উত্তর ২৪ পরগনা: কমলা লেবু এখন পাহাড়ের পাশাপাশি এই দক্ষিণবঙ্গেও ফলছে। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় শুরু হয়েছে কমলা লেবুর চাষ। তবে এবার মালটা লেবু চাষের দিকেও ঝুঁকছেন দক্ষিণবঙ্গের কৃষকরা। অল্প পরিশ্রম ও সহনশীল হওয়ার পাশাপাশি ফলন ভাল হওয়ায় বর্তমানে অনেকেই মালটা লেবু চাষ শুরু করেছেন।
কমলা ও বাতাবি লেবুর সঙ্করায়ণের ফলে সৃষ্ট মালটা রোগীর পথ্য হিসেবে উপকারী। পাশাপাশি এই লেবু যেমন পুষ্টিতে ভরপুর তেমনই খেতে সুস্বাদু ও দারুণ গন্ধ। মাল্টা গাছ রোপণ করার পর এই সময় করে গাছে ফল আসে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের হংকং নামে একটি উদ্যানে শোভা পাচ্ছে সারি সারি কমলা লেবুর গাছ। বসিরহাটের হংকং পার্কের উদ্যোক্তা অমিনুর ইসলাম তাঁর ৬০ বিঘা জমির মধ্যে কয়েক বিঘা জমিতে এই মাল্টা লেবু চাষ করেছেন।
আরও পড়ুন: টুসু ও মনসা পুজোই শুধু নয়, ঝালদায় ধুমধাম করে হয় আরও এক বিশেষ পুজো
থাইল্যান্ডের বারি-১ জাতের ৫০০ মাল্টা চারা তাঁর জমিতে লাগান। নিয়মিত যত্ন নেওয়ায় গাছগুলি দ্রুত বেড়ে উঠেছে। গাছে উৎপন্ন লেবুর কীভাবে যত্ন নিতে হবে তা জানালেন উদ্যোক্তা। গাছে ফল এলে ব্যাগিং পদ্ধতি হল মালটা চাষের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ্ধতি। ব্যাগিং করলে ক্ষতিকার পোকার আক্রমণ হয় না। তাই ফল পরিপক্বতার আগেই ছত্রাক নাশক প্রয়োগ করে ব্যাগিং করতে হবে। এর ফলে পাতার ঘর্ষণ থেকে ফলকে রক্ষা করে, তেমনই কীটপতঙ্গ ও তীব্র সূর্যকিরণ থেকে রেহাই পাওয়া যায়। বিভিন্ন পাখি এবং বাদুড়ের উপদ্রব হয় না। ফল নিরাপদ হয়। পরিবেশ ভালো থাকে। বাজার মূল্য পাওয়া যায় বেশি। এই ব্যাগ দুই-তিন বছর ব্যবহার করা যায়। দেশীয় পদ্ধতিতে পলিথিন, কাপড় কিংবা বাটার পেপার দিয়ে ব্যাগিং করা যেতে পারে।
হংকং উদ্যানে লেবু বাগান দেখতে আসেন বিভিন্ন এলাকার প্রকৃতি প্রেমী মানুষজন। তাঁদের কাছে পরামর্শ নিতে আসেন দূরদূরান্তের ফল চাষিরাও। শুধু ফল তৈরি নয়, এই জাতের চারা গাছও বিক্রি করে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের দিশা দেখা যাচ্ছে।
জুলফিকার মোল্যা