Tag Archives: Museum

Cassette Museum: নস্টালজিয়া বাঁচিয়ে রাখতে মিউজিয়াম গড়ে ফেলেছেন এই যুবক! কীসের জানেন?

জলপাইগুড়ি: ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এই বিশেষ সংগ্রহশালা বা মিউজিয়াম বানানোর চেষ্টায় রত এই যুবক। কিন্তু কীসের মিউজিয়াম জানেন?

মেলোডিয়াস যুগের এক অন্যতম চিহ্ন এ‌ই বিশেষ জিনিসটি। এটা এখন প্রায় বিলুপ্ত। কথা হচ্ছে অডিও ক্যাসেট নিয়ে। বিলুপ্ত অডিও ক্যাসেট জমানো জলপাইগুড়ির এই যুবকের নেশা। যদিও এখন কারওর গান শুনতে ইচ্ছা হলে স্পটিফাই, গানা কিংবা ইউটিউবের সাহায্যে সহজেই সেই প্রয়োজন মিটে যায়। এর জন্য হাতে একটা স্মার্টফোন থাকলেই চলে যায়, আর কোন‌ও কিছুর দরকার পড়ে না।

আজকের দিনে সিডি, ক্যাসেট কিংবা ভিসিডি এই শব্দগুলো কেমন যেন অচেনা শোনায়। আজকের প্রজন্ম হয়ত দেখেইনি এগুলোর ব্যবহার। ইন্টারনেটের উৎকর্ষতায় এগুলো যেন প্রাগৈতিহাসিক যুগের জিনিস হয়ে গিয়েছে। প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়েছে। সেখানে পুরোনো অডিও রিল ক্যাসেট প্লেয়ার দিয়ে ৮০-৯০ এর দশকের গান প্রতিনিয়ত বাজিয়ে চলেছেন জলপাইগুড়ির রায়কত পাড়ার যুবক আশিস চক্রবর্তী।

আরও পড়ুন: বিধ্বংসী আগুন! লেলিহান শিখায় পুড়ে ছাই সবকিছু

এই যুবক নতুনত্বকে অস্বীকার করছেন না। তবে পুরনো ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টায় পুরনো অডিও ক্যাসেট জমিয়ে মিউজিয়াম তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর জন্য সংগ্ৰহ করছেন ক্যাসেট এবং প্রতিদিন সেগুলো বাজাচ্ছেন। তাঁর কাছে ৭০০-এরও বেশি ৮০ ও ৯০ দশকেরও বেশি ক্যাসেট কাছে। তাঁর সঙ্গে কথা বলে যেটুকু বোঝা গেল, আশি এবং নব্বইয়ের দশকে বিনোদনের একটি বড় অংশ জুড়ে ছিল ক্যাসেট এবং অডিও প্লেয়ার। সেগুলো আজকের দিনে প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এমন বেশ কিছু বিরল সংগ্রহ নিয়ে তিনি এই মিউজিয়াম গড়তে চান।

সুরজিৎ দে

Howrah News: বিদ্যাসাগরের চিঠি! রয়েছে আরও কিছু! মিনি সংগ্রহশালা উদয় নারায়ণপুরে 

হাওড়া: স্বাধীনতার দিনে প্রকাশিত হওয়া সংবাদপত্র দেখতে চান? কিংবাঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের লেখা চিঠির অনুলিপি ? বা হাওড়ার বাসিন্দা হয়েও জেলার ইতিহাস বিজড়িত অজানা তথ্য জানতে চান? তাই ইতিহাস জানতে এমন কৌতুহলী মানুষদের জন্য এক অনন্য উদ্যোগ গ্রহণ করলো উদয়নারায়ণপুর মাধবীলতা মহাবিদ্যালয়।

ইতিহাসের পাতায় আরও একবার স্থান করে নিল হাওড়া জেলার উদয়নারায়ণপুর। বহু প্রাচীন নথি, স্বাধীনতার বছরের সংবাদ পত্র সহ বেশ কিছু ঐতিহাসিক সম্ভার নিয়ে হাওড়া জেলার উদয়নারায়ণপুর মাধবীলতা মহাবিদ্যালয়ে তৈরি হল মিনি সংগ্রহশালা।এই সংগ্রহশালায় গেলেই দেখতে পাবেন স্বাধীনতা সমসাময়িকসংবাদপত্র ছাড়াও উদয়নারায়ণপুরের গড়ভবানীপুরের খননকার্যে পাওয়া বিভিন্ন জিনিসপত্র। যেমন বেলজিয়ামের কাচের জগ, জমিদার রামপ্রসন্ন রায়কে লেখা বিদ্যাসাগরের চিঠির অনুলিপি।

