World Environment Day 2024: একটু একটু করে নষ্টের পথে শিলিগুড়ি! পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিতে অভিনব উদ্যোগ

শিলিগুড়ি: সমতল পেরিয়ে পাহাড়ের ডাকে সাড়া দিতে গেলেই পথে পড়ে এক দুয়ার। সেই দরজার নাম শিলিগুড়ি। বাঙালির পাহাড় যাওয়ার দরজা।শুধু পাহাড় নয়, শিলিগুড়ি উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যতম প্রধান প্রবেশদ্বার। পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় বৃহত্তম মেট্রোপলিটন সিটি শিলিগুড়ি। তবে শহর আজ ভাল নেই। শহর বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে দূষণ। উন্নয়নের রাস্তায় বলি হচ্ছে গাছ। গত এক বছরে শিলিগুড়ি শহরে কোপ পড়েছে অন্তত ৫০০ গাছে। কোথাও একেবারে গোড়া সমেত কেটে ফেলতে হয়েছে বিশালাকার বৃক্ষ, কোথাও আবার প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবের হিসেব বলছে, প্রতিস্থাপিত গাছের সংখ্যা একেবারেই সামান্য। যা নিয়ে সরব হয়েছেন শিলিগুড়ির ওয়েলফেয়ার সোসাইটি।

১৯৭৭ সালে তৈরি হওয়া শিলিগুড়ি ওয়েলফেয়ার শহরের একটি প্রশংসিত সংস্থা। উত্তরের পরিবেশ, স্বাস্থ্য থেকে সচেতনতা সমস্ত কাজে অনেকটাই এগিয়ে এই সংস্থা। এবার কিন্তু একটু ভিন্ন চিন্তাভাবনা নিয়ে সমাজের মুখে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন তারা। ‘সোসাইটি বুঝবে?’ নামক  তথ্যচিত্র তৈরি করেছে সংস্থার সদস্য আলোক দাস। অভিনয় করেছেন শিলিগুড়ির কলাকুশলীরা। এই তথ্যচিত্রে সমাজকে চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে যে শুধু একে অপরকে দোষ দিলেই হবে না, নিজেদের এগিয়ে আসতে হবে।আলোক বলেন, “সমাজের মধ্যে আমরাও পড়ি। শুধু সোসাইটি বুঝবে বলে দিলে হবে না। আমদেরও বুঝতে হবে। কি করে আমরা গাছ বাঁচাবো কি করে পরিবেশ রক্ষা করব আমদের ভাবতে হবে।এনিয়ে আমদের আগামীতে অনেক কর্মসূচি রয়েছে।”

সংগঠনের কর্মকর্তারা জানান, একটা সময় ছিল যখন শিলিগুড়িতে গ্রীষ্মকাল বলে কিছু ছিল না। বছরে মাত্র চারটি ঋতু দেখা যেত। কখনও কোনও কারণে দিনে সামান্যতম গরম পড়লে বিকেলে ঝেঁপে নামত বৃষ্টি। দিনে সাধারণ জামাকাপড় পরে চললেও রাতে একটা হালকা চাঁদর জড়িয়ে রাখতে হত গায়ে। অথচ সেই শহরে এবারে তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৪০ ডিগ্রির উপরে। শহর জুড়ে পানীয় জলের সমস্যা আরেকটা মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছে। অথচ এখানে সামান্য মাটি খুঁড়লেই টলটলে জলের দেখা মিলত। গাছে গাছে ভরে থাকা শহর এখন ন্যাড়া।এই সর্বনাশ আটকাতে এবং পুরনো শিলিগুড়ির আবহাওয়া ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতেই নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন তারা।

অনির্বাণ রায়