিক প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে। টিনের ঘরে কোনওরকমে দিন গুজরান করেই উচ্চ মাধ্যমিকের নজরকাড়া সাফল্য উত্তর দিনাজপুরের নবম স্থান অধিকারী হয়েছেন পীতাম্বর।

বৃষ্টির সময় টিনের চালা দিয়ে জল পড়ে ঘরে ৷ বাবা পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন নেপালে। সংসার চালাতে মাও দিনমজুরের কাজ করেন।সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মত অবস্থা। তবুও সমস্ত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও উচ্চমাধ্যমিকে ৯৭ শতাংশ নম্বর পেয়ে রাজ্যে নবম স্থান অধিকার করেছেন কালিয়াগঞ্জের পীতাম্বর বর্মন। আগামী দিনে আইএএস অফিসার হওয়ার স্বপ্ন পীতাম্বরের।

আরও পড়ুন : সমাজের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সব নিয়ম মেনে মাথা মুড়িয়ে বাবার পারলৌকিক কাজ সম্পন্ন মেয়ের

উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জে তরঙ্গপুরের বাসিন্দা পীতাম্বর বর্মনের বাবা উত্তম বর্মন পেশায় রাজমিস্ত্রি। মা তরুলতা বর্মনও দিনমজুরের কাজ করেন। টিনের ভাঙা ঘরে পড়াশুনা করেই উচ্চমাধ্যমিকের নজরকাড়া সাফল্য পেয়েছে পীতাম্বর। তরঙ্গপুর এন কে উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কলা বিভাগে ৪৮৮ নম্বর পেয়েছে তিনি।

এদিকে ছেলের সাফল্যে কেঁদেই ফেলেন মা তরুলতা বর্মন। ছেলের পড়াশুনোর খরচের জোগাড় করতে দিনরাত অবিরাম পরিশ্রম করেন তাঁরা। তাঁদের পরিশ্রম বৃথা যায়নি। ছেলের এই সাফল্যে খুশি পরিবারের সদস্যরা।

Higher Secondary Examination 2024: হেলমেট না পরার চড়া মাশুল! উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরা হল না পরীক্ষার্থীর

মুর্শিদাবাদ: মাথায় হেলমেট না পরার চরম মাশুল দিতে হল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে। পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে মুহূর্তের ভুলে শেষ হয়ে গেল সব কিছু। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ফরাক্কার অর্জুনপুর এলাকার।

আরও পড়ুন: পোড়ামাটির কালো হাঁড়ির শীতল জল যেন প্রাণের আরাম! কোথায় গেলে পাবেন

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে বাইক চালিয়ে বাড়ি ফিরছিল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর নাফিল শেখ। পথে ইঞ্জিন ভ্যানের সঙ্গে তার বাইকের সংঘর্ষ হয়। গুরুতর জখম হয় নাফিল। স্থানীয়রা দ্রুত ওই পরীক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তার প্রাণ বাঁচানো যায়নি। মৃত পরীক্ষার্থীর বাড়ি ফরাক্কা থানার ঘোড়াইপারা এলাকায়। সে নিউ ফরাক্কা হাইস্কুলের ছাত্র।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

নাফিল শেখের উচ্চমাধ্যমিকের সিট পড়েছিল অর্জুনপুর হাইস্কুলে। অন্যান্য দিনের মত মঙ্গলবার‌ও সে বাইক নিয়ে উচ্চমাধ্যমিকের ইতিহাস পরীক্ষা দিতে এসেছিল। পরীক্ষা শেষে এ দিন দুপুরে বাইক চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে অর্জুনপুর এলাকায় হঠাৎ একটি ইঞ্জিন ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মাথায় হেলমেট না থাকায় গুরুতর আঘাত লাগে ওই পরীক্ষার্থীর। রক্তাক্ত অবস্থায় তড়িঘড়ি অর্জুনপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান স্থানীয়রা। কিন্তু চিকিৎসকরা ওই ছাত্রকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিয়মমাফিক পুলিশ ওই পরীক্ষার্থীর দেহ ময়নাতন্ত্রের জন্য নিয়ে গেছে। এদিকে ঘাতক ইঞ্জিন ভ্যানকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, নিয়ম ভেঙে রাস্তায় ইঞ্জিন ভ্যান ইচ্ছে মত চলছে। তার ফলেই একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে।