আরও পড়ুন: নুন দিয়ে কাঁচা আম খেলে কী হয়? কোন কোন রোগে কাজে দেয়? জানুন

এছাড়াও এই সংগ্রহশালায় রয়েছে ডিসপ্লে বোর্ড। যেখানে স্থান পেয়েছে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভাকবি রায় গুণাকর ভারতচন্দ্র রায়, রায়বাঘিণী রাণী ভবশঙ্করী, আলামোহন দাশ, মাধবীলতা দেবী, উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের প্রথম সাংসদ ডঃ সত্যবান রায় সহ উদয়নারায়ণপুর তথা হাওড়া জেলার বিশিষ্ট ব্যাক্তিত্বরা।

আরও পড়ুন: রামনবমীতে শহরজুড়ে বাড়তি নিরাপত্তা! শোভাযাত্রায় কী কী নির্দেশ থাকছে হাইকোর্টের? জানুন

শুধু তাই নয় এই ডিসপ্লে বোর্ডে স্থান পেয়েছে উদয়নারায়ণপুর ও বিধিচন্দ্রপুরের জমিদার বাড়ি, গড়ভবানীপুরের গোপীনাথ জীউ ও মনিনাথ মন্দির, আসন্ডা শ্রীধর জিউ , পেঁড়ো ভারত চন্দ্রের স্মৃতি মন্দির, আঁটপুর বিবেকানন্দের সন্ন্যাস গ্রহণের ধুনীকুন্ড, বর্ধমান রাজের আমলে দেওয়ান কৃষ্ণচন্দ্র নির্মিত রাধা গোবিন্দ মন্দির, তারকেশ্বর শৈবমঠ সহ উদয়নারায়ণপুর ও তারপার্শ্ববর্তী এলাকার প্রায় ১৩ টি মন্দির, জমিদার বাড়ি, ও এলাকার বেশ কিছু ঐতিহ্যের বিভিন্ন ছবি। এছাড়াও সংগ্রহশালায় রয়েছে মহাবিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ সুখেন্দু চন্দ্রের পিতা স্বর্গীয় কাশীনাথ চন্দ্রের সংগ্রহের কিছু প্রাচীন জিনিস।

এই মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ডঃ অরবিন্দ ঘোষ জানান আগামীতে এই এলাকার আরও প্রাচীন ঐতিহ্য কে এই সংগ্রহশালায় রাখা হবে।কলেজের কোষাধ্যক্ষ সুখেন্দু চন্দ্র বলেন এই সংগ্রহশালার মাধ্যমে পড়ুয়া সহ এলাকার মানুষজন জেলার ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে।

রাকেশ মাইতি

Knowledge Story: সাড়ে ৩ হাজার বছরের পুরনো মমি আছে কলকাতায়! কোথায় জানেন? দেখতে গিয়েছেন কখনও? চমকে যাবেন

‘মমি’ শব্দটা শুনলে প্রথমেই মনে পড়ে মিশরের কথা। সেখানকার মরু এলাকার সারি সারি পিরামিডের মধ্যে এক সময়ে থাকত সেখানকার সম্রাট-সম্রাজ্ঞী ও বিশিষ্টজনেদের সংরক্ষিত করা মৃতদেহ।

