ধরলা নদীর ভাঙা সেতু

Risk River Crossing: প্রবল বৃষ্টিতে ধরলা নদীর জলস্তর বৃদ্ধি, ভাঙল সাঁকো

কোচবিহার: এই বছর বর্ষার শুরু থেকেই ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে উত্তরবঙ্গে। সেইসঙ্গে শুরুতেই জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে এখানকার নদীগুলিতে। এমনটা অতীতে দেখা যায়নি। কোচবিহার জেলার ছবিটা এর থেকে আলাদা কিছু নয়। মাথাভাঙা মহকুমার অন্তর্গত ধরলা নদী পারাপার করতে মানুষকে বর্তমানে ঝুঁকি নিতে হচ্ছে। কারণ, এই এলাকার নদী পারাপারের জন্য থাকা বাঁশের সাঁকোটি সম্প্রতি জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে। ফলে বাধ্য হয়েই নৌকায় করে নিত্য যাত্রা করতে হচ্ছে।

এবার বর্ষার শুরুতেই জলস্তর বেড়ে গিয়েছে ধরলা নদীর। স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামল বর্মন জানান, দীর্ঘ সময় ধরে এই নদী পারাপার করার জন্য এই পথে চলাচল করেন তাঁরা। এতে রাস্তা অনেকটা কম লাগে এবং সময় বাঁচে অনেকটাই। তবে বর্ষার শুরুতেই যেভাবে নদীর সাঁকো ভেঙে গিয়েছে তা বিরল ঘটনা। ফলে চলাচলের ক্ষেত্রে অনেকটাই অসুবিধায় পড়ছে স্থানীয়রা। এখন অনেক বেশি সময় লাগছে এপার থেকে ওপারে যেতে।

আর‌ও পড়ুন: চিতাবাঘের ভয়ে কেউ স্কুলে আসছে না, ধনীরামপুরে অঘোষিত বনধ

আরেক স্থানীয় বাসিন্দা সোফিয়াল মিঁয়া জানান, এই রাস্তাটি চলাচল করার জন্য অনেকটাই সহজ হয়। নাহলে প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হয়। ফলে অনেকটাই অসুবিধা হয় সেক্ষেত্রে। তাই এই পথে চলাচল করলে সকলের অনেকটাই সুবিধা হয়। তবে এই নদীর সাঁকো ভেঙে যাওয়ার ফলে তাঁরা অসুবিধায় পড়েছেন। দীর্ঘ সময় ধরে এই এলাকায় স্থায়ী ব্যবস্থা করার জন্য আবেদন জানানো হলেও কোন‌ও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ।

এই প্রসঙ্গে মাথাভাঙা সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়ার শ্রীবাস ঘোষ জানান, বৃষ্টির কারণে নদীর জল বেড়ে গিয়েছে। নদীর গতিবিধি প্রতিনিয়ত নজরে রাখা হচ্ছে। বিপদ এড়াতে সচেতন থাকতে বলা হয়েছে নদী তীরবর্তী স্থানীয়দের। ক্রমাগত নদীর জল বৃদ্ধি ও ভাঙন শুরু হওয়ার কারণে চিন্তায় পড়েছেন স্থানীয়রা। তবে এত কিছুর মধ্যেও কিন্তু ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার অব্যাহত রয়েছে।

সার্থক পণ্ডিত