কৌশিক অধিকারী

Higher Secondary Examination: মর্মান্তিক! উচ্চ মাধ্যমিকের ইতিহাস পরীক্ষা দিতে গিয়েই বিপত্তি, পরীক্ষা কেন্দ্রে মৃত্যু ছাত্রের

মুর্শিদাবাদ: উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা দিতে গিয়েই নিমেষের মধ্যেই সব শেষ। আর দেওয়া হল না উচ্চ মাধ্যমিকের ইতিহাস পরীক্ষা। অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্রের।

আরও পড়ুনঃ স্থগিত ISC রসায়নের প্রথম পত্রের পরীক্ষা, স্পষ্ট নয় কারণ, নতুন দিন ঘোষণা বোর্ডের

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রের নাম প্রীতম দাস। প্রীতম দাস মুরালিপুকুর হাই স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। ছোটো থেকে মেধাবী ছাত্র হিসাবে পরিচিত। উচ্চমাধ্যমিকের সেন্টার পরে অরঙ্গবাদ হাইস্কুলে। প্রীতম দাস ছোট থেকেই শারীরিকভাবে অক্ষম। কিন্তু মনের জোর আর মনের সাহস নিয়ে বসে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় আজ ইতিহাস পরীক্ষা চলাকালীন হঠাৎ করেই পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে অসুস্থ বোধ করে, তড়িঘড়ি নিয়ে আসা হয় মহিশাইল ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। ব্লক স্বাস্থকেন্দ্রে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার জুড়ে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের লোক জন। ঘটনাস্থলে আসেন উচ্চ মাধ্যমিক কাউন্সিলের জয়েন কনভেনার আশরাফ রাজবী। এছাড়াও ঘটস্থলে আসেন সুতি থানার পুলিশ।

আশরাফ রাজবী তিনি জানান, ‘পাঁচ বছর বয়স থেকেই শারিরীক প্রতিবন্ধী হলেও মেধাবী ছাত্র হিসাবে পরিচিত ছিল। আজকে মঙ্গলবার ইতিহাস পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা কেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খুব দুঃখজনক ঘটনা পরীক্ষা কেন্দ্রে এই ছাত্রের মৃত্যু।’

মৃত ছাত্রের বাবা বিশ্বজিৎ দাস জানান, ‘আজকে সকাল থেকেই বাড়িতে অসুস্থ বোধ করছিল প্রীতম। আমরা বারণ করেছিলাম আজকে ইতিহাসের পরীক্ষা দিতে। পরীক্ষা কেন্দ্রে ভেতরে ঢুকতেও দেরি করে। স্কুলে ঢোকার পরে দ্রুততার সঙ্গে মহিষাইল স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়, পরীক্ষা চলাকালীন অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে।’

কৌশিক অধিকারী

Higher Secondary Exam 2024: রেলের সিগন্যাল ফল্ট, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের

উত্তর ২৪ পরগনা: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মধ্যেই লোকাল ট্রেনে বিভ্রাট। শুক্রবার সকালে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকল লোকাল ট্রেন। পরীক্ষা দিতে পারবে কিনা সেই চিন্তায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে পরীক্ষার্থীরা। ব্যারাকপুর ও টিটাগড়ের মধ্যে সিগন্যাল ব্যবস্থা খারাপ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হল অসংখ্য নিত্যযাত্রীকে।

আরও পড়ুন: মিড ডে মিলের আনাজের খোসা দিয়ে জৈব সার তৈরি করছে পড়ুয়ারা

রাজ্যজুড়ে চলছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। তারই মাঝে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় চরম হয়রানির শিকার হতে হল পরীক্ষার্থীদের। শুধু পরীক্ষার্থী নয়, হয়রানির শিকার হতে হয় অফিস টাইমের নিত্য যাত্রীদেরও। ব্যারাকপুর ও টিটাগর সংলগ্ন ১২ নম্বর রেলগেটের সিগন্যাল খারাপ হয়ে যায় এদিন। তাতেই ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল। আপ ও ডাউন দু’দিকে দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেন। এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘক্ষণ ট্রেন আটকে থাকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

