দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সুন্দরবনের প্রান্তিক মৎস্যজীবী ও মৌলেদের স্বাস্থ্য রক্ষায় এগিয়ে এল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। মাছ, কাঁকড়া ধরে কোনওরকমে টিকে আছেন সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা। আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গভীর জঙ্গলে মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে মৌলেদের বাঘের পেটে চলে যাওয়ার ঘটনা তো কারোর ই অজানা নয়। এমন যাদের আর্থিক পরিস্থিতি তাঁদের কাছে স্বাস্থ্য সচেতনাতা আশা করাই বোকামি। আর তাই এই মানুষগুলোকে সুস্থ রাখতে এগিয়ে এসেছে এক বেসরকারি সংস্থা।
কলকাতার এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পাশাপাশি কুলতলীর কাটামারির একটি ক্লাবের সহযোগিতায় কুলতলীর দেউলবাড়ি দেবীপুর অঞ্চলের কাঁটামারিতে আয়োজিত হল স্বাস্থ্য শিবির বা হেলথ ক্যাম্প। সুন্দরবনের পিছিয়ে পড়া প্রত্যন্ত এলাকার মানুষদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় এখানে। পাশাপাশি চোখের পরীক্ষাও হয়। সেই সঙ্গে এই সমস্ত এলাকার মানুষদের মধ্যে স্বাস্থ্যের উপরে নজর দেওয়ার জন্য একটি অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: মাঝরাতে রাস্তায় পড়ে রক্তাক্ত মহিলা, স্থানীয় যুবকদের নজরে পড়তেই যা হল….
সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা দেউলবাড়ির কাঁটামারি যেখানে প্রতিনিয়ত নদীর নোনা জলে নেমে এখানকার মহিলারা মাছ, কাঁকড়া ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। আর তাদের এই বয়স সন্ধিক্ষণে শরীরে নানা রকম ইনফেকশন হয়ে থাকে। নদীর এই লবণাক্ত নোনা জল শরীরে প্রবেশ করার ফলেই এমনটা ঘটে। কলকাতার মানিকতলার প্রেমানন্দ মেমোরিয়াল লেপ্রসি মিশনের পক্ষ থেকে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা কাঁটামারিতে দুই শতাধিক মহিলা ও দুই শতাধিক পুরুষদের নিয়ে অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্প, চোখেের পরীক্ষা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হয়।
এই এলাকায় শতাধিক পরিবার বাঘের আক্রমণে পরিজনকে হারিয়েছে। তারপরেও তাঁরা বাধ্য হয়ে মাছ ধরতে বা মধু সংগ্রহ করতে যানৃ কারণ এর বাইরে জীবিকা নির্বাহের আর কোনও পথ নেই। সেই সমস্ত পরিবারের সদস্যদের পাশে দাঁড়াতেই এমন উদ্যোগ।
সুমন সাহা