Tag Archives: sundarban

Bangla Video: জল উঠছে নদী বাঁধের কাছে, আতঙ্কে সুন্দরবন

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: হঠাৎ নদী ও সমুদ্রের জল ফুঁসে উঠতে শুরু করেছে। সেই জল চলে আসছে নদীবাঁধের গোড়ায়। ফলে আলগা হচ্ছে নদীবাঁধের মাটি। যার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সুন্দরবনের বাসিন্দাদের মধ্যে।

কাকদ্বীপের সাতের ঘেরি এবং সাগরদ্বীপের চকফুলডুবি এলাকায় নদীবাঁধের মাটি ধসে নীচে নেমে গিয়েছে। সম্পূর্ণ বাঁধ না ভাঙলেও একটু একটু করে ক্ষতি হচ্ছে বাঁধ। আর তাতেই আতঙ্ক গ্রাস করেছে স্থানীয়দের মধ্যে। ফলে জোয়ার এলেই এলাকাবাসীরা বাঁধের উপরে ভিড় করছেন। এছাড়াও ধস নামায় নদী বাঁধ লাগোয়া একাধিক জায়গায় বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। যেকোনও মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় ভুগছেন এলাকার মানুষ।

আরও পড়ুন: ভোটের আগে কী কী দাবি জঙ্গলমহলের মানুষের?

এমনিতে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জেরে ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলছে সুন্দরবনের উপকূলীয় এলাকায়। যার ফলে আগেই নদীর জল বাড়ার সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছিল। সেই অনুযায়ী জলও বাড়ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। নদীর জল বৃদ্ধির সঙ্গে বাঁধের ক্ষতি হওয়ায় আতঙ্কে গ্রামবাসীরা। বাঁধের ক্ষতি রুখতে ইতিমধ্যে স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। তবুও ভয় কাটছে না মানুষের।

নবাব মল্লিক

Fisherman Death: বাঘের আক্রমণে নয়, নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে অন্য কারণে সুন্দরবনের মৎস্যজীবীর মৃত্যু

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সুন্দরবনের মৎস্যজীবীদের বাঘের পেটে যাওয়াটা কোন‌ও নতুন ঘটনা নয়। কিন্তু এবার আর বাঘের আক্রমণে নয়, মাছ ধরতে গিয়ে নদীতে তলিয়ে মৃত্যু হল এখানকার এক তরুণ মৎস্যজীবীর। মৃত ব্যক্তির নাম সালাউদ্দিন লস্কর (১৮)।

মর্মান্ত ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার অন্তর্গত চরাবিদ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের কুমড়োখালি কাছারিপাড়া গ্রামে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে বাসন্তী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে করে নিয়ে যায়। নিয়মমাফিক ওই মৎস্যজীবীর দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: জেলার মুমূর্ষু রোগীদের নিয়ে আর শিলিগুড়ি ছুটতে হবে না

প্রতিবেশীদের থেকে জানা গিয়েছে, এদিন বাড়ির অদূরে নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন সালাউদ্দিন। নদীতে পাতা জাল তুলতে গিয়ে কোন‌ওভাবে জলের টানে ভেসে যান। বেশ কিছুক্ষণ নিখোঁজ থাকার পর গ্রামের বাকিরা বিষয়টি টের পান। এরপর তাঁরা ছুটে আসেন নদীর ধারে। তারপর নদীতে নেমে বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি চলে।

প্রায় ছয় ঘণ্টা পর খোঁজ মেলে সালাউদ্দিনের। ততক্ষণে সব শেষ হয়ে গেছে। এত কম বয়সী এক তরুণের মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না কেউ। পরিজনদের পাশাপাশি প্রতিবেশীরাও শোকে ভেঙে পড়েছেন। এদিকে ঠিক কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা জানার জন্য তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

সুমন সাহা

South 24 Parganas News: ৩১ শে ডিসেম্বরের মধ্যে মিলবে পাকা বাড়ি, স্টিকার পড়ছে সুন্দরবনে!

