চায়ের কাপে পদ্ম

Lotus Farming: চায়ের কাপে ফুটেছে পদ্মফুল! এটাও সম্ভব? গৃহবধূ যা করলেন…! জানলে চমকে যাবেন

পশ্চিম মেদিনীপুর: ঘর সাজাতে সকলেই খুব ভালোবাসে। ছোট্ট একটা ঘর থাকবে, তার সামনে সাজানো-গোছানো একটি বাগান। এমন একটি সুন্দর পরিবেশে ঘর সকলেই চায়। বর্তমানে ছাদেও কেউ কেউ শখের বাগান তৈরি করছেন। তবে এক গৃহবধূ যা করেছেন জানলে চমকে যাবেন। প্রথাকথিতভাবে পুকুরে নয়, এমনকি প্লাস্টিকের গামলায়ও নয়, ভারতের জাতীয় ফুল ফুটিয়েছেন সামান্য চায়ের কাপে। যা বেশ নজর কেড়েছে সকলের। বিভিন্ন মাইক্রো ভ্যারাইটির পদ্মের গাছ লাগিয়েছেন। তিনি চায়ের কাপে বাড়িতেই ছোট্ট ছাদ বাগানে এমনই মজাদার আবিষ্কার তার।

রান্না, ঘর-সংসার সামলে এই গৃহবধুর বরাবরের শখ বাগান তৈরির। সবকিছু সামলে তিনি বাড়ির ছাদে লাগিয়েছেন একাধিক গাছ। বিভিন্ন ফুলের গাছের পাশাপাশি ভারতের জাতীয় ফুল পদ্মেরও চাষ করেছেন তিনি। সম্পূর্ণ শখের বসেই অবসর সময়ে করে চলেন এই কাজ। প্রসঙ্গত, বর্তমান দিনে পুকুরের পাকে পদ্মের চাষ নয়, প্লাস্টিকের গামলাতে বিভিন্ন প্রজাতির পদ্মের চাষ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। তবে এই গৃহবধূ প্লাস্টিকের গামলায় নয়, পদ্মফুল চাষ করেছেন চায়ের কাপে।

আরও পড়ুন-  বলুন তো, পৃথিবীর কোন দেশে Jeans পরা নিষেধ? ৯০% মানুষই জানেন না সঠিক উত্তর, নাম শুনলে চমকে যাবেন গ্যারান্টি!

বাড়িতে ব্যবহার করা চায়ের কাপে পদ্ম ফুল ফুটিয়ে সফল এক গৃহবধূ। নদীয়ার বাসিন্দা, তবে স্বামীর কর্মসূত্রে খড়্গপুরে থাকা এক গৃহবধূ প্রতিদিনই গাছ নিয়ে তার নতুন চিন্তাভাবনার প্রয়োগ চালিয়ে যাচ্ছেন এবং যে ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সফল তিনি। সুপর্ণা মল্লিক নামে এক গৃহবধূ বর্তমানে স্বামীর চাকরির সুত্রে খড়্গপুরে থাকেন। সেখানে বাড়ির ছাদে শখ করে গাছ লাগিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি চায়ের কাপে বিভিন্ন মাইক্রো ভ্যারাইটির পদ্মফুল ফুটিয়ে সফলতা পেয়েছেন। বাড়িতে ব্যবহৃত সামান্য চা খাওয়ার কাপেই পদ্মফুল ফুটিয়েছেন তিনি এবং যা রাখা যাবে আপনার কম্পিউটার টেবিল কিংবা ডাইনিং টেবিলে।

আরও পড়ুন-  গরমে গোলাপ গাছ শুকিয়ে কাঠ হচ্ছে? এই ৬ জিনিস ‘ধন্বন্তরি’! গোড়ায় দিলেই থোকা থোকা ফুলে ভরবে গাছ, গ্যারান্টি!

ছোট থেকেই তার নেশা গাছ লাগানো ও পরিচর্যা করা। ছোট্ট বাগান জুড়ে লাগিয়েছেন একাধিক গাছ। বিভিন্ন প্রজাতির জবা গাছ, কাপে পদ্মের পাশাপাশি বিভিন্ন ফুল ও ফলের গাছ রয়েছে তার বাগানে। তবে বিক্রির জন্য নয়, পরিচিত কেউ চাইলে তাকে এই ফুলের চারা তৈরি করে দেন তিনি। তবে গৃহবধুর এই কৃতিত্ব সত্যিই প্রশংসারযোগ্য। তার এই ভাবনা এবং শখকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।

রঞ্জন চন্দ