Tag Archives: Bad Road

Lok Sabha Election 2024: ভোটের আগে কী কী দাবি জঙ্গলমহলের মানুষের?

পশ্চিম মেদিনীপুর: সরকারের পালা বদলের পর জঙ্গলমহলের মানুষের জীবন যাত্রার বদল ঘটেছে। বদল হয়েছে রাস্তাঘাট এবং জনজীবনেরও। এককালের মাটির পথ কোথাও হয়েছে ঢালাই, আবার কোথাও পিচের রাস্তা। সরকারি নানান সাহায্য-সহযোগিতা পাচ্ছেন গ্রামের মানুষ। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে রেশন, কিংবা নানান সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন তাঁরা। তবে গ্রামীণ এলাকায় লোকসভা নির্বাচনের আগে মানুষের একাধিক দাবি-দাওয়া রয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় রাস্তাঘাটের উন্নতি, পানীয় জলের ব্যবস্থা যুবকদের কর্মসংস্থানের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

জঙ্গলমহলের মানুষের প্রধান রুটি রুজির মাধ্যম জঙ্গলের পাতা, কাঠ। শাল পাতার থালা তৈরি করে কিংবা জঙ্গলের কাঠ বিক্রি করে সংসার চালাতে হয় তাঁদের। দু’বেলা দুমুঠো অন্ন জোগাড় করতে গিয়ে হয় না ছেলেমেয়েদের উচ্চ শিক্ষা। এছাড়াও দারিদ্র‌ও একটি বড় ফ্যাক্টর জঙ্গলমহলের মানুষের কাছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে একাধিক দাবি দাওয়া রয়েছে গ্রামের মানুষের।

আরও পড়ুন: গরমে এই ফল চাষ করলে লাভের টাকায় উপচে পড়বে পকেট

পশ্চিম মেদিনীপুরে কেশিয়াড়ি ব্লকের সাতশোল গ্রাম জঙ্গল লাগোয়া। লোধা জনজাতির মানুষের বাস এখানে। এখানে মূল রাস্তা ঢালাই হলেও গ্রামীণ রাস্তা বেশ খারাপ। রাস্তাঘাট মেরামতের পাশাপাশি প্রধান সমস্যা জলের, সুবন্দোবস্ত করার দাবি জানিয়েছেন গ্রামের মানুষ। শুধু তাই নয় সামাজিক জনজীবনের উন্নতির দাবি জানিয়েছেন তারা।

এছাড়াও গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান এবং আর্থসামাজিকতার বদলে দাবি জানিয়েছেন জঙ্গলমহলের মানুষেরা। দিন কয়েক পরেই নির্বাচন। ভোট উৎসবে অংশ নেবেন তারাও। তবে আর্থ সামাজিক পরিকাঠামো এবং এলাকার উন্নয়নের দাবি সকলের। কতটা তাদের দাবি মানা হয় তা বলবে সময়।

রঞ্জন চন্দ

Bad Road: এর থেকে রাস্তা না সারানোই ভাল ছিল!

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: নতুন রাস্তা হবে বলে তোলা হয়েছিল ইট। গ্রামবাসীরাও তখন আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু চারমাস পর আজও রাস্তা তৈরির নামগন্ধ নেই। এদিকে নতুন রাস্তা তৈরির কথা বলে রাস্তা থেকে ইট তুলে নেওয়ায় অসুবিধায় পড়েছেন গ্রামবাসীরা। পরিস্থিতি সামলাতে গ্রামবাসীদের চাপের মুখে কিছু যায়গায় ইট গুড়ো করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে রাস্তা সারানোর নামে তৈরি হওয়া গেড়োয় ভুগছেন মথুরাপুরের অর্জুনতলা এলাকার মানুষ।