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: লোকসভা নির্বাচনের পর গরীর, দু:স্থ পরিবারের জন্য দেওয়া হবে পাকা বাড়ি। এই নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় বাড়িতে বাড়িতে স্টিকার মারছে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। ঘূর্ণিঝড় আমফান ও ইয়াসের ক্ষত এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি সুন্দরবনের উপকূল এলাকার বাসিন্দারা। মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, সাগর, মথুরাপুর এক নম্বর ও মথুরাপুর দু’নম্বর সহ কুলপি ব্লকের বহু বাসিন্দা এখনও আবাস যোজনার আওতায় পাকা বাড়ি পায়নি।বহু বাসিন্দা আবার বছরের পর বছর আবাস যোজনায় আবেদন জানিয়েও মেলেনি বাড়ি।এ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা।

আরও পড়ুন:  ধান থেকে আয় হচ্ছে না তেমন, সুন্দরবনে বিকল্প চাষের উদ্যোগ

একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, ‘বাংলার বাড়ি আমরাই দেব। বাংলার বাড়ি বাংলাই গড়ে দেবে।’এই ঘোষণার পর আশায় বুক বাঁধেন সুন্দরবনের উপকূল এলাকার বাসিন্দারা। এবার সেই বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বরা। এ নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ সদস্য উদয় হালদারও জোরকদমে প্রচারে নেমেছেন। তিনি জানিয়েছেন ৩১ শে ডিসেম্বরের মধ্যে পাকা বাড়ি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কাজ শুরু হয়ে যাবে। আমারা সেজন্য মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে এই কাজ করছি।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

নবাব মল্লিক

Calcutta High Court: টেনে নিয়ে গিয়েছিল বাঘ, মৃতদের পরিবারকে চার সপ্তাহের মধ্যে পাঁচ লাখ করে ক্ষতিপূরণ

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বাঘের আক্রমণে মৃত মৎস্যজীবীদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ হাইকোর্টের। চার সপ্তাহের মধ্যে সুন্দরবনের মৃত দুই মৎস্যজীবীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণের ৫ লক্ষ টাকা করে দিতে হবে।

নিয়ম অনুযায়ী বৈধভাবে মাছ ধরতে গিয়ে বা মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে সুন্দরবনে বাঘের হানায় মৎস্যজীবীদের মৃত্যু হলে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কথা। কুলতলির বাসিন্দা দুই মৃত মৎস্যজীবীর পরিবার‌ও ক্ষতিপূরণের জন্য বারবার প্রশাসনের কাছে দরবার করে। কিন্তু তা না মেলায় অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন তাঁরা। সেই মামলার শুনানি শেষে রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য নির্দেশ দেন, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে দুই মৃত মৎস্যজীবের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাঁচ লক্ষ টাকা করে দিতে হবে।

আরও পড়ুন: আসানসোলে শত্রুঘ্ন’র প্রচারে চমক

২০২২ সালের নভেম্বর মাসে জঙ্গলে মাছ-কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে মৃত্যু হয়েছিল কুলতলির কাঁটামারির বাসিন্দা দিলীপ সর্দারের। দিলীপের স্ত্রী শেফালি সর্দার জানান, বন দফতরের বৈধ অনুমতি নিয়েই জঙ্গলে গিয়েছিলেন দিলীপ। কিন্তু বন দফতর-সহ সমস্ত সরকারি দফতরে আবেদন নিবেদন করেও ক্ষতিপূরণ মেলেনি। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। মৈপিঠের বাসিন্দা অমল দণ্ডপাঠকে বাঘে আক্রমণ করেছিল ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর। গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। দিন দু’য়েক পর ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি তিনি প্রয়াত হন। স্ত্রী তপতীর দাবি, অমলও বৈধ অনুমতিপত্র নিয়েই জঙ্গলে ঢুকেছিলেন। তবু ক্ষতিপূরণ দিতে গড়িমসি করে প্রশাসন।

মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর দীর্ঘদিন ধরেই এই এলাকায় বাঘে আক্রান্ত পরিবারগুলির অধিকার নিয়ে কাজ করছে। এর আগে এপিডিআর-এর উদ্যোগেই কুলতলির বাসিন্দা শান্তিবালা নস্কর স্বামী লখিন্দর নস্করের মৃত্যুর জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করে আদালতে গিয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশে ক্ষতিপূরণ পান শান্তিবালা। এবারও এপিডিআর-এর উদ্যোগেই গত সপ্তাহে আদালতের দ্বারস্থ হন শেফালি, তপতীরা। আবেদনকারীদের তরফে আইনজীবী ছিলেন কৌশিক গুপ্ত এবং শ্রীময়ী মুখোপাধ্যায়। শ্রীময়ী বলেন, চার সপ্তাহের মধ্যে দুই পরিবারকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রত্যন্ত এলাকার এইসব মানুষজন আগে আদালত পর্যন্ত পৌঁছতে পারতেন না। এখন আসছেন। ফলে বিচারও পাচ্ছেন। এপিডিআর-এর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সহ সম্পাদক মিঠুন মণ্ডল বলেন, নানা অজুহাতে এদের ক্ষতিপূরণ আটকে রাখে প্রশাসন। ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হয় পরিবারগুলি। আমরা চাই, কোনও গড়িমসি না করে বাঘের আক্রমণে মৃত ও জখম প্রতিটি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।