‘মমি’ শব্দটা শুনলে প্রথমেই মনে পড়ে মিশরের কথা। সেখানকার মরু এলাকার সারি সারি পিরামিডের মধ্যে এক সময়ে থাকত সেখানকার সম্রাট-সম্রাজ্ঞী ও বিশিষ্টজনেদের সংরক্ষিত করা মৃতদেহ।
যেহেতু সেগুলো মানুষের মৃতদেহ তাই ‘মমি’ শব্দের সঙ্গে জুড়ে থাকে একটা গা ছমছমে ভাব। আর সেটা অনুভব করা যেতে পারে কলকাতার ‘ভারতীয় প্রদর্শশালা’ বা ‘ইন্ডিয়ান মিউজিয়ম’-এ গেলেই!
যেহেতু সেগুলো মানুষের মৃতদেহ তাই ‘মমি’ শব্দের সঙ্গে জুড়ে থাকে একটা গা ছমছমে ভাব। আর সেটা অনুভব করা যেতে পারে কলকাতার ‘ভারতীয় প্রদর্শশালা’ বা ‘ইন্ডিয়ান মিউজিয়ম’-এ গেলেই!
হ্যাঁ, এই শহরের ‘ইন্ডিয়ান মিউজিয়ম’-এ রয়েছে একটা পূর্ণাঙ্গ মিশরীয় মমি। একটা মমির হাতের কাটা অংশ। কী করে ওই মমিগুলো কলকাতায় এল তা জানতে গেলে চোখ ফেরাতে হবে ইতিহাসের পাতায়।
হ্যাঁ, এই শহরের ‘ইন্ডিয়ান মিউজিয়ম’-এ রয়েছে একটা পূর্ণাঙ্গ মিশরীয় মমি। একটা মমির হাতের কাটা অংশ। কী করে ওই মমিগুলো কলকাতায় এল তা জানতে গেলে চোখ ফেরাতে হবে ইতিহাসের পাতায়।
উদ্ভিদবিদ নাথানিয়েল ওয়ালিচের উদ্যোগে এশিয়াটিক সোসাইটির বিভিন্ন সংগ্রহ নিয়ে ১৮১৪-র ২ ফেব্রুয়ারি সোসাইটির ভবনেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এক প্রদর্শশালা। পরে সেটি রূপান্তরিত হয় ভারতীয় প্রদর্শশালা বা ইণ্ডিয়ান মিউজিয়ম-এ। চৌরঙ্গি রোডের বর্তমান মিউজিয়ম-বাড়িতে সেটি উঠে আসে ১৮৭৮-এ।
উদ্ভিদবিদ নাথানিয়েল ওয়ালিচের উদ্যোগে এশিয়াটিক সোসাইটির বিভিন্ন সংগ্রহ নিয়ে ১৮১৪-র ২ ফেব্রুয়ারি সোসাইটির ভবনেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এক প্রদর্শশালা। পরে সেটি রূপান্তরিত হয় ভারতীয় প্রদর্শশালা বা ইণ্ডিয়ান মিউজিয়ম-এ। চৌরঙ্গি রোডের বর্তমান মিউজিয়ম-বাড়িতে সেটি উঠে আসে ১৮৭৮-এ।
পুরনো জিনিস সংগ্রহের নিরিখে এক সময়ে কলকাতার এই প্রদর্শশালাকে তুলনা করা হতো লণ্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়ম ও অষ্ট্রিয়ার ভিয়েনা মিউজিয়মের সঙ্গে। স্থপতি ডব্লিউ এল গ্র্যানভিল ১৮৬৭ সালে ওই ভিক্টোরিয়ান যুগের স্থাপত্যের ভবনটির ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন। বাড়ির নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৮৭৫ সালে। আর ১৮৭৮ সালে সেটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
পুরনো জিনিস সংগ্রহের নিরিখে এক সময়ে কলকাতার এই প্রদর্শশালাকে তুলনা করা হতো লণ্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়ম ও অষ্ট্রিয়ার ভিয়েনা মিউজিয়মের সঙ্গে। স্থপতি ডব্লিউ এল গ্র্যানভিল ১৮৬৭ সালে ওই ভিক্টোরিয়ান যুগের স্থাপত্যের ভবনটির ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন। বাড়ির নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৮৭৫ সালে। আর ১৮৭৮ সালে সেটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
১৯৩৪ সাল নাগাদ, গোর্বা (Gourvh)-র রাজাদের সমাধি থেকে সংগ্রহ করা একটা মমি মোকা (Mocha) থেকে আনার কথা হয়েছিল। আনন্দের খবর সন্দেহ নেই! কারণ তখনও পর্যন্ত এশিয়াটিক সোসাইটির ওই মিউজিয়মে কোনও মিশরীয় মানুষের মমি সংগৃহীত হয়নি। কিন্তু পরে জানা গেল, কুটে নামের যে রণতরীতে চাপিয়ে মমিটাকে বোম্বাই পর্যন্ত আনবার কথা ছিল, জাহাজের মুসলমান নাবিকদের বিরোধীতায় সেটা আনা সম্ভব হচ্ছে না।
১৯৩৪ সাল নাগাদ, গোর্বা (Gourvh)-র রাজাদের সমাধি থেকে সংগ্রহ করা একটা মমি মোকা (Mocha) থেকে আনার কথা হয়েছিল। আনন্দের খবর সন্দেহ নেই! কারণ তখনও পর্যন্ত এশিয়াটিক সোসাইটির ওই মিউজিয়মে কোনও মিশরীয় মানুষের মমি সংগৃহীত হয়নি। কিন্তু পরে জানা গেল, কুটে নামের যে রণতরীতে চাপিয়ে মমিটাকে বোম্বাই পর্যন্ত আনবার কথা ছিল, জাহাজের মুসলমান নাবিকদের বিরোধীতায় সেটা আনা সম্ভব হচ্ছে না।
ওই নাবিকেরা জানিয়েছেন, মৃত শরীরকে কবর থেকে তুলে জাহাজে করে স্থানান্তরিত করা তাদের সংস্কার-বিরুদ্ধ, তাই সে কাজ করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। অবস্থা এমনই হয়ে দাঁড়ায় যে মমিটাকে মোকার বাইরে আনার সমস্ত চেষ্টাই ব্যর্থ হয়ে যায়।
ওই নাবিকেরা জানিয়েছেন, মৃত শরীরকে কবর থেকে তুলে জাহাজে করে স্থানান্তরিত করা তাদের সংস্কার-বিরুদ্ধ, তাই সে কাজ করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। অবস্থা এমনই হয়ে দাঁড়ায় যে মমিটাকে মোকার বাইরে আনার সমস্ত চেষ্টাই ব্যর্থ হয়ে যায়।
সেই ঘটনার প্রায় বছর পঞ্চাশেক পরে, ১৮৮২ সালের কাছাকাছি, মিশরের কোনও এক সমাধিক্ষেত্র থেকে একটা পূর্ণাঙ্গ মমি কলকাতায় এসে পৌঁছয় এবং তার ঠাঁই হয় ইন্ডিয়ান মিউজিয়মে। যদিও ঠিক কোন তারিখে মমিটা কলকাতায় এসেছিল তা নথিবদ্ধ করা নেই ইন্ডিয়ান মিউজিয়মের কোনও কার্যবিবরণীতে।
সেই ঘটনার প্রায় বছর পঞ্চাশেক পরে, ১৮৮২ সালের কাছাকাছি, মিশরের কোনও এক সমাধিক্ষেত্র থেকে একটা পূর্ণাঙ্গ মমি কলকাতায় এসে পৌঁছয় এবং তার ঠাঁই হয় ইন্ডিয়ান মিউজিয়মে। যদিও ঠিক কোন তারিখে মমিটা কলকাতায় এসেছিল তা নথিবদ্ধ করা নেই ইন্ডিয়ান মিউজিয়মের কোনও কার্যবিবরণীতে।
পূর্ণাঙ্গ মানবদেহের মমি পরে এলেও কায়রোর কাছে কোনও এক পিরামিড থেকে সংগ্রহ করা আনুমানিক তিন হাজার বছরের পুরনো কোনও এক মমির কাটা হাত (পাঞ্জা) কিন্তু যাদুঘরে এসে গিয়েছিল সেই ১৮৪৪ সালেই। এশিয়াটিক সোসাইটির গ্রন্থাগারের সহ-গ্রন্থাগারিক ডবলিউ সি কটনের উদ্যোগে এসেছিল সেটা।
পূর্ণাঙ্গ মানবদেহের মমি পরে এলেও কায়রোর কাছে কোনও এক পিরামিড থেকে সংগ্রহ করা আনুমানিক তিন হাজার বছরের পুরনো কোনও এক মমির কাটা হাত (পাঞ্জা) কিন্তু যাদুঘরে এসে গিয়েছিল সেই ১৮৪৪ সালেই। এশিয়াটিক সোসাইটির গ্রন্থাগারের সহ-গ্রন্থাগারিক ডবলিউ সি কটনের উদ্যোগে এসেছিল সেটা।