মথুরাপুর লোকসভার কাশীনগর পঞ্চায়েতের অর্জুনতলা গ্রামের বাসিন্দারা যোগাযোগের জন্য একমাত্র এই রাস্তাটির উপরই নির্ভর করেন। খারাপ রাস্তার জন্য মুমূর্ষু রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতেও সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি, সম্প্রতি বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনাও ঘটেছে এই রাস্তায়। কিন্তু কেন এই রাস্তা সরানো হচ্ছে না তার উত্তর কারোর কাছে নেই।

আর‌ও পড়ুন: জীবিকার কারণেই স্ত্রীরোগে আক্রান্ত হচ্ছে সুন্দরবনের মেয়েরা

সামনেই লোকসভা ভোট। এই গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হবে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র। সেজন্য ভোটগ্রহণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন অফিসাররা। তার আগে গ্রামের রাস্তা সারাই হয় কিনা সেটাই এখন দেখার।

নবাব মল্লিক

Bangla Video: রাস্তা বন্ধ থাকায় মেয়ের টিউশনির টাকা দিতে পারছেন না মা!

বাঁকুড়া: শহর সংলগ্ন ময়রাবাঁধ এলাকার রেল আন্ডারপাসের রাস্তা ঘিরে দুর্ভোগের শেষ নেই সাধারণ মানুষের। ৮ থেকে ৮০ সকলেই অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে এই রাস্তা পার হচ্ছেন। রবিবার একজন সবজি বিক্রেতা পড়েও যান। যদিও তিনি এখন সুস্থ আছেন। ২০২৩ সালের ২৮ মার্চ থেকেই আন্ডার পাশের রাস্তা তৈরির জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় মুখ্য রাস্তাটি। সেই শুরু দুর্ভোগের, যা আজও বহমান। বর্তমানে রাস্তার কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে, কিন্তু এলাকার মানুষ জীবন জীবিকার স্বার্থে কোনক্রমে করছেন পারাপার।

লোকসভা নির্বাচনের গরমের পাশাপাশি বাঁকুড়ায় তীব্র দাবদাহ চলছে। তার মধ্যে এই এবড়ো খেবড়ো উঁচু ধুলোময় রাস্তা পেরিয়ে ওষুধ কিনতে হোক কিংবা বাজার করতে, যে কোন প্রয়োজনে যেতে হচ্ছে গ্রামের মানুষকে। চোখের জলে নাকের জলে হচ্ছেন বয়স্করা। কেউ অসুস্থ হলে কোলে করে তুলে নিয়ে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। এর ফলে ক্ষতি হচ্ছে এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যেরও।

আর‌ও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জমানো টাকায় তৃষ্ণা মিটছে পথিকের

পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও ক্যামেরা দেখে এগিয়ে এলেন তাঁদের সমস্যার কথা বলতে। আন্ডার পাসের রাস্তার কাজের জন্য ব্যবসায় মন্দার কারণে সন্তানের টিউশনির টাকা দিতে পারছেন না এক মহিলা। আমাদের সামনে চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না তিনি। আবার কেউ বলছেন রাস্তার কাজে মাটি কাটার জন্য বাড়িতে তৈরি হয়েছে ফাটল, ফলেই ভয়ে ভয়ে কাটছে জীবন। এছাড়া পা মচকে গিয়ে দুর্ঘটনা রোজকার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ময়রাবাঁধের দিকের আন্ডারপাস সংলগ্ন নির্মল গড়াইয়ের মিষ্টির দোকান। একসময় ভিড়ে ঠাসা ছিল এই দোকান। কিন্তু একবছরে সবকিছু পাল্টে গিয়েছে। ব্যাবসায় মন্দা এসেছে, বিক্রি কমে চার ভাগের একভাগ হয়ে গিয়েছে। ২০২৩ সাল থেকেই যেন ময়রাবাঁধ আন্ডারপাশ সংলগ্ন মানুষের জীবন পাল্টে গেছে সম্পূর্ণভাবে। মানুষগুলো যেন ক্রমশ অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছেন।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Garbage Stench: আবর্জনার বুক চিরে চলে গিয়েছে এক ফালি রাস্তা! এখানে এলে এমনটা মনে হতে পারে