সুমন সাহা

Salt Tolerant Alternative Cultivation: ধান থেকে আয় হচ্ছে না তেমন, সুন্দরবনে বিকল্প চাষের উদ্যোগ

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সুন্দরবনে ধানের পাশাপাশি লবণাক্ত মৃত্তিকার সহনশীল বিকল্প চাষের উদ্যোগ। কৃষকদের উদ্দেশ্যে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকটি সংস্থা। হারিয়ে যাওয়া নটে শাকের বীজের ১০ রকম প্রজাতি ও মুগের বীজের ২৪ রকমের প্রজাতির বীজ নিয়ে পরীক্ষামূলক চাষের কাজ চলছে কুলতলি ও বাসন্তী ব্লকে। আর মুগের ২৪ রকম প্রজাতির মধ্যে কোন কোন প্রজাতির চাষ সুন্দরবনে ভাল হতে পারে তা নিয়ে পরীক্ষামূলক কাজ শুরু করেছে নিমপীঠ লোকমাতা রানি রাসমণি মিশন।

হায়দ্রাবাদের ওয়াসান নামের একটি সংস্থা এই কাজে সহায়তা করছে সুন্দরবনের দুটি ব্লকে। এই সংস্থাগুলির উদ্যোগে সুন্দরবনের কুলতলি ব্লকের মৈপীঠ ভুবনেশ্বরী গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব মধ্য গুড়গুড়িয়ার বহমুখী ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে বহু কৃষকদের নিয়ে মুগ চাষ ও নটে শাকের ভ্যারাইটি বীজের ওপর একটি প্রশিক্ষন শিবির হয়। যাতে সুন্দরবনের বাসন্তী ও কুলতলি ব্লক থেকে বহু পুরুষ ও মহিলা কৃষক অংশ নেন। এই শিবিরে মুগ ও নটে শাক চাষের বিষয়ে কৃষকদের কাছে বিস্তারিত আলোকপাত করেন নিমপীঠ শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের কৃষি বিশেষজ্ঞ, হায়দ্রাবাদের ওয়াসন সংস্থার সদস্যরা।

আরও পড়ুন: গরমের পর কালবৈশাখী, দফারফা পাট চাষের!

এই চাষ কীভাবে করতে হবে, কীভাবে মাটির যত্ন নিতে হবে, কতটা পরিমাণ জৈব সার দিতে হবে, বিভিন্ন রোগ ও পোকার হাত থেকে কীভাবে ফসলকে রক্ষা করতে হবে তার উপর বিশদে আলোচনা করা হয়। তাছাড়া এই এলাকায় মুগচাষের জমিতে গিয়ে কৃষকরা কোন বীজের মুগচাষে গ্রোথ এসেছে অর্থাৎ কোন প্রজাতির মুগ চাষ এই এলাকায় করা উচিত তাঁর উপর তাঁদের মতামত দেন। এ ছাড়া গুরুত্বহীন হয়ে যাওয়া এই ধরনের চাষের প্রতি চাষিদের আগ্রহ বাড়াতে এবং গ্রীষ্মকালীন মুগচাষের প্রতি কৃষকদের আরও বেশি করে সচেতন করতে হাতে কলমে একটি প্রশিক্ষণ শিবির আয়োজিত হয়।

সম্পূর্ণ জৈব উপায়ে এই চাষ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও হারিয়ে যাওয়া এই ধরনের শষ্য ব্যবসায়িকভাবে চাষ করে কত বেশি মুনাফা আসতে পারে সেদিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে। লবণ সহনশীল সুন্দরবনে বিকল্প এই চাষের মাধ্যমে কর্মসংস্থান আরও মজবুত হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

সুমন সাহা

Illegal Tree Cutting: তাপপ্রবাহের মধ্যেই কাকদ্বীপে কেটে ফেলা হল হাজার হাজার গাছ!