History of Bengal: এই রাজা প্রতিরাতে বিপ্লবীদের কাছে নিজে রসদ পৌঁছে দিতেন! সাক্ষী হন সেই অজানা ইতিহাসের

বাঁকুড়া: অম্বিকানগর রাজবাড়ির অনেক ইতিহাস। তবে সেই ইতিহাস সংরক্ষণে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন বর্তমান সদস্যরা। রাজবাড়ি ভগ্নপ্রায় অবস্থায় পড়ে আছে। সম্প্রতি সরকারি উদ্যোগে রাজবাড়ির কিছু অংশ সংস্কার করা হয়েছে। মুকুটমণিপুরের খুব কাছেই এই আম্বিকানগর রাজবাড়ি। এখানকার ইতিহাস নিজের হাতে সংরক্ষণ করেছেন গৌরী শঙ্কর নারায়ণ দেও।

প্রায় পাঁচ বছরের কঠিন পরিশ্রম এবং গবেষণার পর অম্বিকানগর রাজবাড়িতে এই ছোট্ট সংগ্রহশালা তৈরি হয়েছে। তৎকালীন রাজত্বের ইতিহাস, বংশক্রম, সেই সময়কার ব্যবহৃত বিভিন্ন অস্ত্র, ছোট তোপ ইত্যাদি সংরক্ষণ করে রাখা আছে।

আরও পড়ুন: বিখ্যাত ১০৮ শিবমন্দিরে কেমন হল শিবরাত্রির পুজো? দেখুন ভিডিও

বাংলার এমন গৌরবজ্জ্বল ইতিহাস জড়িয়ে থাকলেও অনেকেই অম্বিকানগর রাজবাড়ির বিষয়ে জানেন না। বাঁকুড়ায় ঘুরতে এলে একবার মুকুটমণিপুরের কাছে এই রাজবাড়ি থেকে অবশ্যই ঘুরে যান। বাংলার সমৃদ্ধ ইতিহাসের একটা ঝলক দেখতে পাবেন। অম্বিকানগরের তৎকালীন বজ্রকঠিন রাজা রাইচরণ প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবী আন্দোলনে। তাঁর উদ্যোগেই অদূরে ছেঁদাপাথর এলাকায় একটি সুড়ঙ্গের মধ্যে গড়ে ওঠে বিপ্লবীদের গোপন ডেরা। সেই ডেরা অস্ত্র তৈরি এবং অস্ত্র প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হত। যাতায়াত ছিল বারীন্দ্রনাথ ঘোষ, প্রফুল্ল চাকি, ভূপেশ দত্তের মত প্রথম সারির বিপ্লবীদের। শোনা যায় যে অম্বিকানগর রাজবাড়ি থেকে প্রতি রাতে রাজা রাইচরণ যেতেন সেই গুপ্ত ডেরায়, বিপ্লবীদের সঙ্গে বৈঠক করতেন।