পশ্চিম মেদিনীপুর: ঠিক যেন আস্তাকুঁড়। রাজ্য সড়কের পাশে দিনের পর দিন জমছে গোটা শহরের আবর্জনা। ডাবের খোল থেকে থার্মোকল, প্লাস্টিক থেকে ড্রেনের নোংরা জমানো হচ্ছে রাস্তার পাশে। যখন তখন লাগানো হচ্ছে আগুনও। একদিকে আবর্জনার নোংরা পচ দুর্গন্ধ, অন্যদিকে ধোঁয়ায় অতিষ্ঠ স্থানীয় মানুষ থেকে রাজ্য সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা পথচারী সকলে। বারংবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে জানানো হলেও সুরাহা মেলেনি। লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের দাবি, স্থায়ী সমাধানের।

সোজা চলে গিয়েছে ওড়িশা ট্র্যাঙ্ক রোড, যা বর্তমানে রাজ্য সড়ক হিসেবে পরিচিত। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা বাজার সংলগ্ন এলাকায় বেশ কয়েক বছর ধরেই ক্রমে গড়ে উঠছে আস্তাকুঁড়। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা, নারায়ণগড় ব্লকের অন্যতম একটি শহর। রয়েছে কলেজ, হাসপাতাল, বাজার, এমনকি ব্লক প্রশাসনের অফিসও। তবে নিত্যদিন নোংরা আবর্জনার পচা দুর্গন্ধে সমস্যায় পড়তে হয় বেলদার মানুষজনকে। ইতিমধ্যে সেই সমস্যার সমাধানের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল ব্লক প্রশাসনের তরফে। কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প চালু করার চেষ্টা করেছিল প্রশাসন, তবে তা বাস্তবায়িত হয়নি।

আর‌ও পড়ুন: চার বছর ধরে পানীয় জল পায় না এখানকার মানুষ!

দিনের পর দিন বেলদা কালী মন্দিরস্থিত রাজ্য সড়কের পাশেই স্তুপ করে রাখা হয় নোংরা আবর্জনা। নিত্যদিন সেখানে জমানো হয় বেলদা বাজারের সমস্ত আবর্জনা। হোটেলের উচ্ছিষ্ট খাবার, নর্দমার নোংরা আবর্জনা, থার্মোকল, ডাবের খোল ইত্যাদি প্রতিদিনই ফেলে দিয়ে যাওয়া হয় এই রাস্তার পাশেই। যার ফলে পচা দুর্গন্ধে টেকা দায় এখানে। পাশেই রয়েছে মন্দির, আশ্রম, এমনকি জনবসতিও। রয়েছে একটি বেসরকারি গ্যাস অফিস এবং বেলদা ইলেকট্রিকের ডিভিশনাল অফিসও। স্বাভাবিকভাবে পথ চলতি মানুষদের নাকে চাপা দিয়েই পেরোতে হয় এই জায়গা। দ্রুত স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছেন সকলে।

এছাড়াও এই আবর্জনায় যখন-তখন লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। বিষাক্ত ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। গরমের মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা থেকে একাধিক সমস্যায় ভুগতে হয় এলাকাবাসীকে। লোকসভা নির্বাচনের আগে সাধারণের দাবি দ্রুত এই স্থান থেকে আবর্জনা সরিয়ে অন্যত্র খেলা হোক।

প্রশাসন সূত্রে খবর, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প চালু হলে গৃহস্থলী কিংবা বাজারে নোংরা, আবর্জনা, প্লাস্টিক সংগ্রহ করে জৈব ভঙ্গুর পদার্থকে জৈব সারের রূপান্তর এবং জৈব অভঙ্গুর অর্থাৎ প্লাস্টিক জাতীয় আবর্জনাকে পুনর্নবীকরনের করা হবে।