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: তীব্র গরমে যখন সবাই গাছ লাগানোর কথা বলছে ঠিক তখন‌ই কাকদ্বীপে কেটে ফেলা হল হাজার হাজার গাছ। সেই ছবি দেখে আঁতকে উঠছেন অনেকেই। ‌এমন যদি অবস্থা হয় তবে আগামী দিনে আরও ভয়ঙ্কর পরিণতি অপেক্ষা করছে বলে সতর্ক করে দিচ্ছেন পরিবেশপ্রেমীরা।

তীব্র গরমে পুড়ছে গোটা বাংলা। পরিবেশবিদদের মতে যথেচ্ছ হারে গাছ কেটে নেওয়ার ফল ভুগতে হচ্ছে বাংলাকে। এর‌ই মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ ব্লকের মধুসূদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শিবকালীনগরে প্রায় হাজারের কাছাকাছি সরকারি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠল। রাস্তার পাশে সরকারিভাবে লাগানো সোনাঝুরি গাছ কাটা শুরু হয় প্রথমে। তারপর সেই গাছ কাটার পর পাচারও হয়ে যাচ্ছিল। এলাকার মানুষ সব দেখেও ভয়ে চুপচাপ ছিল। এরপর কাকদ্বীপের বাসিন্দা তথা বিজেপি নেতা দীপঙ্কর জানা লিখিতভাবে অভিযোগ করেন কাকদ্বীপের বিডিও, এসডিও ও হারুড পয়েন্ট উপকূল থানায়।

আর‌ও পড়ুন: মোষের পিঠে চেপে মনোনয়ন পেশ কুড়মি প্রার্থী অজিতের! রইল ভিডিও

বিজেপি নেতার থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর সমন্বিত ফেরে পুলিশের। ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু গাছের গুঁড়ি বাজেয়াপ্ত করে তারা। সবকিছুর পরও প্রশ্ন উঠছে, সরকারিভাবে লাগানো এই গাছ কার অনুমতিতে কাটা হচ্ছিল। বন দফতরের অনুমতি ছিল কিনা সেটাও স্পষ্ট নয়। সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হল পরিবেশ ক্রমশ চরম হয়ে উঠলেও প্রশাসন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, কারোর মধ্যেই বিশেষ একটা সচেতনতা দেখা যাচ্ছে না।

নবাব মল্লিক

Food: বাড়িতেই বানাতেন এই খাবার, ভারত সেরা পুষ্টিকর খাবারের দৌড়ে প্রথম পাঁচে সুন্দরবনের এই পদ, রইল রেসিপি

সুন্দরবন: ভারতের সেরা পুষ্টিকর খাবারের দৌড়ে প্রথম পাঁচে জায়গা করে নিল সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামের গৃহবধূর তৈরি ‘কাঁকড়া-ডাল।’ একটি সর্বভারতীয় সংস্থার উদ্যোগে বেশ কয়েক বছর ধরেই দেশব্যাপী পুষ্টিকর খাবারের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। সেই প্রতিযোগিতায় মৈপিঠ কোস্টাল থানার পূর্ব গুড়গুড়িয়ার বাসিন্দা গঙ্গারানি হালদারের তৈরি কাঁকড়া-ডালের রেসিপি পাঠিয়েছিল এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। গোটা দেশের প্রায় ৮০০ রেসিপির মধ্যে থেকে গঙ্গারানির সেই রান্না জায়গা করে নিয়েছে সেরা পাঁচে। মুম্বই যাবেন গঙ্গারানি। সেখানে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় বিচারকদের সামনে নিজেই রাঁধবেন কাঁকড়া-ডাল।

শ্বশুর, শাশুড়ি, স্বামী, দুই ছেলেকে নিয়ে গঙ্গারানির সংসার। স্বামী চাষ-বাস করেন। বছর পঁয়তাল্লিশের গঙ্গারানি মূলত ঘর সামলান। রোজকার প্রয়োজনেই রান্নাঘরে কাটে অনেকটা সময়। চিরাচরিত নানা পদের সঙ্গে নিজের ভাবনা মিশিয়ে প্রায়ই বানিয়ে ফেলেন নিত্যনতুন খাবার।