রাজা রাইচরণ নিজে হাতে করে পৌঁছে দিতেন অস্ত্রশস্ত্র এবং রসদ। যদিও গুপ্তচর মারফত রাজার এই সব বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ড জানতে পারে ব্রিটিশ পুলিশ। তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। আলিপুর বোমা মামলায় কিছুদিন কারাবাসের পর প্রমাণের অভাবে মুক্ত হন রাইচরণ। এখনও কিছু তরবারি সংরক্ষণ করে রাখা রয়েছে এই সংগ্রহশালায়।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

পরিবেশটা বেশ মনোরম। মাঠের পাশে দুর্গা মন্দির এবং সেই মন্দির সংলগ্ন রাজবাড়ির ভগ্নাবশেষ। রাজবাড়ি চত্বরেই বসবাস করেন গৌরী শঙ্কর নারায়ণ দেও এবং তাঁর পুত্র। তাঁদের প্রচেষ্টাতেই নিজেদের পরিবারের ইতিহাস নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে সংরক্ষণ করতে পেরেছেন।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Bengali News: কাপড়ের ডাকটিকিট কখনও দেখেছেন? অতি দুষ্প্রাপ্য এই জিনিসটি দেখতে এখানে আসতে হবে

মালদহ: বর্তমানে আমরা যে সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ব্যবহার করি সেগুলি কি সরাসরি চলে এল? নাকি পুরনো দিনেও এই সবকিছু ছিল, সময়ের সঙ্গে সেগুলিরও পরিবর্তন হয়েছে? বর্তমান প্রজন্ম এই বিষয়গুলো নিয়ে তেমন আর ভাবছে না। তা পাল্টাতেই মালদহে গড়ে তোলা হয়েছে দুষ্প্রাপ্য সামগ্রীর জাদুঘর।

আরও পড়ুন: এই স্কুলে ক্লাস করা মানেই আতঙ্ক! কখন যে কী হয়…

পুরনো দিনে কেমন ছিল মুদ্রা থেকে শুরু করে টিভি বা অন্যান্য ব্যবহারের সামগ্রী? সেগুলি বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে অভিনব উদ্যোগ মালদহের কিছু পুরনো সামগ্রী সংগ্রাহকদের।‌ প্রদর্শনীর মাধ্যমে জাদুঘর তৈরি করেছেন তাঁর। তিন দিনব্যাপী তাঁদের এই জাদুঘরে ঐতিহাসিক ও দুষ্প্রাপ্য সামগ্রী প্রদর্শিত হবে। বর্তমান প্রজন্মের কাছে এই জাদুঘর শিক্ষামূলক ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা। তাঁদের এই জাদুঘরে রয়েছে মুঘল আমলের মুদ্রা থেকে শুরু করে ব্রিটিশ আমলের মুদ্রা, এমনকি বর্তমান ভারতীয় মুদ্রা’ও। এছাড়াও অন্যান্য দেশের মুদ্রাও এই জাদুঘরে প্রদর্শিত হচ্ছে।

আগের মুদ্রার থেকে বর্তমান মুদ্রার তফাৎ কী, তা কীভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে সেগুলি এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। মালদহ শহরের অতুলচন্দ্র মার্কেট কমপ্লেক্সের একটি ভবনে এই প্রদর্শনী জাদুঘর তৈরি করা হয়েছে। প্রতিদিন বিকেল তিনটে থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চলবে প্রদর্শনী। উদ্যোক্তা অভিষেক চৌধুরী বলেন, বর্তমান প্রজন্ম এই সম্পর্কে তেমন ধারণা রাখে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলে ব্যস্ত। বর্তমান ব্যবহারিত জিনিসগুলি কীভাবে বিবর্তন হয়েছে, প্রাচীন যুগে কেমন ছিল সেই সম্বন্ধে তাদের ধারণা নেওয়া উচিত। এর থেকে অনেক কিছুই শিখতে পারবে। তাই আমরা এই দুষ্প্রাপ্য সামগ্রীর জাদুঘর খুলেছি।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

মুদ্রা ছাড়াও এই জাদুঘরের বিশেষ আকর্ষণ ১৯০৮ সালে ব্যবহৃত এইচএমভি গ্রামোফোন কলের গান, এর ক্যামেরা, ডাকটিকেট, স্ট্যাম পেপার। শুধুমাত্র কাগজের স্ট্যাম্প পেপার নয়, এই জাদুঘরে প্রদর্শিত হচ্ছে অতি দুষ্প্রাপ্য কাপড়ের স্ট্যাম্প। এছাড়াও পুরনো রেডিও সহ বিভিন্ন দুষ্প্রাপ্য সামগ্রীর প্রদর্শনী করা হচ্ছে।