আর‌ও পড়ুন: ভাণ্ডার নিয়ে পা মেলালেন মা লক্ষ্মী! সে কী উৎসাহ

সাধারণ মানুষের দাবি, দ্রুত এই আবর্জনা পরিষ্কার করুক প্রশাসন।সকলের স্বার্থে মানুষকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই প্রকল্পে এগিয়ে আসার আবেদন জানিয়েছে ব্লক প্রশাসন।তবে কবে মিটবে এই সমস্যা? কবে বাস্তবায়িত হবে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প? তা সময় বলবে।

রঞ্জন চন্দ

Road Collapsed: জলের পাইপ লাইন ফেটে বিরাট ধস উত্তরপাড়ায়

হুগলি: জলের পাইপলাইন ফেটে বড়সড় বিপত্তি উত্তরপাড়ায়। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের রামলাল দত্ত রোডের একাধিক জায়গায় ধস নামে শনিবার থেকে। রবিবার ধসে পড়ে ওই রাস্তার বেশ কিছু অংশ। পাইপ লাইন বসাতে গিয়ে রাস্তায় ধস নামছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এর আগেও ১২ নম্বর ওয়ার্ডে একইভাবে ধস নেমেছিল। সেই সময় পুরসভা ব্যবস্থা নিয়ে ধস মেরামতি করে। পুরসভা সূত্রের খবর জলের পাইপ লাইন ফেটে এই বিপত্তি হয়েছে।

এদিকে ওয়ার্ডের ভেতর রাস্তার একাংশ ধসে পড়ায় ভয় ধরেছে আমজনতার মধ্যে। বাসিন্দারা পুরসভার কাছে আবেদন জানিয়েছেন যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, যেদিন ধস নামতে শুরু করে সেইদিন রাতেই স্কুটিতে করে এক মহিলা যাচ্ছিলেন। তিনি রাস্তার ধসের কবলে পড়েন। স্কুটির চাকা ধসের মধ্যে আটকে যায়। ওই মহিলা গাড়ি থেকে ছিটকে পড়েন। স্থানীয় মানুষরা ছুটে এসে মহিলাকে সাহায্য করেন। এলাকার মানুষের বক্তব্য, দ্রুত ধস মেরামত না করলে আগামী দিনে আরও এমন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

আর‌ও পড়ুন: প্রোমোটিংয়ের জন্য খেলার মাঠের উপর দিয়ে রাস্তা! কাজ বন্ধ করে দিলেন গ্রামবাসীরা

এদিকে ধস নামা জায়গায় সিপিএমের পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বিপদ চিহ্নিত করতে। স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, পুরসভার উদাসীনতার ফলেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি ধস নামার পর পুরসভার পক্ষ থেকে সময় মত জায়গাটি ঘিরে দেওয়া হয়নি বলে বামেদের অভিযোগ।

রাহী হালদার

Poor Road: স্বাধীন ভারতের লজ্জার ছবি! অসুস্থ হলে আজ‌ও ডুলি’ই ভরসা এই গ্রামে

পুরুলিয়া: পর্যটনের কারণে পুরুলিয়া সর্বক্ষেত্রেই চর্চিত। আবার এটাই বাংলার অন্যতম পিছিয়ে পড়া জেলা বলে পরিচিত। তবে গত কয়েক বছরে জেলার চিত্রটা খানিকটা বদলেছে। রাজ্যে পালাবদলের পর পিছিয়ে পড়া এই জেলায় অনেক ক্ষেত্রেই উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতাটর এতগুলো বছর পেড়িয়ে যাওয়ার পর আজও বঞ্চিত বাঘমুন্ডি ব্লকের তুনতুড়ি সুইসা গ্রাম পঞ্চায়েতের জোড়ডি গ্রামের জোড়ডি টলার বাসিন্দারা।