পরবর্তীতে দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হলেও ধীর গতিতে চলছে ট্রেন। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। উচ্চমাধ্যমিকের পাশাপাশি আইসিএসসি, সিবিএসসি-এরও পরীক্ষা চলছে। ফলে শহরতলির দিকে প্রচুর পরীক্ষার্থী ট্রেনে করেই যাতায়াত করছে। সেখানে কীভাবে রেলের এই কারিগরি ত্রুটি ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অভিভাবকরা। এই ঘটনার পর থেকে এদিন শিয়ালদহ মেন শাখায় অত্যন্ত ধীরগতিতে চলছে লোকাল ট্রেন। এর ফলে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতেও দুর্ভোগের মুখে পড়তে হবে বলে আশঙ্কা।

রুদ্রনারায়ণ রায়

WB HS Exam 2024: কঠিন না সহজ? নম্বরই বা কেমন উঠতে পারে? উচ্চ মাধ্যমিকের বাংলা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কেমন হল? জানালেন শিক্ষক

শুক্রবার থেকে শুরু হল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। আজ প্রথম দিনে প্রথম ভাষার পরীক্ষা ছিল। প্রথম ভাষার মধ্যে বিভিন্ন ভাষা থাকলেও বেশির ভাগ পরীক্ষার্থীই আজ বাংলা ভাষার পরীক্ষা দিয়েছেন। আর এবারের উচ্চমাধ্যমিকের বাংলা প্রশ্নপত্র কেমন হল? এই প্রশ্ন থেকে কীরকম নম্বর উঠতে পারে? তা নিয়ে বাংলার বিশেষজ্ঞ শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলল ‘নিউজ ১৮ বাংলা’।

সাহাপুর হরেন্দ্রনাথ বিদ্যাপীঠের অ্যাসিস্টেট টিচার রুদ্রশেখর সাহা বলেন, “উচ্চ মাধ্যমিকের বাংলার প্রশ্ন মোটের উপর ঠিকঠাক প্রশ্ন হয়েছে। খুব কঠিনও না আবার খুব সহজও না। তবে ছোট প্রশ্নগুলি খুবই খুঁটিয়ে এসেছে। তাই সাজেশন ভিত্তিক বা নোটবই ভিত্তিক প্রস্তুতি ছাড়াও যদি কোনও পড়ুয়া মন দিয়ে পাঠ্য বইটি পড়ে তবে ভাল নম্বর তুলতে অসুবিধা হবে না।”

আরও পড়ুন: উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম পরীক্ষার দিনই কেন্দ্র বিভ্রাট! ক্ষমা চাইলেন প্রধান শিক্ষিকা

প্রসঙ্গত, জানা গিয়েছিল আজ পরীক্ষা কেন্দ্রে এক পড়ুয়া প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে তা স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার চেষ্টা করে। তার পরীক্ষা বাতিল করা হয়। পাশাপাশি আরও দুই পড়ুয়া ফোন নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করলে তাদেরও পরীক্ষা বাতিল হয়। এই বিষয়ে ওনার কী মতামত তা জানতে চাওয়া হলে শিক্ষক বলেন, ” যে সমস্ত পড়ুয়ারা এই কাজ করেছে তার দায় শুধু মাত্র তাদের। বার বার নিষেধের পরও এই অনভিপ্রেত ঘটনা বার বার ঘটছে। বড় পরীক্ষা ভয় পেয়েই এই কাজ হয়তো তারা করছে। প্রথম পরীক্ষাতেই তাঁরা এই পথ অবলম্বন করছে, ফলে বোঝাই যাচ্ছে তাঁদের পরীক্ষার প্রস্তুতি সে রকম হয়নি।”

WB HS Exam 2024: উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম পরীক্ষার দিনই কেন্দ্র বিভ্রাট! ক্ষমা চাইলেন প্রধান শিক্ষিকা

কলকাতা: উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম পরীক্ষার দিনই কেন্দ্র বিভ্রাট নিয়ে চরম হয়রানির শিকার হতে হল ছাত্রদের। আর তার জেরেই উত্তেজনা লেকটাউনে। ২০২৪-এর উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার প্রথম দিনে পরীক্ষা কেন্দ্র বদল নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয় লেকটাউন আদ্যনাথ শিক্ষা মন্দির উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রদের মধ্যে।