হরষিত সিংহ

Nadia News: নবদ্বীপে গড়ে উঠছে চৈতন্য সংগ্রহশালা, থাকছে বিশাল চমক

নদিয়া: শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর স্মৃতিবিজড়িত জন্মভূমি নবদ্বীপে গড়ে উঠছে চৈতন্য সংগ্রহশালা। শহরের উত্তর প্রান্তে প্রাচীন মায়াপুর এলাকায় শ্রী চৈতন্যদেবের জন্মস্থান মন্দিরের ব্যবস্থাপনায় সংগ্রহশালাটি তৈরি করার কাজ শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: “আমায় বাঁচান…”, হেড স্যারের কাছে ফোন করে কান্না ছাত্রীর, তারপরই…

চৈতন্য স্মৃতি বিজড়িত বৈষ্ণব তীর্থ নবদ্বীপ ধাম বৈষ্ণব ধর্মাবলী মানুষজনের কাছে পবিত্র তীর্থভূমি। ফলে সারা বছর ধরে দেশ-বিদেশ থেকে অগণিত উৎসাহী দর্শনার্থীদের সমাগম ঘটে এখানে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে, নবদ্বীপ ধাম দর্শন করতে এসে শ্রীমন মহাপ্রভুর জীবন কাহিনী ও তাঁর লীলা কর্ম সম্পর্কে অনেক কিছুই তাঁদের কাছে অজানা থেকে যায়। মূলত সেই সব দর্শনার্থীদের কাছে মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেবের আবির্ভাবের পর থেকে তাঁর সন্ন্যাস জীবন পর্যন্ত জীবন কাহিনী ও লীলা কর্মের ঘটনাবলী মূর্তি ও ছবির মাধ্যমে তুলে ধরার জন্যই তৈরি করা হচ্ছে এই চৈতন্য সংগ্রহশালাটি।

এই প্রসঙ্গে জন্মস্থান মন্দিরের প্রধান অধ্যক্ষ অদ্বৈত দাস মহারাজ জানান, সংগ্রহশালাটি তৈরির কাজ শুরু হয় করোনা অতিমারির আগে। মাঝখানে কোভিড পরিস্থিতির জন্য কাজ বন্ধ ছিল। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ধীরে ধীরে ফের কাজ শুরু হয়। সংগ্রহশালাটি দর্শনার্থীদের কাছে সম্পূর্ণভাবে তুলে ধরতে এখনও প্রায় এক বছরের উপর সময় লাগতে পারে। এখানে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জীবন কাহিনী ও তাঁর জীবন দশায় বিভিন্ন লীলা কর্মের ঘটনা একাধিক মূর্তি ও ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার কাজ চলছে।

সংগ্রহশালাটি সম্পূর্ণভাবে তৈরি হয়ে গেলে খুব সহজেই মহাপ্রভুর জীবনী সম্পর্কে দর্শনার্থীরা জানতে পারবেন। সংগ্রহশালাটি সম্পূর্ণ হতে প্রায় সাত থেকে আট কোটি টাকা খরচ হতে পারে। ওড়িশার কটক থেকে ছয়-সাত জন শিল্পী এখানে এসে দিনরাত পরিশ্রম করে মূর্তি তৈরি কাজ করছেন। এর আগেও বহু শিল্পী এখানে এসে মূর্তি তৈরির কাজ করেছেন। দোল পূর্ণিমার আগে মন্দিরের বাগান শয্যার জন্য সূর্য রথ মূর্তি তৈরির কাজ চলছে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এই মুহূর্তে মন্দিরের বাগান সজ্জার জন্য সূর্য রথের কাজ চলছে, আগামী দোল পূর্ণিমার আগে কাজটি সম্পন্ন হবে। পরিকল্পনাটি বৃহৎ হওয়ার কারণে সংগ্রহশালাটি সম্পূর্ণভাবে তৈরি হতে এখনও এক বছরের উপর সময় লাগতে পারে। তবে সংগ্রহশালাটি তৈরি হয়ে গেলে মুক্তি ও ছবির মাধ্যমে তুলে ধরা হবে শ্রীমন মহাপ্রভুর ছেলেবেলা থেকে শুরু করে সন্ন্যাস গ্রহণ পর্যন্ত জীবন কাহিনী ও লীলা কর্ম সম্পর্কে। দর্শনার্থীরাও সবিস্তারে জানতে পারবেন।

মৈনাক দেবনাথ

Museum: একটি চালে লেখা ১২০ শব্দ, কোথায় দেখতে পাবেন? আশ্চর্য এই জিনিসগুলি দেখতে ঘুরে আসতে পারেন এক উইকেন্ডে 