পুরুলিয়ার এই প্রান্তিক গ্রামে প্রায় ৩০০ টি পরিবারের বসবাস। স্বাধীনতার পর পেরিয়েছে এতগুলো বছর, কিন্তু এই গ্রামে আজ‌ও নেই কোনও রাস্তা। জোড়ডি গ্রাম থেকে তিলোকডি মোড় পর্যন্ত প্রায় তিন থেকে চার কিমি রাস্তা খানাখন্দে ভরা। যার ফলে বর্ষার সময় গ্রামে ঢোকে না অ্যাম্বুলেন্স। পাকা রাস্তা পর্যন্ত ডুলিতে করে নিয়ে যেতে হয় গর্ববতী মহিলা ও অসুস্থদের।‌ রাস্তা বেহাল থাকার কারণে একটা সময় ঘোড়া ব্যবহার করতেন এই গ্রামের বাসিন্দারা। এখন আর ঘোড়ার ব্যবহার না হলেও ডুলিতে করে অসুস্থ রোগীদের নিয়ে যেতে হয়।

আর‌ও পড়ুন: স্বাধীনতার এতদিন পর পাকা হচ্ছে কাঠের সেতু

তাই অবিলম্বে রাস্তার দাবি জানিয়েছেন এই গ্রামের বাসিন্দারা। তার জন্য প্রয়োজন পড়লে তাঁরা নিজেদের জমি ছাড়তেও রাজি আছেন। এদিকে শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশ্বাস দেন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অষ্টমী কুইরি।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

Villagers Protest: বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হল গ্রামের প্রধান রাস্তা! কারণ জানলে অবাক হবেন

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বছরের পর বছর চলে যায়। পথশ্রী প্রকল্পে রাজ্যের হাজার হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি ও সংস্কার হয়, কিন্তু ক্যানিংয়ের আমতলা গ্রামের আখন্দ পাড়ার রাস্তার হাল আর ফেরে না। প্রতিদিন ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে সাধারণ পথচারী থেকে শুরু করে টোটো, অটো এমনকি স্কুল পড়ুয়াদের। রাস্তার দুধারেই পুকুর হওয়ায় অনেক সময় সেই পুকুরে উল্টে যাচ্ছে গাড়ি।

আর‌ও পড়ুন: আগুন লেগে পাওয়ার হাউসের কোটি টাকার জিনিস নষ্ট, দমকলকে খবরই দিল না কর্মীরা!

বারে বারে এই বেহাল রাস্তার বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে ব্লক প্রশাসনকে জানালেও কোনও সুরাহা হয়নি। তাতেই ধৈর্য হারিয়ে বুধবার দুপুর থেকে সরকারি রাস্তার উপর বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিলেন গ্রামবাসীরা। কোনমতে সেই বেড়ার ফাঁক গলে একজন একজন করে পারাপার করা গেলেও বাইক, টোটো বা অন্য কোনও গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। গ্রামবাসীদের দাবি, দশ বছরের বেশি সময় ধরেই গ্রামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ইটের রাস্তার বেহাল দশা। বেশিরভাগ জায়গায় ইট উঠে গিয়েছে, ভেঙে গিয়েছে। ভাঙতে ভাঙতে রাস্তা অনেক সরুও হয়ে গিয়েছে বহু জায়গায়। কিন্তু তবুও এই রাস্তা মেরামত করা হচ্ছে না কোন এক অজানা কারণে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এই পরিস্থিতিতে ভোটের আগে বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে প্রতিবাদ জানালেন গ্রামের বাসিন্দারা। এই রাস্তা বহুদিন ধরেই খারাপ। প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটছে। এই রাস্তা দিয়ে ইটভাটার বড় বড় মোটর ভ্যান চলছে, তাতে আরও ভাঙছে রাস্তা। রাস্তা দিয়ে যেতে গিয়ে টোটো উল্টে জলে পড়ছে, বাচ্চারা স্কুলে যাওয়ার সময় সাইকেল নিয়ে পুকুরে পড়ছে। তাই রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে রাস্তা বন্ধ করেছেন গ্রামবাসীরা।

সুমন সাহা

Local News: ২৫ দিন ধরে বন্ধ গ্রামের রাস্তা, হেলদোল নেই কারোর!

