প্রতীকী ছবি

Flower Market: পাঁশকুড়া ফুল বাজারের হাল ফেরানোর উদ্যোগ

পূর্ব মেদিনীপুর: ফুল বাজারের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ও সংস্কারে জোর প্রশাসনের। পাঁশকুড়া ফুলবাজারে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে থাকা হিমঘর দ্রুত চালু করতে উদ্যোগ নিল প্রশাসন। উদ্যানপালন বিভাগের ফুল বাজারকে কাজে লাগাতে উদ্যোগী হয়ে জেলা প্রশাসন।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ২৫ টি ব্লকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফুল চাষ হয় কোলাঘাট ও পাঁশকুড়া ব্লকে। এই দুটি ব্লকের চাষিদের অন্যতম অর্থকারী ফসল বিভিন্ন ধরনের মরশুমি ফুল। এই দুটি ব্লকে সারা বছর ধরেই ফুল চাষ হয়। চাষিদের সুবিধার্থে পাঁশকুড়ার ফুলের বাজারের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ার অন্তর্গত ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশেই নারান্দা এলাকায় প্রায় এক হেক্টর জমির উপর রয়েছে উদ্যানপালন বিভাগের ফুলের বাজার। চাষিদের সুবিধার্থে বাজার খুলে দেওয়া হয়েছিল আগেই।

আর‌ও পড়ুন: একসঙ্গে চুল্লি ও মৃতদেহ সংরক্ষণের হিমঘর খারাপ, সমস্যায় চুঁচুড়ার মানুষ

এবার বাজারের পরিকাঠামোগত মান উন্নয়নে নজর দিয়েছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবারের মধ্যে রেগুলেটেড মার্কেট কমিটিকে প্রয়োজনীয় খরচের বাজেট তৈরি করে জমা দিতে বলা হয়েছে। লোডশেডিংয়ের সমস্যা দূরে প্রয়োজনীয় ইনভার্টারের ব্যবস্থা করবে পাঁশকুড়া পুর কর্তৃপক্ষ। পুরসভা তরফে ৭ দিনের মধ্যে বাজার এলাকায় ২০ টি এমারজেন্সি ল্যাম্পের ব্যবস্থাও করে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। বাজার এলাকায় পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে জোর দিতে বলা হয়েছে ব্লক প্রশাসনকে। এছাড়া বাজার এলাকার দুটি শৌচালয়ের সংস্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক। লকডাউনের সময় হিমঘরের মেশিনপত্র চুরি হয়েছিল। তারও তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে।

নতুন করে এই বাজারে হিমঘর তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। হিমঘরের পাশাপাশি এই ফুল বাজারের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজে দ্রুতই হাত লাগাতে চায় প্রশাসন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলাশাসকসহ বিভিন্ন আধিকারিকদের পাশাপাশি পাঁশকুড়ার পুরপ্রধান এই বাজার পরিদর্শন করেন।উদ্যান পালন বিভাগের এই ফুলের বাজারের পরিকাঠামোগত মান উন্নয়নে নজর দিয়েছে প্রশাসন। এই বিষয়ে তমলুকের মহকুমাশাসক জানান, ফুল চাষি ও ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে পাঁশকুড়ার ওই ফুলের বাজারে পরিকাঠামোর মান উন্নয়নে নজর দেওয়া হয়েছে। হিমঘর সারানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ওই ফুলের বাজার যাতে আরও বেশি করে ফুল চাষি ও ফুল ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করতে পারে সেদিকে নজর দেওয়া হয়েছে।

ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে এই ফুলের বাজারে শুধুমাত্র কোলাঘাট বা পাঁশকুড়ার ফুল চাষি নয়, পাশের পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া জেলার ফুল চাষিদের জন্য‌ও অত্যন্ত লাভজনক। কিন্তু দীর্ঘদিন পরিকাঠামোর অভাবে ফুলের বাজারটি প্রায় অব্যবহৃত ছিল। পরিকাঠামোগত উন্নয়ন নিয়ে চাষি ও ফুল বিক্রেতাদের মধ্যে অভিযোগ ছিল। তবে এর পরিকাঠামো উন্নয়নে প্রায় ৫৫ কোটি টাকার একটি প্রজেক্ট নিয়ে জেলা প্রশাসন ময়দানে নামায় আশার আলো দেখছেন ফুলচাষি ও বিক্রেতারা।

সৈকত শী