শক্তিগড় স্টেশন থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে রয়েছে বড়শুল গ্রাম। আর এই গ্রামের মধ্যেই রয়েছে এক ঐতিহাসিক সংগ্রহশালা।
শক্তিগড় স্টেশন থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে রয়েছে বড়শুল গ্রাম। আর এই গ্রামের মধ্যেই রয়েছে এক ঐতিহাসিক সংগ্রহশালা।
বড়শুলের দে পরিবার ছিল গ্রামের জমিদার। যদিও এই জমিদারির সমাপ্তি হয়েছিল অনেক আগেই। এই জমিদার বাড়ির বর্তমান এক সদস্য হলেন হিমাদ্রি শংকর দে। এই হিমাদ্রিবাবু একদম নিজের প্রচেষ্টায় তৈরি করেছেন এক আশ্চর্য সংগ্রহশালা।
বড়শুলের দে পরিবার ছিল গ্রামের জমিদার। যদিও এই জমিদারির সমাপ্তি হয়েছিল অনেক আগেই। এই জমিদার বাড়ির বর্তমান এক সদস্য হলেন হিমাদ্রি শংকর দে। এই হিমাদ্রিবাবু একদম নিজের প্রচেষ্টায় তৈরি করেছেন এক আশ্চর্য সংগ্রহশালা।
এই সংগ্রহশালার মধ্যে এমন কিছু জিনিস রয়েছে যা এখনকার সময় সত্যিই হয়ত দুষ্প্রাপ্য। সংগ্রহশালার মধ্যে সংরক্ষিত জিনিস দেখতে বহু জনই আসেন বড়শুলের এই জমিদার বাড়িতে।
এই সংগ্রহশালার মধ্যে এমন কিছু জিনিস রয়েছে যা এখনকার সময় সত্যিই হয়ত দুষ্প্রাপ্য। সংগ্রহশালার মধ্যে সংরক্ষিত জিনিস দেখতে বহু জনই আসেন বড়শুলের এই জমিদার বাড়িতে।
সংগ্রহশালার মধ্যে রয়েছে দুষ্প্রাপ্য সব দ্রব্যের সম্ভার। সংগ্রহশালায় রয়েছে একটি অদ্ভুত চাল। যে চালের মধ্যে লেখা রয়েছে ১২০টি অক্ষর।
সংগ্রহশালার মধ্যে রয়েছে দুষ্প্রাপ্য সব দ্রব্যের সম্ভার। সংগ্রহশালায় রয়েছে একটি অদ্ভুত চাল। যে চালের মধ্যে লেখা রয়েছে ১২০টি অক্ষর।
রয়েছে পুরনো দিনের বড় সাইজের তালা চাবি, তাল পাতার পুঁথি, ছয়টা লক বিশিষ্ট সিন্দুক, সুলতানি আমলের সিঁদুর কৌটো, বর্ধমান মহারাজের স্বাক্ষরিত চিঠি , বিদেশি আতর, মাছের আঁশ দিয়ে তৈরি ফুলদানি সহ আরও অনেক কিছু।
রয়েছে পুরনো দিনের বড় সাইজের তালা চাবি, তাল পাতার পুঁথি, ছয়টা লক বিশিষ্ট সিন্দুক, সুলতানি আমলের সিঁদুর কৌটো, বর্ধমান মহারাজের স্বাক্ষরিত চিঠি , বিদেশি আতর, মাছের আঁশ দিয়ে তৈরি ফুলদানি সহ আরও অনেক কিছু।
বর্তমানে এই সংগ্রহশালাই হিমাদ্রিবাবুর বেঁচে থাকার রসদ। চাইলে যে কেউ এই সংগ্রহশালা ঘুরে দেখে আসতে পারেন । তবে আগে থেকে হিমাদ্রিবাবুর সঙ্গে  কথা বলে তারপর যাওয়াই সবথেকে শ্রেয়।
বর্তমানে এই সংগ্রহশালাই হিমাদ্রিবাবুর বেঁচে থাকার রসদ। চাইলে যে কেউ এই সংগ্রহশালা ঘুরে দেখে আসতে পারেন । তবে আগে থেকে হিমাদ্রিবাবুর সঙ্গে  কথা বলে তারপর যাওয়াই সবথেকে শ্রেয়।

South 24 Parganas News: হারিয়ে ‌যাচ্ছে  সুন্দরবনের চার প্রাচীন সংগ্রহশালা, সংরক্ষণ করার দাবি

দক্ষিণ ২৪ পরগণা: জোরালো হল সুন্দরবনের প্রাচীন সংগ্রহশালাগুলি সংরক্ষণ করার দাবি। সুন্দরবনের প্রাচীন ইতিহাস সম্বলিত সংগ্রহশালা বা মিউজিয়াম গুলি রয়েছে মোট ৪ টি এলাকায়। খাড়ি ছত্রভোগ সংগ্রহশালা, কাশীনগর সুন্দরবন প্রত্নগবেষণা কেন্দ্র ও বিষ্ণুপুর ও গোবর্ধনপুরে রয়েছে এই কেন্দ্রগুলি। কিন্তু সেই মিউজিয়াম গুলি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে প্রত্নবস্তুগুলিতে জমেছে ধুলো। ভেঙে পড়ছে টালির চাল। ত্রিপল দিয়ে কোনোও রকমে ঢেকে রাখা হয়েছে, টিমটিম করে জ্বলা সুন্দরবনের সুপ্রাচীন ইতিহাস সম্বলিত একাধিক মিউজিয়ামকে।