দক্ষিণ ২৪ পরগনার: পিচের রাস্তায় ধস নামায় গত কয়েকদিন ধরে বন্ধ ভারি যান চলাচল বন্ধ। কবে মেরামত হবে তার ঠিক নেই। এই অবস্থায় ২৫ দিন কেটে গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের হেলদোল না থাকায় ক্ষুব্ধ বারুইপুরের শিখরবালি-২ পঞ্চায়েতের সরদার পাড়ার বাসিন্দারা।

আরও পড়ুন: ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস মিক্সচার আঙ্কেল! দুর্গাপুর ৪০ বছর ধরে এনার হাতের জাদুতে বুঁদ

রাস্তা মেরামত না হওয়ায় সন্ধের অন্ধকার নামলেই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। কবে এই রাস্তা মেরামত করা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। গ্রামবাসীদের এই ক্ষোভ নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে বারুইপুরের ওই পঞ্চায়েতের প্রধান বলেন, আমি তাড়াতাড়ি মেরামতের জন্য পূর্ত দফতরকে বলেছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই রাস্তা মেরামত করা যায় তা দেখা হচ্ছে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এই রাস্তা ধরে পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে দক্ষিণ দুর্গাপুর এলাকায় যেতে হয়। স্থানীয় বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে রোগী নিয়ে যেতে এই রাস্তাই একমাত্র ভরসা। এলাকার বাসিন্দারা বলেন, বড় বড় গাড়ি যাওয়ার পর থেকেই রাস্তার এই অবস্থা। মাঝখানে ফাঁক হয়ে পুরো বসে গিয়েছে। অন্যদিকে যে রাস্তাটুকু ভাল আছে তাও এর জেরে খারাপ হয়ে যাচ্ছে। কবে এই রাস্তা মেরামত হবে তা স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যও বলতে পারছেন না।

সুমন সাহা

Local News: শোকস্তব্ধ গোটা গ্রাম, রাস্তার ‘শব’ নিয়ে গ্রামবাসীদের অবাক কাণ্ড

দক্ষিণ দিনাজপুর: অভিনব পদ্ধতিতে বেহাল রাস্তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালেন গ্রামবাসীরা। ‘দেহ’ নিয়ে শেষযাত্রায় শামিল হলেন ‘শোকস্তব্ধ’ গ্রামবাসীরা। মানুষ নয়, দেহটি একটি রাস্তার! বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দত্তক নেওয়া গ্রামের একমাত্র সংযোগকারী রাস্তা এটি। যার অবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল। একাধিকবার জানিয়েও সুরাহা হয়নি সমস্যার। বাধ্য হয়েই এবার চলাচলের একমাত্র রাস্তাকে মৃত ঘোষণা করে সেই মৃতদেহ নিয়ে ধর্ণায় বসলেন গ্রামবাসীরা। যা অভিনব বৈকি।

আরও পড়ুন: শিবরাত্রির পুজো দিতে ভারত পেরিয়ে ভুটানে ভক্তরা! জয়ন্তী পাহাড়ের বড় মহাকাল ধামে উপচে পড়া ভিড়

‘মৃত’ রাস্তার ‘শ্মশানযাত্রী’দের দাবি, বার বার বলা হলেও প্রশাসনের ভ্রুক্ষেপ নেই। তাই ‘চোখের জলে’ রাস্তার অন্ত্যেষ্টিতে যোগ দিয়ে অভিনব কায়দায় প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চকরাম থেকে দুধকুড়ি পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তার একেবারেই বেহাল দশা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার এই গ্রামটিকে দত্তক নেওয়ার পর রাস্তা তৈরি করবার জন্য ৫০ লক্ষ টাকা সাংসদ তহবিল থেকে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই টাকায় এখনও পর্যন্ত কাজ হয়নি। প্রায় ২০ বছর আগে এই রাস্তা তৈরি হয়েছিল। তারপর থেকে একবারও সারাই হয়নি বলে গ্রামবাসীদের দাবি। বর্তমানে এই বেহাল রাস্তা দিয়ে আর চলাচল করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই তাঁরা বাধ্য হয়ে এমন অভিনব উপায়ে প্রতিবাদ করেন।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এই আন্দোলন প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্তামণি বিহা বলেন, সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে। আমরা ওই টাকায় টেন্ডার করেছি। দ্রুত কাজ শুরু হয়ে যাবে।

