বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে গভীর রাত পর্যন্ত গণনা

Sukanta Majumdar: রাত দুটোয় পড়ল যবনিকা! সুকান্ত মজুমদারের কেন্দ্রে দিনভর ‘নাটক’, শেষমেশ যা হল…

দক্ষিণ দিনাজপুর: প্রার্থী ঘোষণা থেকে প্রচার বা ভোটের দিনও বারেবারেই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসতে দেখা গিয়েছে এই কেন্দ্রকে। লোকসভা নির্বাচনে গোটা বাংলা, বিশেষত উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র এই বালুরঘাট। ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক মহলের বিশেষ নজর থেকেছে এই কেন্দ্রের দিকে। ফলাফলের দিনও নজর কাড়ল বালুরঘাট। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে।যদিও শেষ পর্যন্ত জয়ী বিজেপি প্রার্থী তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

গণনা কেন্দ্রে সকাল থেকেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলে দুই প্রার্থীর মধ্যে। কোনও সময়ে তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র এগিয়ে যান, তো কোনও সময় আবার এগিয়ে যান সুকান্ত মজুমদার। যার ফলে রীতিমতো টানটান উত্তেজনা দেখা যায় বালুরঘাট ডিসিআরসিতে। তবে শেষ হাসি হাসলেন সুকান্ত মজুমদারই। কড়া টক্করের শেষে ১০ হাজার ৩৮৬ ভোটে জয়ী হলেন সুকান্ত মজুমদার।

আরও পড়ুন: ইস্তফা দিলেন নরেন্দ্র মোদি! বুধের বৈঠক ঘিরে পারদ চড়ছে দিল্লিতে, চমক দেবে ‘ইন্ডিয়া’?

বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে গভীর রাত পর্যন্ত গণনারপালা পেরিয়ে রাত প্রায় দুটো নাগাদ সার্টিফিকেট দেওয়া হয় সুকান্ত মজুমদারের হাতে।কাউন্টিং সেন্টার ছাড়ার আগে তিনটি বিধানসভা এলাকার সমস্ত ইভিএম পরীক্ষা করার দাবি তোলেন তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থী বিপ্লব মিত্র। গঙ্গারামপুর বিধানসভার ২৫ টি বুথে রিকাউন্টিং চেয়েছিল তৃণমূল। সেখানে দশটা বুথে রিকাউন্টিং শুরু হয়।

তৃণমূলের দাবি ছিল এই বিধানসভা এলাকায় ভাল ফল করেছেন তাঁরা। যদিও গণনা হয়ে যাওয়ার পরেও জেলা প্রশাসন শংসাপত্র দিতে দেরি করছে বলেই দাবি বিজেপি প্রার্থীর। প্রশাসন বালুরঘাট আসনে জয়ের শংসাপত্র দিতে দেরি করছে বলেই অভিযোগ করেন সুকান্ত। তাঁর আরও অভিযোগ, তৃণমূল যেহেতু সাংবাদিক বৈঠক করে বালুরঘাটে তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হয়েছে বলে ঘোষণা করেছে, তাই প্রশাসনের এই দেরি করার চক্রান্ত।

—- সুস্মিতা গোস্বামী