আরও পড়ুনঃ ধেয়ে আসবে কালবৈশাখী? টানা ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস, দক্ষিণের কোন কোন জেলায় বৃষ্টি? বদলাচ্ছে আবহাওয়া

সুন্দরবন ঘেঁষা এই সব এলাকায় কাঁকড়া খুবই সহজলভ্য। কাঁকড়ার নানা চেনা পদ বাড়িতে প্রায়ই বানাতেন গঙ্গারানি। এক দিন সেই কাঁকড়ার সঙ্গে ডালের মিশেলে তৈরি করে ফেলেন কাঁকড়া-ডাল। পরিবারের লোকের পাশাপাশি বাড়িতে আসা অতিথিদের প্রায়ই খাওয়াতেন তাঁর তৈরি এই পদ। এ ভাবেই একদিন তাঁর বাড়িতে আসা এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কয়েক জন সদস্য কাঁকড়া-ডালের স্বাদ পান। তাঁরাই পুষ্টিকর খাবারের সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতায় পাঠিয়ে দেন গঙ্গারানির ওই রেসিপি।

গঙ্গারানি জানিয়েছেন, “দু’ধরনের ডাল আর কাঁকড়া দিয়ে এই পদ তৈরি হয়। খুব বেশি মশলা লাগে না। হালকা খাবার হিসেবেই খাওয়া যায়। বাড়িতেই খাওয়ার জন্য বানাতাম। কেউ এলেও বানিয়ে দিতাম। ভাবিনি, কোনও দিন মুম্বইয়ে গিয়ে বানাতে হবে। খুবই ভাল লাগছে।” স্ত্রী সাফল্যে খুশি গঙ্গারানির স্বামী। বলেন, ঘরের সামান্য একটা রান্না এত বড় মঞ্চে স্বীকৃতি পাবে ভাবিনি।

সুমন সাহা

Sundarban: জীবিকার কারণেই স্ত্রীরোগে আক্রান্ত হচ্ছে সুন্দরবনের মেয়েরা

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সুন্দরবনের মেয়েদের জীবিকাই তাঁদের অসুখের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে্ এখানকার মহিলারা নিজেদের জীবিকার কারণে নানান নারী ঘটিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। রাজ্যের প্রান্তিক এলাকা সুন্দরবনের মানুষের বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় এখানকার বাসিন্দারা জঙ্গলে মধু সংগ্রহ করে বা মাছ, মীন করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এর মধ্যে মহিলারাই প্রধানত মাছের মীন ধরার কাজটা করেন। আর তা করতে গিয়েই নারী ঘটিত নানান জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁরা।

সুন্দরবনের জঙ্গলে মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে বাঘের হানায় পুরুষদের মৃত্যুর ঘটনা প্রায় জলভাত হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত সুন্দরবনে বাঘের কামড়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। দু’জন আহত হয়েছেন। এদিকে মহিলারা দীর্ঘক্ষণ নদীর ও খাড়ির জলে দাঁড়িয়ে মাছের মীন ধরার কারণে চর্মরোগের পাশাপাশি নানান নারী রোগ সংক্রান্ত অসুখে আক্রান্ত হচ্ছেন।

আর‌ও পড়ুন: এখনই ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত! আক্রান্তের সংখ্যা শুনলে চমকে যাবেন

এই বিপদ থেকে তাঁদের রক্ষা করতে এগিয়ে এসেছে একটি সংগঠন। কুলতলি ব্লকের মৈপীঠ নগেনাবাদের প্রত্যন্ত এলাকায় সারাদিন ধরে বিনা খরচে স্বাস্থ্য শিবির পরিচালনা করছে সংস্থাটি। কলকাতার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা এসে গ্রামের অসুস্থদের চিকিৎসা করে তাঁদের ওষুধ দেন। এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ইন্দ্রনীল বর্গী, জসমিত সিং অরোরা, বিবেক ভৌমিক প্রমূখ।‌ প্রখর দাবদহকে উপেক্ষা করে এই শিবিরে রোগীদের আগমন ছিলো চোখে পড়ার মতন। সাধারণ ও গাইনো বিভাগ মিলিয়ে ১৩৬ জন রোগীর চিকিৎসা হয়।

সুমন সাহা

South 24 Parganas News: সুন্দরবনে বাড়ছে চোখের সমস্যা, সমাধানে নন্দকুমারপুরে তৈরি উন্নতমানের হাসপাতাল