আরও পড়ুন: সামান্য খরচে মাসে হাজার হাজার টাকা আয়, অভিনব এই উপায়েই আসছে বিরাট সাফল্য

এই সংগ্রহশালায় রয়েছে ফসিলস, পাল ও সেন যুগের মূর্তি, প্রাগোতৈহাসিক জীবের হাড়‌। ১০ থেকে ১২ হাজার বছর আগের পাথর, শিলালিপি। নব্যপ্রস্তর যুগের হাতিয়ার, একাধিক দামী পাথর সহ আরও অন্যান্য বস্তু। প্রায় হাজারের উপর প্রত্নবস্তু সম্বলিত মিউজিয়ামগুলি আকর্ষণ করে সকলকে। বর্তমানে সুন্দরবনের ইতিহাসের একটি জীবন্ত দলিল এই মিউজিয়াম। তবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এই মিউজিয়াম এখন ধ্বংসের মুখে।

আরও পড়ুন: রসগোল্লা, মিহিদানার পর এবার মধু! সুন্দরবনের মধু পেল জিআই ট্যাগ

মিউজিয়াম সুন্দরবন এলাকার ইতিহাসের একটি দলিল। সরকারি অর্থ সাহায্যে যদি মিউজিয়ামটিকে রক্ষণাবেক্ষণ করা যায়, তাহলে সুন্দরবন এলাকার মানুষজন তাদের নিজেদের এলাকায় একটি সুন্দর মিউজিয়াম দেখতে পাবে।তবে মিউজিয়ামের বর্তমান অবস্থা নিয়ে কিছুটা হতাশ উদ্যোক্তরা। সরকারে কাছ থেকে কিছু অর্থ সাহায্য পেলে এগুলি পুনরায় চালু করা যায়। মিউজিয়ামের ভাঙাচোরা দশার হাল কবে ফিরবে সেই উত্তর নেই কারোর কাছে। বর্তমানে এই সংগ্রহগুলি একত্রিত করার প্রয়াস চলছে রায়দিঘি কলেজে, তবে তা খুবই কম পরিমাণে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
সেজন্য এই মিউজিয়াম ধ্বংস হওয়ার আগে বিনামূল্যে আপনিও দেখে আসতে পারেন এই সংগ্রহশালা।

নবাব মল্লিক

North Dinajpur News: জেলার ঐতিহাসিক নিদর্শনের সম্ভার! রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু মিনি মিউজিয়াম

উত্তর দিনাজপুর: রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় এবার চালু হল মিনি মিউজিয়াম। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি সভাকক্ষে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই মিউজিয়ামের উদ্বোধন করেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ডক্টর দীপক কুমার রায় ও দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবব্রত মিত্র। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক দেবব্রত বিশ্বাস, ডিএসপি রিপন বল, অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার মহালা-সহ অন্যান্যরা।

জানা যায়, এই মিউজিয়ামের গড়ার মূল উদ্দেশ্য হল বিভিন্ন যুগের ভারতীয় শিল্প-সাবলী সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ঘরে আপাতত এই মিউজিয়াম চালু করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: এ গ্রামে কেউ রাসায়নিক সার ব্যবহার করেন না চাষের কাজে! মিলল জৈব গ্রামের তকমা

এই মিউজিয়ামে এলে দেখা যাবে উত্তর দিনাজপুর জেলা তথা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, পাথর ব্রোঞ্জ, ভাস্কর্য, মুদ্রা, চিত্রকলা, বস্ত্র শিল্প, কাঠ খোদায় ও লোকায়ের শিল্পীর নানাবিধ নিদর্শন।

রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপক কুমার রায় জানুন, জেলার বিভিন্ন প্রান্তে মিউজিয়াম থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় মিউজিয়াম অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। শিক্ষার আবহে থেকে পড়ুয়াদের মানসিক বিকাশ সম্ভব এই মিউজিয়ামের মধ্য দিয়ে। এখান থেকে যাবতীয় খুঁটিনাটি তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে পড়ুয়ারা।

এছাড়াও গবেষণারত শিক্ষার্থীদেরও এবার ভীষণ সহায়তা হবে এই মিউজিয়াম স্থাপনের জন্য। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ঘরে আপাতত এই মিউজিয়াম চালু করার হলেও তবে পরবর্তীতে এটিকে আরও বড় ভাবে নির্মাণ করা হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্রে জানা গিয়েছে।

পিয়া গুপ্তা