অভিযোগ পরীক্ষার আগে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জানান, তাদের স্কুলের ছাত্রদের সিট পড়েছে বাঙ্গুর বয়েজ হাইস্কুলে। সেই মতো সমস্ত পরীক্ষার্থীরা সকালেই পৌঁছে গিয়েছিল ওই স্কুলে। কিন্তু গিয়ে দেখা যায়, ওই স্কুলের সিট পড়েনি আদ্যানাথ শিক্ষা মন্দিরের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রদের। এরপরই পরীক্ষায় বসা নিয়ে চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয় ছাত্রদের মধ্যে।

আরও পড়ুন: ফের পরীক্ষা বাতিল দুই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর, পকেটে ছিল ‘নিষিদ্ধ’ জিনিস! চাঞ্চল্য

বাঙ্গুর বয়েজ স্কুলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাতিপুকুর আদ্যনাথ শিক্ষা মন্দিরের স্কুলের সিট পড়েছে পল্লীশ্রী হাইস্কুলে। এই ঘটনা শোনার পরই ছাত্রদের পরীক্ষায় বসাতে এগিয়ে আসে লেকটাউন থানা। গাড়ির ব্যবস্থা করে ছাত্রদের নির্দিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার হয়। যদিও কেন্দ্রটি কাছাকাছি থাকায় স্বল্প সময়ের মধ্যে পৌঁছতে সক্ষম হয় ছাত্ররা।

আরও পড়ুন:  উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাই দেওয়া হত না যদি না পরেশ থাকতেন, কোন্নগড়ের ছাত্রের দারুণ অভিজ্ঞতা

পরবর্তীকালে পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ছাত্র থেকে অভিভাবকরা আদ্যনাথ শিক্ষা মন্দিরের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন এবং স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। অভিভাবকদের দাবি, প্রধান শিক্ষিকাকে এই ভুলের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এই ভুলের জন্য, প্রধান শিক্ষিকা অভিভাবকদের কাছেও ক্ষমা চান।

Rudra Nrayan Roy

WB HS Exam 2024: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাই দেওয়া হত না যদি না পরেশ থাকতেন, কোন্নগড়ের ছাত্রের দারুণ অভিজ্ঞতা

হুগলি: মাধ্যমিকের শেষ, এবার শুরু উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে ২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। পরীক্ষা শুরু হয় সকাল দশটায়, তার আগেই পরীক্ষা কেন্দ্র গুলোতে সময় মত প্রবেশ করে পরীক্ষার্থীরা। হুগলি জেলায় এবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ৪৩,৬১৪ জন। ছাত্র ২০,১০৩ ও ছাত্রী ২৩,৫১১ জন। ১২০ টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।

মাধ্যমিকের মতই উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষাকেন্দ্রে ক্যালকুলেটর, ডিজিটাল ঘড়ি, মোবাইলের মত ইলেকট্রনিক গ্যাজেট নিয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

আরও পড়ুন: ফের পরীক্ষা বাতিল দুই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর, পকেটে ছিল ‘নিষিদ্ধ’ জিনিস! চাঞ্চল্য

প্রথম দিনের পরীক্ষায় অ্যাডমিট কার্ড আনতে ভুলে যায় রিষড়ার এক ছাত্র। তাঁর সিট পরেছে কোন্নগর হাইস্কুলে। পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের সময় দেখে ব্যাগে অ্যাডমিট নেই। কোন্নগর পৌরসভার কর্মী পরেশ পোড়েল সেখানেই ছিলেন। তিনি তৎক্ষণাৎ ছাত্রকে বাইকে করে রিষড়ার প্রভাস নগরে ছাত্রের বাড়ি থেকে অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে আসেন। তারপর পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে ছাত্রটি।

আরও পড়ুন: সিলেবাস বদলাচ্ছে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণীর! পড়ুয়াদের জন্য বড় খবর, কেন এই বদল জানুন বিস্তারিত

এই বিষয়ে পুরকর্মী পরেশ পোড়েল তিনি জানান, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার শুরুর দিনেই তিনি দেখেন এক ছাত্র উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড আনতে ভুলে গিয়েছে। পরীক্ষা শুরু হবার আর মাত্র কিছুক্ষণ সময় বাকি ছিল সেই সময় ছাত্রটি দিশেহারা হয়ে পড়ে। তৎক্ষণাৎ পরেশ বাবু তাঁকে বাইকে চাপিয়ে তাঁর নিয়ে যান বাড়িতে। সেখান থেকে তার অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে যথা সময় তাকে পৌঁছে দেন পরীক্ষা কেন্দ্রে।

রাহী হালদার