জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ির সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাবের উদ্যোগে খুলল একটি মিউজিয়াম। যেখানে সারি দিয়ে সাজিয়ে রাখা রয়েছে উত্তরবঙ্গ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া নানা কীট-পতঙ্গ, দুর্লভ নদীয়ালি মাছ (যেমন- চ্যাং মাছ) থেকে শুরু করে বিলুপ্ত প্রায় সরীসৃপ, উদ্ভিদের নমুনা সহ হার্বেরিয়াম শিট ইত্যাদি বহু হারিয়ে যাওয়া ঐতিহাসিক নিদর্শন।
মূলত বিজ্ঞানের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে এবং সাধারণ মানুষকে বিজ্ঞানমুখী করতে, পরিবেশের সঙ্গে পরিচয় ঘটানোর উদ্যোগেই জলপাইগুড়ির নয়া বস্তি এলাকায় সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাবের পক্ষ থেকে এই মিউজিয়ামের ভাবনা। প্রত্যেক সপ্তাহের শনিবার এবং রবিবার সন্ধ্যে ছ’টা থেকে সেই মিউজিয়াম খোলা থাকে সাধারণ মানুষ এবং পড়ুয়াদের জন্যে। চোখের সামনে যাবতীয় বিলুপ্ত প্রায় প্রাণীদের নমুনা দেখে এবং বিজ্ঞানমূলক বিবরণ পড়ে ক্রমেই এই মিউজিয়ামের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে পড়ুয়াদের। এমনটাই জানালেন ক্লাবের সদস্যরা।
তবে শুধু প্রাণীই নয় জলপাইগুড়িতে থাকা বহু খনিজ- ধাতুর নমুনা, বন্যপ্রাণীদের নানা আকারের পায়ের ছাপের চিহ্ন, জীবাশ্ম যাবতীয় সবকিছুই সযত্নে রাখা রয়েছে শহরের মিউজিয়ামে। এ বিষয়ে সায়েন্স এন্ড ন্যাচার ক্লাবের সম্পাদক রাজা রাউত জানান, মিউজিয়ামে যা যা থাকে তার বেশিরভাগ সম্পদই জোগাড় করে রাখা হয়েছে।
তবে এই মিউজিয়ামটিকে আরও বড় করে তুলতে তিনি সরকারের কাছে অনুদানের আবেদন জানান। এছাড়াও কোনও ব্যক্তি কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যদি আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয় তা হলে ছোট্ট মিউজিয়ামটি আরও বড় হতে পারে এবং সপ্তাহের মাত্র দু’দিনের পরিবর্তে বর্ধিত ক’দিন খোলা রাখা সম্ভব হবে।
সুরজিৎ দে