জল-কাদা জমে রাস্তার বেহাল দশা

Nanotechnology Road: কোটি টাকা খরচে তৈরি ন্যানো প্রযুক্তির রাস্তার বছর ঘুরতেই বেহাল দশা

কোচবিহার: দু’বছর আগে তৈরি হয়েছিল এই রাস্তা। ন্যানো প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা এই রাস্তা নিয়ে সেই সময় ব্যাপক প্রচার হয়েছিল। নানান পত্রপত্রিকায় বড় বড় করে খবর ছাপা হয়। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই যাবতীয় উৎসাহ মাটি হয়ে গিয়েছে। রীতিমত বেহাল দশা আধুনিক প্রযুক্তির এই রাস্তার। এবার বর্ষার কদিনের টানা বৃষ্টিতেই এই রাস্তায় তৈরি হয়েছে ইয়া বড় বড় গর্ত। ফলে চলাচল করতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন স্থানীয়রা। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত রাস্তাটি মেরামতের দাবি তুলেছেন এলাকাবাসীরা।

দু’বছর আগে কোচবিহারের অন্দরানফুলবাড়ির এই রাস্তা নির্মাণের জন্য কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক ১ কোটি ৬৮ লাখ ৩৩৯ টাকা বরাদ্দ করেছিল। উত্তরবঙ্গের মধ্যে এখানেই প্রথম ন্যানো প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাস্তা তৈরি হয়। কিন্তু এক বছরের মধ্যেই রাস্তাটি ভাঙতে শুরু করেছিল। বর্তমানে এই রাস্তার একেবারে বেহাল দশা। এত কম সময়ে ন্যানো প্রযুক্তির রাস্তা কী করে ভেঙে যাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রাস্তা তৈরিতে ব্যবহৃত উপকরণের গুণমান সঠিক ছিল কিনা তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে স্থানীয়দের মধ্যে।

আর‌ও পড়ুন: প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সাত সকালে ইকো পার্কে এ কী দৃশ্য! দেখে হতবাক সকলে

এলাকার বাসিন্দা মলিন বর্মন জানান, এই রাস্তা দিয়ে বলরামপুর হাইওয়েতে ওঠা যায় খুব সহজেই। পাশাপাশি এখান দিয়ে তুফানগঞ্জেও খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছনো যায়। ফলে প্রতিদিন বহু মানুষ এই রাস্তাটি ব্যবহার করেন। তবে রাস্তাটি বেহাল হয়ে পড়ায় অসংখ্য মানুষের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। বর্তমানে রাস্তাটি চলাচলের একেবারে অযোগ্য হয়ে উঠেছে।

বাইক আরোহী সুজিত দাস জানান, এই রাস্তার এমনই বেহাল দশা হয়ে রয়েছে যে অ্যাম্বুল্যান্স পর্যন্ত ঢুকতে চায় না। এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা একেবারেই অসম্ভব। এই বিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে অভিযোগ জানালেও কোন‌ও লাভ হয়নি বলে তিনি দাবি করেন। এই রাস্তা খারাপ থাকায় মাঝেমধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা।

এই বেহাল রাস্তার বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে তিনি এই বিষয়ে কোন‌ওরকম মন্তব্য করতে চাননি। এই অবস্থায় বেহাল রাস্তাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মানুষ ও নিত্য যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ দানা বেঁধেছে।

সার্থক পণ্ডিত