চকরাম, রামপ্রসাদ, চকশ্যাম সুকাহার, নয়াপাড়া সহ ১২ থেকে ১৩ টি গ্রামের সাধারণ মানুষের চলাচলের এই একমাত্র রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। সারা বছরই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। মূলত বর্ষাকাল এলে এই সমস্যা দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়ায়। মুমূর্ষ রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে গেলে ভয়ঙ্কর সমস্যায় পড়তে হয়। তারপরেও কাজ না হওয়ায় এইভাবে প্রতিবাদ করেন গ্রামের মানুষ।

সুস্মিতা গোস্বামী

Bengali News: জয়নগরের রাস্তায় পেভার ব্লক!

দক্ষিণ ২৪ পরগনার: রাস্তার অবস্থা ছিল শোচনীয়, মেরামত করাও হয়েছিল। কিন্তু এক বছর যেতে না যেতেই আরও বেহাল হয়ে পড়েছে সেই রাস্তা। বড় বড় গর্ত হয়ে গিয়েছে। যে কোনও গাড়ি গেলেই উড়ছে ধুলো, ঘটছে দুর্ঘটনা। এই চিত্র জয়নগরের দক্ষিণ বারাসতের শিবদাস আচার্য হাই স্কুল থেকে ময়না রথতলা পর্যন্ত এলাকার।

আরও পড়ুন: দোল এলেই মুখে হাসি ফোটে অলকা, কুশলাদের… কেন জানেন?

জয়নগরের বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের কাছে এই সমস্যা নিয়ে দরবার করেছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। তারপরই রাস্তাটি নতুন করে সংস্কারের উদ্যোগ নেন বিধায়ক। তিনি বলেন, তিন কিলোমিটারের বেশি এই রাস্তার অবস্থা নিয়ে ডায়মন্ডহারবারে পূর্ত দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে। এই রাস্তায় আগে পানীয় জলের পাইপলাইনের কাজের খোড়াখুঁড়ি হবে। তারপরই নতুন করে পেভার ব্লক বসিয়ে রাস্তা সংস্কার করে দেওয়া হবে, ‌যাতে দীর্ঘ কয়েক বছর রাস্তা ঠিক থাকে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এই রাস্তা ধরেই জয়নগরের বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েত এলাকার মানুষজন যাতায়াত করেন। ময়দা কালীমন্দিরে যেতে এই বেহাল রাস্তাই ধরতে হয়। দক্ষিণ বারাসত স্টেশনে আসতেও এই রাস্তাই ভরসা। কিন্তু দক্ষিণ বারাসত রেলগেটের পর থেকে শুরু করে রায় নগরের দিকে যখন এগোবে এই অবস্থ্য চোখে পড়বে। এই রাস্তার উপর দিয়ে অটো, টোটো, লরি যাতায়াত করে। এলাকার বাসিন্দারা বলেন, রাবিশ ফেলে কোনওরকমে মেরামত হয়েছিল রাস্তা। কিন্তু এক বছরের মধ্যেই সেটি আবার পুরনো জায়গায়। ফিরে এসেছে। গর্তে ভরে গিয়েছে। আর টোটো, অটো এইসব গর্তে পড়ে উল্টে যাচ্ছে। এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা অশোক হালদার বলেন, এত ধুলো উড়ছে রাস্তায় যে নাকে-মুখে কমাল চাপা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। দ্রুত রাস্তার হাল ফেরানো হচ্ছে। মানুষের উপকার হবে।

সুমন সাহা