নন্দকুমারপুর: দিনের পর দিন সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে চোখের সমস্যা। সেই সমস্যা সমাধান করতে যেতে হচ্ছিল প্রায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরের হাসপাতাল গুলিতে। সেজন্য এই সমস্যা দূর করতে নন্দকুমারপুরে তৈরি হচ্ছে উন্নতমানের হাসপাতাল। উন্নতমানের চিকিৎসা মিলবে এখানে। সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকার প্রধান সমস্যা হল যোগাযোগ ব্যবস্থার সমস্যা। এই সমস্যার জন্য সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন অধিকাংশ সময় চোখের চিকিৎসা সঠিক সময়ে করেন না।ফলে সমস্যা বাড়ে দিনের পর দিন।

আরও পড়ুন:  রোদ যত চড়া হয় ততই রোজগারের সুযোগ বাড়ে! অসহায় মানুষগুলো শেষে পেল স্বস্তি

এই সমস্যা সমাধান করতে নন্দকুমারপুরে তৈরি হল উন্নতমানের চক্ষু হাসপাতাল। আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে এখানে চিকিৎসা করা হবে। বছরে ২০০০ মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করা হবে এখান থেকেই। পরে সুন্দরবনের আরও অনেকেগুলি দ্বীপে খোলা হবে এই কেন্দ্র। এই হাসপাতাল নিয়ে আশাবাদী উদ্যোক্তারা। তারা জানিয়েছেন সুন্দরবনের এই হাসপাতাল কলকাতা সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন বড় চক্ষু হাসপাতালকে টেক্কা দেবে। সুন্দরবনে এধরণের বড় চক্ষু হাসপাতাল তৈরি হওয়ায় খুশি সকলেই। আগামী দিনে সুন্দরবন এলাকার মানুষজনের চোখের সমস্যা দূর করতে এই হাসপাতাল যে কাজ করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
নবাব মল্লিক

History in Football: একই টুর্নামেন্টে মাঠে নামল মা ও ছেলে! পায়ের জাদুতে মাত সবাই

উত্তর ২৪ পরগনা: মা ও ছেলের একই ফুটবল টুর্নামেন্টে খেললেন। আর তা চাক্ষুষ করল সুন্দরবনবাসী। এমনই চমকপ্রদক ঘটনায় সকলেই যেমন উল্লসিত তেমনই প্রবীণরা কিছুটা হলেও বিস্মিত হয়ে গিয়েছেন।

নদী বেষ্টিত এলাকা সুন্দরবন। এই এলাকা ঘিরে কতই না গল্প লুকিয়ে আছে। প্রত্যন্ত এলাকার জনজীবনে উঁকি মারলে জীবন সংগ্রামের লড়াইয়ের পাশাপাশি দেখা মিলবে বিনোদনের মাধ্যমগুলির অভিনব গল্প। এই প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের কাছে আজও বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম ফুটবল খেলা। আর তাতেই একত্রে অংশগ্রহণ করল মা ও ছেলে।

আর‌ও পড়ুন: এই প্রকল্প দিনের আলো দেখলে পাল্টে যেত বাঁকুড়া

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবন এলাকার বিশপুরে আয়োজিত ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করলেন মা ও ছেলে। সন্দেশখালির কালিনগরের বাসিন্দা মৌমিতা সরদার ও ছেলে সৌম্যদীপ সরদার একই সঙ্গে ফুটবল প্র্যাকটিস করেন। আবার কখনও কখনওটুর্নামেন্ট এলে একই টুর্নামেন্টে খেলার ডাকও পান। সুন্দরবন এলাকায় হিঙ্গলগঞ্জের বিশপুরে আদিবাসী সমাজকল্যাণ সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত মহিলা ফুটবল টুর্নামেন্টে মা ও ছেলের পায়ের জাদু দেখল এলাকার মানুষ।

যেখানে প্রত্যন্ত এলাকায় একাধিক সামাজিক বেড়াজলের প্রতিবন্ধকতার মাঝে বারে বার পিছুপা হতে হয়, সেখানে মা ও ছেলের একসঙ্গে ফুটবল খেলা চাক্ষুষ করল এলাকার মানুষ। মা ও ছেলের খেলার জুটি দেখতে পেয়ে খুশি অত্যন্ত এলাকার ফুটবল প্রেমীরা।

জুলফিকার মোল্যা